20. আর আলী ইল্কানা ও তাঁর স্ত্রীকে এই দোয়া করলেন, মাবুদকে যা দেওয়া হয়েছিল, তার পরিবর্তে তিনি এই স্ত্রী থেকে তোমাকে আরও সন্তান দিন।
21. পরে তাঁরা স্বস্থানে প্রস্থান করলেন। আর মাবুদ হান্নাকে দোয়া করলেন; তাতে তিনি গর্ভবতী হলেন, আর তিনি তিন পুত্র ও দুই কন্যা প্রসব করলেন। ইতোমধ্যে বালক শামুয়েল মাবুদের সাক্ষাতে বেড়ে উঠতে লাগলেন।
22. আর আলী অতিশয় বৃদ্ধ হলেন এবং সমস্ত ইসরাইলের প্রতি তাঁর পুত্রেরা যা যা করে, সেসব কথা এবং জমায়েত-তাঁবুর দরজার কাছে সেবা করার জন্য যে সমস্ত স্ত্রীলোক আসত তাদের সঙ্গে তারা শয়ন করে, সেই কথা তিনি শুনতে পেলেন।
23. তখন তিনি তাদের বললেন, তোমরা কেন এমন ব্যবহার করছো? আমি এ সব লোকের কাছে তোমাদের মন্দ আচরণের কথা শুনতে পাচ্ছি।
24. হে আমার পুত্ররা, না না, আমি যে জনরব শুনতে পাচ্ছি, তা ভাল নয়; তোমরা মাবুদের লোকদেরকে হুকুম লঙ্ঘন করাচ্ছ।
25. মানুষ যদি মানুষের বিরুদ্ধে গুনাহ্ করে, তবে আল্লাহ্ তার বিচার করবেন; কিন্তু মানুষ যদি মাবুদের বিরুদ্ধে গুনাহ্ করে, তবে তার জন্য কে ফরিয়াদ করবে? তবুও তারা পিতার কথায় কান দিত না, কেননা তাদের হত্যা করা মাবুদের অভিপ্রেত ছিল।
26. কিন্তু বালক শামুয়েল উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়ে মাবুদের ও মানুষের অনুগ্রহ লাভ করতে থাকলেন।
27. পরে আল্লাহ্র এক জন লোক আলীর কাছে এসে বললেন, মাবুদ এই কথা বলেন, যে সময়ে তোমার পিতার কুল মিসরে ফেরাউন-কুলের অধীন ছিল, তখন আমি না প্রত্যক্ষরূপে তাদের দর্শন দিয়েছিলাম?
28. আমার ইমাম হবার জন্য, আমার কোরবানগাহ্র উপরে কোরবানী করতে ও ধূপ জ্বালাবার জন্য, আমার সাক্ষাতে এফোদ পরবার জন্য আমি না ইসরাইলের সমস্ত বংশ থেকে তাকে মনোনীত করেছিলাম? আর বনি-ইসরাইলদের অগ্নিকৃত সমস্ত উপহার না তোমার পিতৃকুলকে দিয়েছিলাম?
29. অতএব আমি আমার নিবাসে যা কোরবানী করতে হুকুম করেছি, আমার সেই কোরবানী ও নৈবেদ্যের উপরে তোমরা কেন পদাঘাত করছো? এবং আমার লোক ইসরাইলের সমস্ত কোরবানীর অগ্রিমাংশ দ্বারা যাতে তোমরা হৃষ্টপুষ্ট হও, এই আশায় তুমি কেন আমার চেয়ে তোমার পুত্রদেরকে বেশি গৌরবান্বিত করছো? অতএব ইসরাইলের আল্লাহ্ মাবুদ বলেন,