8. তাতে তাঁর স্বামী ইল্কানা তাঁকে বলতেন, হান্না, কেন কাঁদছ? কেন ভোজন করছো না? তোমার মন শোকাকুল কেন? তোমার কাছে দশ পুত্রের চেয়েও কি আমি উত্তম নই?
9. একবার শীলোতে ভোজন পান শেষ হলে পর হান্না উঠলেন। তখন মাবুদের এবাদতখানার দ্বারের কাছে ইমাম আলী আসনের উপরে বসে ছিলেন।
10. আর হান্না তিক্তপ্রাণা হয়ে মাবুদের উদ্দেশে মুনাজাত করতে লাগলেন ও প্রচুর কান্নাকাটি করতে লাগলেন।
11. তিনি মানত করে বললেন, হে বাহিনীগণের মাবুদ, যদি তুমি তোমার এই বাঁদীর দুঃখের প্রতি দৃষ্টিপাত কর, আমাকে স্মরণ কর ও তোমার বাঁদীকে ভুলে না গিয়ে তোমার বাঁদীকে পুত্র সন্তান দাও, তবে আমি চিরদিনের জন্য তাকে মাবুদের উদ্দেশে নিবেদন করবো; তার মাথায় ক্ষুর উঠবে না।
12. যতক্ষণ হান্না মাবুদের সাক্ষাতে দীর্ঘ মুনাজাত করলেন, ততক্ষণ আলী তাঁর মুখের দিকে চেয়ে রইলেন।
13. কেননা হান্না মনে মনে কথা বলছিলেন, কেবল তাঁর ঠোঁট নড়ছিল, কিন্তু তাঁর স্বর শোনা গেল না; এজন্য আলী তাঁকে মাতাল মনে করলেন।
14. তাই আলী তাঁকে বললেন, তুমি কতক্ষণ মাতাল হয়ে থাকবে? তোমার আঙ্গুর-রস তোমা থেকে দূর কর।
15. হান্না জবাবে বললেন, হে আমার মালিক, তা নয়, আমি দুঃখিনী স্ত্রী, আঙ্গুর-রস কিংবা সুরা পান করি নি, কিন্তু মাবুদের সাক্ষাতে আমার মনের কথা ভেঙ্গে বলেছি।
16. আপনার এই বাঁদীকে আপনি পাষণ্ড মনে করবেন না; বস্তুত আমার গভীর দুশ্চিন্তা ও মনের কষ্টে আমি এই পর্যন্ত কথা বলছিলাম।
17. তখন আলী উত্তরে বললেন, তুমি শান্তিতে যাও; ইসরাইলের আল্লাহ্র কাছে যা যাচ্ঞা করলে, তা তিনি তোমাকে দিন।
18. হান্না বললেন, আপনার এই বাঁদী আপনার দৃষ্টিতে অনুগ্রহ লাভ করুক। পরে সেই স্ত্রী তাঁর পথে চলে গেলেন এবং ভোজন করলেন; তাঁর মুখ আর বিষণ্ন রইলো না।