2. তারা সেখানকার সমস্ত স্ত্রীলোক ও ছোট বড় সকলকে বন্দী করে নিয়ে গিয়েছিল; তারা কাউকেও হত্যা করে নি, কিন্তু সকলকে নিয়ে নিজেদের পথে চলে গিয়েছিল।
3. পরে দাউদ ও তাঁর লোকেরা যখন সেই নগরে উপস্থিত হলেন, দেখ, নগর আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ও তাঁদের স্ত্রী পুত্র কন্যাদের বন্দী করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
4. তখন দাউদ ও তাঁর সঙ্গী লোকেরা চিৎকার করে কাঁদতে লাগলেন। শেষে তাদের কাঁদবার শক্তিও আর রইলো না।
5. ঐ সময়ে দাউদের দুই স্ত্রী, যিষ্রিয়েলীয়া অহীনোয়ম ও কর্মিলীয় নাবলের বিধবা অবীগল বন্দী হয়েছিলেন।
6. তখন দাউদ ভীষণ ব্যাকুল হয়ে পড়লেন, কারণ প্রত্যেক জনের মন নিজ নিজ পুত্র কন্যার জন্য শোকাকুল হওয়াতে লোকেরা দাউদকে পাথর ছুঁড়ে মারার কথা বলতে লাগল; তবুও দাউদ তাঁর আল্লাহ্ মাবুদের উপর ভরসা করে নিজেকে সবল করলেন।
7. পরে দাউদ অহীমেলকের পুত্র অবিয়াথর ইমামকে বললেন, আরজ করি, এখানে আমার কাছে এফোদ আন, তাতে অবিয়াথর দাউদের কাছে এফোদ আনলেন।
8. তখন দাউদ মাবুদের কাছে এই কথা জিজ্ঞাসা করলেন, ঐ সৈন্যদলের পিছনে পিছনে গেলে আমি কি তাদের নাগাল পাব? তিনি তাঁকে বললেন, তাদের পিছনে পিছনে তাড়া করে যাও, নিশ্চয়ই তাদের নাগাল পাবে ও সকলকে উদ্ধার করবে।
9. তখন দাউদ ও তাঁর সঙ্গী ছয় শত লোক গিয়ে বিষোর স্রোতে উপস্থিত হলে কতগুলো লোককে সেখানে রাখা হল;
10. কিন্তু দাউদ ও তাঁর সঙ্গী চার শত লোক দুশমনদের পিছনে পিছনে তাড়া করে গেলেন; কারণ দুই শত লোক ক্লান্তির জন্য বিষোর স্রোত পার হতে না পারাতে সেই স্থানে রইলো।