ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

ইউহোন্না 12:30-44 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

30. জবাবে ঈসা বললেন, ঐ বাণী আমার জন্য হয় নি, কিন্তু তোমাদেরই জন্য।

31. এখন এই দুনিয়ার বিচার উপস্থিত, এখন এই দুনিয়ার অধিপতি বাইরে নিক্ষিপ্ত হবে।

32. আর আমাকে যখন ভূতল থেকে উঁচুতে তোলা হবে তখন সকলকে আমার কাছ আকর্ষণ করবো।

33. তিনি কিভাবে মৃত্যুবরণ করবেন, তা এই কথার দ্বারা নির্দেশ করলেন।

34. তখন লোকেরা জবাবে তাঁকে বললো, আমরা শরীয়ত থেকে শুনেছি যে, মসীহ্‌ চিরকাল থাকেন; তবে আপনি কিভাবে বলছেন যে, ইবনুল-ইনসানকে উঁচুতে তুলতে হবে? সেই ইবনুল-ইনসান কে?

35. তখন ঈসা তাদেরকে বললেন, আর অল্প কালমাত্র নূর তোমাদের মধ্যে আছে। যতদিন তোমাদের মধ্যে নূর আছে, যাতায়াত কর, যেন অন্ধকার তোমাদের উপরে এসে না পড়ে; আর যে ব্যক্তি অন্ধকারে যাতায়াত করে, সে কোথায় যায়, তা জানে না।

36. যতদিন তোমাদের কাছে নূর আছে, সেই নূরের উপর ঈমান আনো, যেন তোমরা নূরের সন্তান হতে পার। ঈসা এসব কথা বললেন, আর প্রস্থান করে তাদের থেকে লুকালেন।

37. কিন্তু যদিও তিনি তাদের সাক্ষাতে এত চিহ্ন-কাজ করেছিলেন, তবুও তারা তাঁর উপর ঈমান আনলো না;

38. যেন ইশাইয়া নবীর কালাম পূর্ণ হয়, তিনি তো বলেছিলেন,“হে প্রভু, আমরা যা শুনেছি,তা কে বিশ্বাস করেছে?আর প্রভুর বাহু কার কাছে প্রকাশিত হয়েছে?”

39. এজন্য তারা বিশ্বাস করতে পারে নি, কারণ ইশাইয়া আবার বলেছেন,

40. “তিনি তাদের চোখ অন্ধ করেছেন,তাদের অন্তর কঠিন করেছেন,পাছে তারা চোখে দেখে,হৃদয়ে বুঝে এবং ফিরে আসেএবং আমি তাদেরকে সুস্থ করি।”

41. ইশাইয়া এ সব বলেছিলেন, কেননা তিনি তাঁর মহিমা দেখেছিলেন, আর তাঁরই বিষয় বলেছিলেন।

42. তবুও নেতাদের মধ্যেও অনেকে তাঁর উপর ঈমান আনলো; কিন্তু ফরীশীদের ভয়ে স্বীকার করলো না, পাছে সমাজচ্যুত হয়;

43. কেননা আল্লাহ্‌র কাছে গৌরবের চেয়ে তারা বরং মানুষের কাছে গৌরব বেশি ভালবাসত।

44. ঈসা উচ্চৈঃস্বরে বললেন, যে আমার উপর ঈমান আনে সে আমার উপর নয়, কিন্তু যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন, তাঁর উপরই ঈমান আনে;

সম্পূর্ণ অধ্যায় পড়ুন ইউহোন্না 12