16. আর তারা প্রত্যেকে নিজ নিজ প্রতিযোদ্ধার মাথা ধরে কুক্ষিদেশে তলোয়ার বিদ্ধ করে সকলে এক সঙ্গে মারা পড়লো। এজন্য সেই স্থানের নাম হিলকৎ-হৎসূরীম [ছুরিকা-ভূমি] হল; তা গিবিয়োনে আছে।
17. আর সেই দিনে ঘোরতর যুদ্ধ হল এবং অব্নের ও ইসরাইলের লোকেরা দাউদের গোলামদের সম্মুখে পরাজিত হল।
18. সেই স্থানে যোয়াব, অবীশয় ও অসাহেল নামে সরূয়ার তিন পুত্র ছিলেন, সেই অসাহেল বন্য হরিণের মত জোরে দৌড়াতে পারতেন।
19. আর অসাহেল অব্নেরকে তাড়া করে তাঁর পিছনে দৌড়াতে লাগলেন, যেতে যেতে তাঁর পিছনে দৌড়ানো থেকে ডানে বা বামে ফিরলেন না।
20. পরে অব্নের পিছনের দিকে ফিরে বললেন, তুমি কি অসাহেল? তিনি জবাব দিলেন, জ্বী, আমি সেই।
21. অব্নের তাঁকে বললেন, তুমি ডানে বা বামে ফিরে এই যুবকদের কোন এক জনকে ধরে তার সাজ-পোশাক গ্রহণ কর। কিন্তু অসাহেল তাঁর পিছনে তাড়া করা থেকে ফিরে যেতে সম্মত হলেন না।
22. পরে অব্নের অসাহেলকে আবার বললেন, আমাকে তাড়া না করে ফিরে যাও; আমি কেন তোমাকে আঘাত করে ভূতলশায়ী করবো? করলে তোমার ভাই যোয়াবের সাক্ষাতে কি করে মুখ দেখাব?
23. তবুও তিনি ফিরতে সম্মত হলেন না; অতএব অব্নের বর্শার গোড়া তাঁর উদরে এমনভাবে বিদ্ধ করলেন, যে বর্শা তাঁর পৃষ্ঠদেশ দিয়ে বের হল; তাতে তিনি সেখানে পড়ে গেলেন, সেই স্থানেই মারা গলেন এবং যত লোক অসাহেলের পতন ও মরণ স্থানে উপস্থিত হল, সকলেই দাঁড়িয়ে রইলো।
24. কিন্তু যোয়াব ও অবীশয় অব্নেরের পিছনে পিছনে তাড়া করে গেলেন; সূর্যাস্ত-কালে গিবিয়োন মরুভূমিগামী পথের নিকটবর্তী গীহের সম্মুখস্থ অম্মা পাহাড়ের কাছে উপস্থিত হলেন।
25. আর বিন্ইয়ামীনের লোকেরা অব্নেরের পিছনে একত্র দলবদ্ধ হয়ে একটি পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে রইলো।
26. তখন অব্নের যোয়াবকে ডেকে বললেন, তলোয়ার কি চিরকাল গ্রাস করবে? অবশেষে তিক্ততা হবে, এই কথা কি জান না? অতএব তুমি তোমার ভাইদের পিছনে তাড়া করা বন্ধ করতে তোমার লোকদের কত কাল হুকুম না দিয়ে থাকবে?
27. যোয়াব বললেন, জীবন্ত আল্লাহ্র কসম তুমি যদি কথা না বলতে, তবে লোকে প্রাতঃকালেই চলে যেত, আপন ভাইদের পেছন তাড়া করে যেত না।
28. পরে যোয়াব তূরী বাজালেন; তাতে সমস্ত লোক থেমে গেল, ইসরাইলের পিছনে আর তাড়া করলো না, যুদ্ধও আর করলো না।