অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

১ বাদশাহ্‌নামা 8 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

এবাদতখানার প্রতিষ্ঠা

1. পরে সোলায়মান দাউদ-নগর অর্থাৎ সিয়োন থেকে মাবুদের শরীয়ত-সিন্দুক উঠিয়ে আনবার জন্য ইসরাইলের প্রাচীন নেতৃবর্গদের ও সমস্ত গোষ্ঠীপতি, অর্থাৎ বনি-ইসরাইলদের পিতৃকুলের নেতৃবর্গকে জেরুশালেমে বাদশাহ্‌ সোলায়মানের কাছে উপস্থিত করলেন।

2. তাতে এথানীম মাসে, অর্থাৎ সপ্তম মাসে, উৎসব সময়ে ইসরাইলের সমস্ত লোক বাদশাহ্‌ সোলায়মানের কাছে জমায়েত হল।

3. পরে ইসরাইলের সমস্ত প্রধান ব্যক্তি উপস্থিত হলে ইমামেরা সিন্দুকটি উঠাল।

4. আর তারা মাবুদের সিন্দুক, জমায়েত-তাঁবু ও তাঁবুর মধ্যস্থিত সমস্ত পবিত্র পাত্র উঠিয়ে আনলো; ইমামেরা ও লেবীয়েরা এসব উঠিয়ে আনলো।

5. আর বাদশাহ্‌ সোলায়মান এবং তাঁর কাছে সমাগত সমস্ত ইসরাইলদের মধ্য তাঁর সঙ্গে সিন্দুকের সম্মুখে থেকে অনেক ভেড়া ও গরু কোরবানী করলেন; সেসব এত বেশি ছিল যে, তাদের সংখ্যা গণনা করা গেল না।

6. পরে ইমামেরা মাবুদের শরীয়ত-সিন্দুক নিয়ে গিয়ে স্বস্থানে, গৃহের অন্তর্গৃহে, মহা-পবিত্র স্থানে, দুই কারুবীর পাখার নিচে স্থাপন করলো।

7. সেই কারুবীরা সিন্দুকের স্থানের উপরে পাখা মেলে রইলো, আর উপরে কারুবীরা সিন্দুক ও তার দু’টি বহন-দণ্ড আচ্ছাদন করে রইলো।

8. সেই দুই বহন-দণ্ড এত দীর্ঘ ছিল যে, তার অগ্রভাগ অন্তর্গৃহের সম্মুখে পবিত্র স্থান থেকে দেখা যেত, তবুও তা বাইরে দেখা যেত না; আজ পর্যন্ত তা সেই স্থানে আছে।

9. সিন্দুকের মধ্যে আর কিছু ছিল না, কেবল সেই দু’খানা পাথর-ফলক ছিল যা মূসা হোরেবে তার মধ্যে রেখেছিলেন; সেই সময়ে, মিসর থেকে বনি-ইসরাইলদের বের হয়ে আসার পর, মাবুদ বনি-ইসরাইলদের সঙ্গে নিয়ম করেছিলেন।

10. আর পবিত্র স্থানের মধ্য থেকে ইমামদের বের হবার সময়ে মাবুদের গৃহ মেঘে এমন পরিপূর্ণ হল যে,

11. মেঘের দরুন ইমামেরা পরিচর্যা করার জন্য দাঁড়াতে পারল না; কেননা মাবুদের গৃহ মাবুদের প্রতাপে পরিপূর্ণ হয়েছিল।

12. তখন সোলায়মান বললেন, মাবুদ বলেছেন যে, তিনি ঘোর অন্ধকারে বাস করবেন।

13. আমি সত্যিই তোমার একটি বাস-গৃহ নির্মাণ করালাম; এটি চিরকাল তোমার নিবাসস্থান।

বাদশাহ্‌ সোলায়মানের ভাষণ

14. পরে বাদশাহ্‌ মুখ ফিরিয়ে সমস্ত ইসরাইল-সমাজকে দোয়া করলেন; আর সমস্ত ইসরাইল-সমাজ দণ্ডায়মান হল।

15. আর তিনি বললেন, মাবুদ ধন্য হোন, ইসরাইলের আল্লাহ্‌। তিনি আমার পিতা দাউদের কাছে নিজের মুখে এই কথা বলেছিলেন এবং নিজের হাত দিয়ে এটা সফল করেছেন,

16. যথা, যেদিন আমার লোক ইসরাইলকে মিসর থেকে বের করে এনেছি, সেদিন থেকে আমি আমার নাম স্থাপনের জন্য গৃহ নির্মাণার্থে ইসরাইলের সমস্ত বংশের মধ্যে কোন নগর মনোনীত করি নি; কিন্তু আমার লোক ইসরাইলের নেতা হবার জন্য দাউদকে মনোনীত করেছি।

17. আর ইসরাইলের আল্লাহ্‌ মাবুদের নামের উদ্দেশে একটি গৃহ নির্মাণ করতে আমার পিতা দাউদের বাসনা ছিল।

