অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

২ বাদশাহ্‌নামা 3 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

ইসরাইলের উপরে যিহোরামের রাজত্ব

1. এহুদার বাদশাহ্‌ যিহোশাফটের অষ্টাদশ বছরে আহাবের পুত্র যিহোরাম সামেরিয়ায় ইসরাইলে রাজত্ব করতে আরম্ভ করেন এবং বারো বছর রাজত্ব করেন।

2. মাবুদের দৃষ্টিতে যা মন্দ, তিনি তা-ই করতেন; তবুও তাঁর পিতা-মাতার মত ছিলেন না; কেননা তিনি তাঁর পিতার তৈরি বালের স্তম্ভ দূর করে দিলেন।

3. কিন্তু নবাটের পুত্র ইয়ারাবিম ইসরাইলকে যেসব গুনাহ্‌ দ্বারা গুনাহ্‌ করিয়েছিলেন, তাঁর সেসব গুনাহে তিনি আসক্ত থাকলেন, তা থেকে ফিরলেন না।

মোয়াবের সঙ্গে যুদ্ধ

4. মোয়াবের বাদশাহ্‌ মেশা প্রচুর ভেড়ার অধিকারী ছিলেন; তিনি ইসরাইলের বাদশাহ্‌কে কর হিসেবে এক লক্ষ ভেড়ার বাচ্চা এবং এক লক্ষ ভেড়ার লোম দিতেন।

5. কিন্তু আহাব মৃত্যুবরণ করলে পর মোয়াবের বাদশাহ্‌ ইসরাইলের বাদশাহ্‌র অধীনতা ত্যাগ করলেন।

6. সেই সময় বাদশাহ্‌ যিহোরাম সামেরিয়া থেকে বাইরে গিয়ে সমস্ত ইসরাইলকে সংগ্রহ করলেন।

7. পরে তিনি এহুদার বাদশাহ্‌ যিহোশাফটের কাছে দূত পাঠিয়ে বললেন, মোয়াবের বাদশাহ্‌ আমার অধীনতা ত্যাগ করেছে, আপনি কি আমার সঙ্গে মোয়াবের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করবেন? তিনি বললেন, করবো; আমি ও আপনি, আমার লোক ও আপনার লোক, আমার ঘোড়া ও আপনার ঘোড়া, সকলই এক।

8. তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, আমরা কোন পথ দিয়ে যাব? ইনি বললেন, ইদোমের মরুভূমির পথ দিয়ে।

9. পরে ইসরাইলের বাদশাহ্‌, এহুদার বাদশাহ্‌ ও ইদোমের বাদশাহ্‌ যাত্রা করলেন; তাঁরা সাত দিনের পথ ঘুরে গেলেন; তখন তাঁদের সৈন্য ও তাদের সঙ্গে থাকা পশুদের জন্য পানি পাওয়া গেল না।

10. ইসরাইলের বাদশাহ্‌ বললেন, হায়! হায়! মাবুদ মোয়াবের হাতে তুলে দেবার জন্য এই তিন বাদশাহ্‌কে এক সঙ্গে ডেকে এনেছেন।

11. কিন্তু যিহোশাফট বললেন, মাবুদের কোন নবী কি এখানে নেই যে, তাঁর দ্বারা আমরা মাবুদের কাছে জিজ্ঞাসা করতে পারি? ইসরাইলের বাদশাহ্‌র গোলামদের মধ্যে এক জন জবাবে বললো, শাফটের পুত্র যে আল-ইয়াসা ইলিয়াসের হাতে পানি ঢালতেন, তিনি এখানে আছেন।

12. যিহোশাফট বললেন, মাবুদের কালাম তাঁর কাছে আছে। পরে ইসরাইলের বাদশাহ্‌ ও যিহোশাফট এবং ইদোমের বাদশাহ্‌ তাঁর কাছে নেমে গেলেন।

13. তখন আল-ইয়াসা ইসরাইলের বাদশাহ্‌কে বললেন, আপনার সঙ্গে আমার সম্বন্ধ কি? আপনি আপনার পিতার নবীদের ও আপনার মাতার নবীদের কাছ যান। ইসরাইলের বাদশাহ্‌ বললেন, তা নয়, কেননা মোয়াবের হাতে তুলে দেবার জন্য মাবুদ এই তিন বাদশাহ্‌কে একসঙ্গে ডেকে এনেছেন।

14. আল-ইয়াসা বললেন, আমি যাঁর সাক্ষাতে দণ্ডায়মান, সেই বাহিনীগণের জীবন্ত মাবুদের কসম, যদি এহুদার বাদশাহ্‌ যিহোশাফটের মুখের দিকে না চাইতাম, তবে আপনার প্রতি দৃষ্টিপাত করতাম না, আপনাকে দেখতামও না।

