অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

২ বাদশাহ্‌নামা 25 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

এহুদার বাদশাহ্‌ সিদিকিয়ের বিদ্রোহ

1. পরে তাঁর রাজত্বের নবম বছরে, দশম মাসের দশম দিনে ব্যাবিলনের বাদশাহ্‌ বখতে-নাসার ও তাঁর সমস্ত সৈন্য এসে জেরুশালেমের বিরুদ্ধে শিবির স্থাপন করলেন ও তাঁর বিরুদ্ধে চারদিকে ঢিবি তৈরি করলেন।

2. সিদিকিয়ের একাদশ বছর পর্যন্ত নগর অবরুদ্ধ থাকলো।

3. পরে (চতুর্থ) মাসের নবম দিনে নগরে মহাদুর্ভিক্ষ হল, দেশের লোকদের জন্য খাদ্যদ্রব্য কিছুই রইলো না।

4. পরে নগরের প্রাচীর একটি জায়গা ভেঙ্গে গেল, আর সমস্ত যোদ্ধা রাত্রে বাদশাহ্‌র বাগানের নিকটস্থ দুই প্রাচীরের মধ্যবর্তী দ্বারের পথ দিয়ে পালিয়ে গেল; তখন কল্‌দীয়েরা নগরের বিরুদ্ধে চারদিকে ছিল। আর বাদশাহ্‌ অরাবা সমভূমির পথে গেলেন।

5. কিন্তু কল্‌দীয়দের সৈন্য বাদশাহ্‌র পিছনে দৌড়ে গিয়ে জেরিকোর সমভূমিতে তাঁকে ধরে ফেললো, তাতে তাঁর সকল সৈন্য তাঁর কাছ থেকে ছিন্নভিন্ন হল।

6. তখন তারা বাদশাহ্‌কে ধরে রিব্‌লাতে ব্যাবিলনের বাদশাহ্‌র কাছে নিয়ে গেল, পরে তাঁর প্রতি দণ্ডাজ্ঞা হল।

7. তারা সিদিকিয়ের সাক্ষাতেই তাঁর পুত্রদেরকে হত্যা করলো এবং সিদিকিয়ের চোখ উৎপাটন করলো ও তাঁকে শিকল দিয়ে বেঁধে ব্যাবিলনে নিয়ে গেল।

8. পরে পঞ্চম মাসের সপ্তম দিনে, ব্যাবিলনের বাদশাহ্‌ বখতে-নাসারের ঊনবিংশ বছরে, ব্যাবিলনের বাদশাহ্‌র গোলাম নবূষরদন নামক রক্ষক-সেনাপতি জেরুশালেমে আসলেন,

9. তিনি মাবুদের গৃহ ও রাজপ্রাসাদ পুড়িয়ে দিলেন, জেরুশালেমের সকল বাড়ি, বড় বড় অট্টলিকাও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিলেন,

10. আর সেই রক্ষক-সেনাপতির অনুগামী কল্‌দীয় সমস্ত সৈন্য জেরুশালেমের চারদিকে প্রাচীর ভেঙে ফেললো।

11. আর রক্ষক-সেনাপতি নবূষরদন নগরের অবশিষ্ট লোকদেরকে ও যারা বিপক্ষে গিয়েছিল, ব্যাবিলনের বাদশাহ্‌র পক্ষ হয়েছিল, তাদেরকে এবং অবশিষ্ট সাধারণ লোকদেরকে বন্দী করে নিয়ে গেলেন।

12. কেবল আঙ্গুরক্ষেত পালন ও ভূমি চাষবাস করবার জন্য রক্ষক-সেনাপতি কতগুলো দীন দরিদ্র লোককে দেশে রাখলেন।

13. আর মাবুদের গৃহের ব্রোঞ্জের দুই স্তম্ভ ও মাবুদের গৃহের সমস্ত পীঠ ও ব্রোঞ্জের সমুদ্রপাত্র কল্‌দীয়েরা খণ্ড-বিখণ্ড করে, সেই সকল ব্রোঞ্জ ব্যাবিলনে নিয়ে গেল;

14. আর পাত্র, হাতা কর্তরী ও চামচ, আর সমস্ত পরিচর্যা কাজের ব্রোঞ্জের পাত্র নিয়ে গেল।

15. আর ধূপদানি ও সমস্ত বাটি, সোনার পাত্রের সোনা ও রূপার পাত্রের রূপা, রক্ষক-সেনাপতি নিয়ে গেলেন।

16. যে দু’টি স্তম্ভ, একটি সমুদ্র-পাত্র ও সমস্ত পীঠ সোলায়মান মাবুদের গৃহের জন্য নির্মাণ করেছিলেন, সেই সকল পাত্রের ব্রোঞ্জ অপরিমিত ছিল।

