10. দাউদ লোকদের গণনা করানোর পর তাঁর হৃদয় ধুক্ ধুক্ করতে লাগল। দাউদ মাবুদকে বললেন, এই কাজ করে আমি মহা গুনাহ্ করেছি; এখন হে মাবুদ, আরজ করি, নিজের গোলামের অপরাধ মাফ কর, কেননা আমি বড়ই অজ্ঞানের কাজ করেছি।
11. পরে যখন দাউদ খুব ভোরে উঠলেন, তখন দাউদের দর্শক গাদ নবীর কাছে মাবুদের এই কালাম নাজেল হল,
12. তুমি গিয়ে দাউদকে বল, মাবুদ এই কথা বলেন, আমি তোমার সম্মুখে তিনটি শাস্তি ঠিক করেছি, তার মধ্যে তুমি একটি মনোনীত কর, আমি তা-ই তোমার প্রতি করবো।
13. পরে গাদ দাউদের কাছে এসে তাঁকে জানালেন, বললেন, আপনার দেশে সাত বছর ব্যাপী কি দুর্ভিক্ষ হবে? না আপনার দুশমনরা যতদিন আপনার পিছনে পিছনে তাড়া করে, ততদিন আপনি তিন মাস পর্যন্ত তাদের সম্মুখ থেকে পালিয়ে বেড়াবেন? না তিন দিন পর্যন্ত আপনার দেশে মহামারী হবে? যিনি আমাকে পাঠালেন, তাঁকে কি উত্তর দেব তা এখন বিবেচনা করে দেখুন।
14. দাউদ গাদকে বললেন, আমি বড়ই বিপদগ্রস্ত হলাম; আসুন, আমরা মাবুদের হাতে পড়ি, কেননা তাঁর করুণা প্রচুর; কিন্তু আমি মানুষের হাতে পড়তে চাই না।
15. পরে সকাল থেকে নিরূপিত সময় পর্যন্ত মাবুদ ইসরাইলে মহামারী পাঠালেন; আর দান থেকে বের-শেবা পর্যন্ত লোকদের মধ্যে সত্তর হাজার লোক মারা গেল।
16. আর যখন ফেরেশতা জেরুশালেম বিনষ্ট করতে তার প্রতি হাত বাড়ালেন তখন মাবুদ সেই ভীষণ শাস্তি দেওয়া থেকে মন ফিরালেন। সেই লোক-বিনাশক ফেরেশতাকে বললেন, যথেষ্ট হয়েছে, এখন তোমার হাত গুটিয়ে নাও। তখন মাবুদের ফেরেশতা যিবূষীয় অরৌণার খামারের কাছে ছিলেন।
17. পরে দাউদ সেই লোক-বিনাশক ফেরেশতাকে দেখে মাবুদকে বললেন, দেখ, আমিই গুনাহ্ করেছি, আমিই অপরাধ করেছি, কিন্তু এই মেষগুলো কি করলো? আরজ করি, আমারই বিরুদ্ধে ও আমার পিতৃকুলের বিরুদ্ধে তোমার হাত প্রসারিত কর।
18. সেই দিন গাদ দাউদের কাছে এসে তাঁকে বললেন, আপনি গিয়ে যিবুষীয় অরৌণার খামারে মাবুদের উদ্দেশে একটি কোরবানগাহ্ স্থাপন করুন।
19. অতএব দাউদ মাবুদের হুকুম মত গাদের সান্ত্বনা অনুসারে গেলেন।
20. তখন অরৌণা দৃষ্টিপাত করে দেখতে পেল, বাদশাহ্ ও তাঁর গোলামেরা তার কাছে আসছেন; তাতে অরৌণা বাইরে এসে বাদশাহ্র সম্মুখে ভূমিতে উবুড় হয়ে পরে সালাম করলো।
21. আর অরৌণা বললো, আমার মালিক বাদশাহ্ তাঁর গোলামের কাছে কি জন্য এসেছেন? দাউদ বললেন, লোকদের উপর থেকে মহামারী যেন নিবৃত্ত হয়, এজন্য মাবুদের উদ্দেশে একটি কোরবানগাহ্ তৈরি করবো বলে আমি তোমার কাছ থেকে এই খামার ক্রয় করতে এসেছি।
22. তখন অরৌণা দাউদকে বললো, আমার মালিক বাদশাহ্র দৃষ্টিতে যা ভাল মনে হয়, তা-ই নিয়ে কোরবানী করুন; দেখুন, পোড়ানো-কোরবানীর জন্য এই ষাঁড়গুলো এবং কাঠের জন্য এই মাড়াই-যন্ত্র ও ষাঁড়গুলোর সজ্জা আছে;
23. হে বাদশাহ্, অরৌণা বাদশাহ্কে এ সমস্ত দিচ্ছে। অরৌণা বাদশাহ্কে আরও বললো, মাবুদ আপনার আল্লাহ্ আপনাকে গ্রাহ্য করুন।
24. কিন্তু বাদশাহ্ অরৌণাকে বললেন, তা নয়, আমি অবশ্য মূল্য দিয়ে তোমার কাছ থেকে এ সমস্ত ক্রয় করবো; আমি আমার আল্লাহ্ মাবুদের উদ্দেশে বিনামূল্যে পোড়ানো-কোরবানী করবো না। পরে দাউদ পঞ্চাশ শেকল রূপা দিয়ে সেই খামার ও ষাঁড়গুলো ক্রয় করে নিলেন।
25. আর দাউদ সেই স্থানে মাবুদের উদ্দেশে এই কোরবানগাহ্ তৈরি করে পোড়ানো-কোরবানী ও মঙ্গল-কোরবানী করলেন। এভাবে দেশের জন্য মাবুদের কাছে নিবেদন করলে তিনি প্রসন্ন হলেন এবং ইসরাইল থেকে মহামারী নিবৃত্ত হল।