15. যা হোক, এখন আমার কাছে এক জন বীণাবাদককে আনা হোক। পরে বাদক বীণা বাজালে মাবুদের হাত আল-ইয়াসার উপরে উপস্থিত হল।

16. আর তিনি বললেন, মাবুদ এই কথা বলেন, তোমরা এই উপত্যকা খাতময় কর।

17. কেননা মাবুদ এই কথা বলেন, তোমরা বায়ু দেখবে না ও বৃষ্টি দেখবে না, তবুও এই উপত্যকা পানিতে পরিপূর্ণ হবে; তাতে তোমরা, তোমাদের সমস্ত পশু ও সমস্ত বাহন পান করবে।

18. আর মাবুদের দৃষ্টিতে এটি অতি ক্ষুদ্র বিষয়, তিনি মোয়াবকেও তোমাদের হাতে তুলে দেবেন।

19. তখন তোমরা প্রত্যেক প্রাচীরবেষ্টিত নগরে ও প্রত্যেক উত্তম নগরে আঘাত করবে, আর প্রত্যেক উত্তম গাছ কেটে ফেলবে ও পানির সমস্ত ফোয়ারা বন্ধ করে দেবে এবং উর্বর ক্ষেতগুলো পাথর দ্বারা বিনষ্ট করবে।

20. পরে খুব ভোরে নৈবেদ্য কোরবানী করার সময়ে দেখ, ইদোমের পথ দিয়ে পানি এসে দেশ পরিপূর্ণ করলো।

21. সমস্ত মোয়াববাসী যখন শুনতে পেল যে, বাদশাহ্‌রা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে এসেছেন, তখন যারা যুদ্ধের সাজ-পোশাক পরতে পারতো তাদের ডাকা হলে পর, তারা সকলে এবং তার চেয়েও বেশি বয়সের লোক একত্র হয়ে সীমাতে দাঁড়িয়ে রইলো।

22. পরে তাঁরা খুব ভোরে উঠলো, তখন সূর্য পানির উপরে চিক্‌মিক্‌ করছিল, তাতে মোয়াবীয়দের কাছে সেই পানি রক্তের মত লাল মনে হল।

23. তখন তারা বললো, এই যে রক্ত; সেই বাদশাহ্‌রা অবশ্য বিনষ্ট হয়েছে, আর লোকেরা পরস্পর মারামারি করে মরেছে; অতএব হে মোয়াব, এখন লুট করতে চল।

24. পরে তারা ইসরাইলের শিবিরে উপস্থিত হলে ইসরাইলরা উঠে মোয়াবীয়দেরকে আঘাত করলো, তাতে ওরা তাদের সম্মুখ থেকে পালিয়ে গেল এবং তারা মোয়াবীয়দেরকে আক্রমণ করতে করতে অগ্রসর হয়ে ওদের দেশে প্রবেশ করলো।

25. তারা সমস্ত নগর ভেঙ্গে ফেললো ও প্রত্যেকে সমস্ত উর্বর ক্ষেতে পাথর ফেলে তা পরিপূর্ণ করলো এবং পানির সমস্ত ফোয়ারা বন্ধ করে দিল ও উত্তম উত্তম সমস্ত গাছ কেটে ফেললো; কেবল কীর্‌-হরাসতে তথাকার পাথরগুলো অবশিষ্ট রাখল, কিন্তু ফিঙ্গাধারীরা নগরের চারদিকে গিয়ে সেখানকার অধিবাসীদের আক্রমণ করলো।

26. মোয়াবের বাদশাহ্‌ যখন দেখলেন যে, যুদ্ধ তার অসহ্য হচ্ছে, তখন তিনি ইদোমের বাদশাহ্‌র কাছে ব্যুহ ভেদ করে যাবার জন্য সাত শত তলোয়ারধারীকে তাঁর সঙ্গে নিলেন; কিন্তু তারা পারল না।

27. পরে যে পুত্র তাঁর পদে বাদশাহ্‌ হত, তাঁর সেই জ্যেষ্ঠ পুত্রকে নিয়ে তিনি প্রাচীরের উপরে পোড়ানো-কোরবানী হিসেবে কোরবানী করলেন। আর ইসরাইলের বিরুদ্ধে অতিশয় ক্রোধ উৎপন্ন হল; পরে তারা তাঁর কাছ থেকে প্রস্থান করে স্বদেশে ফিরে গেল।