17. তার একটি স্তম্ভ আঠার হাত উঁচু ও তার উপরে ব্রোঞ্জের একটি মাথলা ছিল, আর সেই মাথলা তিন হাত উঁচু এবং মাথলার উপরে চারদিকে জালকার্য ও ডালিমের আকৃতি সকলই ব্রোঞ্জের ছিল; এবং জালকার্যসুদ্ধ দ্বিতীয় স্তম্ভও এর মত ছিল।

18. পরে রক্ষক-সেনাপতি প্রধান ইমাম সরায়, দ্বিতীয় ইমাম সফনিয় ও তিন জন দ্বারপালকে বন্দী করলেন।

19. আর তিনি নগর থেকে যোদ্ধাদের উপরে নিযুক্ত এক জন কর্মচারী এবং যাঁরা বাদশাহ্‌র মুখদর্শন করতেন, তাঁদের মধ্যে নগরে পাওয়া পাঁচ জন, আর লেখক, দেশের লোক সংগ্রহকারী সেনাপতি এবং নগরে পাওয়া দেশীয় ষাটজনকে বন্দী করলেন।

20. নবূষরদন রক্ষক-সেনাপতি তাঁদেরকে বন্দী করে রিব্‌লাতে ব্যাবিলনের বাদশাহ্‌র কাছে নিয়ে গেলেন।

21. আর ব্যাবিলনের বাদশাহ্‌ হমাৎ দেশস্ত রিব্‌লাতে তাঁদেরকে হত্যা করলেন। এভাবে এহুদার লোকদের নিজের দেশ থেকে বন্দী করে দূরে নিয়ে যাওয়া হল।

গদলিয়কে এহুদার শাসনকর্তা নিযুক্ত

22. এহুদা দেশে যে সমস্ত লোক অবশিষ্ট রইলো, যাদেরকে ব্যাবিলনের বাদশাহ্‌ বখতে-নাসার রেখে গিয়েছিলেন, তাদের উপরে তিনি শাফনের পৌত্র অহীকামের পুত্র গদলিয়কে শাসনকর্তা নিযুক্ত করলেন।

23. পরে ব্যাবিলনের বাদশাহ্‌ গদলিয়কে শাসনকর্তা করেছেন, এই কথা শুনে সেনাপতিরা ও তাঁদের লোকেরা, অর্থাৎ নথনিয়ের পুত্র ইসমাইল, কারেয়ের পুত্র যোহানন, নটোফাতীয় তন্‌হূমতের পুত্র সরায় ও মাখাথীয়ের পুত্র যাসনিয় এবং তাঁদের লোকেরা মিস্পাতে গদলিয়ের কাছে আসলেন।

24. আর গদলিয় তাঁদের কাছে ও তাঁদের লোকদের কাছে কসম খেয়ে বললেন, তোমরা কল্‌দীয় কর্মকর্তাদের ভয় পেয়ো না; দেশে বাস করে ব্যাবিলনের বাদশাহ্‌র গোলামী স্বীকার কর, তোমাদের মঙ্গল হবে।

25. কিন্তু সপ্তম মাসে রাজবংশজাত ইলীশামার পৌত্র নথনিয়ের পুত্র ইসমাইল ও তাঁর সঙ্গী দশ জন আসলেন, আর গদলিয়কে এবং যে ইহুদীরা ও কলদীয়েরা তাঁর সঙ্গে মিস্পাতে ছিল তাদেরকে হত্যা করলেন।

26. পরে ছোট বড় সমস্ত লোক ও সেনাপতিরা কল্‌দীয়দের ভয়ে মিসরে গেলেন।

বন্দীদশা থেকে যিহোয়াখীনের মুক্তি

27. পরে এহুদার বাদশাহ্‌ যিহোয়াখীনের বন্দীত্বের সাঁইত্রিশ বছরে, বারো মাসের সাতাশ দিনে, ব্যাবিলনের বাদশাহ্‌ ইবিল-মারডক যে বছরে রাজত্ব করতে আরম্ভ করেন, সেই বছরে তিনি এহুদার বাদশাহ্‌ যিহোয়াখীনকে কারাগার থেকে মুক্তি দিলেন।

28. আর তিনি তাঁর সঙ্গে ভালভাবে কথা বলে, তাঁর সঙ্গে ব্যাবিলনে যত বাদশাহ্‌ ছিলেন, সকলের আসন থেকে তাঁর আসন উচ্চে স্থাপন করলেন।

29. আর ইনি তাঁর কারাবাসের পোশাক পরিবর্তন করলেন এবং সারা জীবন প্রতিনিয়ত তাঁর সম্মুখে ভোজন পান করতে লাগলেন।

30. তাঁর দিনপাতের জন্য বাদশাহ্‌র হুকুমে তাঁকে নিয়মিতভাবে বৃত্তি দেওয়া হত, তাঁর সমস্ত জীবন প্রতিদিন তাঁকে দিনের উপযুক্ত দ্রব্য দেওয়া হত।