18. কিন্তু মাবুদ আমার পিতা দাউদকে বললেন, আমার নামের উদ্দেশে একটি গৃহ নির্মাণ করতে তোমার বাসনা হয়েছে; তোমার এরকম মনস্থ করা ভালই বটে।

19. তবুও তুমি সেই গৃহ নির্মাণ করবে না, কিন্তু তোমার বংশ থেকে উৎপন্ন পুত্রই আমার নামের উদ্দেশে গৃহ নির্মাণ করবে।

20. মাবুদ এই যে কথা বলেছিলেন, তা সফল করলেন; মাবুদের ওয়াদা অনুসারে আমি আমার পিতা দাউদের পদ লাভ করে ও ইসরাইলের সিংহাসনে উপবিষ্ট হয়ে ইসরাইলের আল্লাহ্‌ মাবুদের নামের উদ্দেশে এই গৃহ নির্মাণ করেছি।

21. আর মাবুদ আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে মিসর দেশ থেকে বের করার সময়ে তাদের সঙ্গে যে নিয়ম করেছিলেন, তার আধার যে সিন্দুক, সেই সিন্দুকের জন্য আমি এখানে একটি স্থান নির্ধারণ করেছি।

বাদশাহ্‌ সোলায়মানের মুনাজাত

22. পরে সোলায়মান সমস্ত ইসরাইল-সমাজের সাক্ষাতে মাবুদের কোরবানগাহ্‌র সম্মুখে দাঁড়িয়ে বেহেশতের দিকে দু’হাত তুললেন;

23. আর তিনি বললেন, হে মাবুদ, ইসরাইলের আল্লাহ্‌, উপরিস্থ বেহেশতে বা নিচস্থ দুনিয়াতে তোমার মত আর আল্লাহ্‌ নেই। সর্বান্তঃকরণে যারা তোমার সাক্ষাতে চলে, তোমার সেই গোলামদের পক্ষে তুমি নিয়ম পালন ও অটল মহব্বত প্রকাশ করে থাক;

24. তুমি তোমার গোলাম আমার পিতা দাউদের কাছে যা ওয়াদা করেছিলে তা পালন করেছ, যা নিজের মুখে বলেছিলে তা নিজের হাতে সিদ্ধ করেছ, যেমন আজ দেখা যাচ্ছে।

25. এখন, হে মাবুদ, ইসরাইলের আল্লাহ্‌, তুমি তোমার গোলাম আমার পিতা দাউদের কাছে যা ওয়াদা করেছিলে, তা রক্ষা কর; তুমি বলেছিলে, আমার দৃষ্টিতে ইসরাইলের সিংহাসনে বসতে তোমার (বংশে) লোকের অভাব হবে না; কেবলমাত্র যদি আমার সাক্ষাতে তুমি যেমন চলেছ, তোমার সন্তানরা আমার সাক্ষাতে তেমনি চলবার জন্য যার যার পথে সাবধান থাকে।

26. এখন, হে ইসরাইলের আল্লাহ্‌, আরজ করি, তোমার গোলাম আমার পিতা দাউদের কাছে যে কথা তুমি বলেছিলে, তা সফল হোক।

27. কিন্তু আল্লাহ্‌ কি সত্যি সত্যিই দুনিয়াতে বাস করবেন? দেখ, বেহেশত ও বেহেশতের বেহেশত তোমাকে ধারণ করতে পারে না, তবে আমার নির্মিত এই গৃহ কি পারবে?

28. তবুও হে মাবুদ, আমার আল্লাহ্‌, তুমি তোমার গোলামের মুনাজাতে ও বিনতিতে মনোযোগ দাও, তোমার গোলাম আজ তোমার কাছে যে কাতরোক্তি ও মুনাজাত করছে, তা শোন।

29. যে স্থানের বিষয়ে তুমি বলেছ, ‘আমার নাম সেই স্থানে থাকবে;’ সেই স্থানের অর্থাৎ এই গৃহের প্রতি তোমার চোখ দিনরাত উন্মীলিত থাকুক এবং এই স্থানের অভিমুখে তোমার গোলাম যে মুনাজাত করে, তা শুনো।

30. আর তোমার গোলাম ও তোমার লোক ইসরাইল যখন এই স্থানের উদ্দেশে মুনাজাত করবে, তখন তাদের বিনতিতে কান দিও; তোমার নিবাস-স্থান বেহেশতে তা শুনো এবং শুনে তা মাফ করো।

31. কেউ তাঁর প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে গুনাহ্‌ করলে যদি তাকে কসম খেয়ে শপথ করাবার জন্য বাধ্য করা হয়, আর সে এসে এই গৃহে তোমার কোরবানগাহ্‌র সম্মুখে সেই কসম খায়;

32. তবে তুমি বেহেশতে তা শুনো এবং নিষ্পত্তি করে তোমার গোলামদের বিচার করো; দোষীকে দোষী করে তার কাজের ফল তার মাথায় বর্তিয়ে এবং ধার্মিককে ধার্মিক করে তার ধার্মিকতা অনুযায়ী ফল দিও।

33. তোমার লোক ইসরাইল তোমার বিরুদ্ধে গুনাহ্‌ করার দরুন দুশমনের সম্মুখে আহত হওয়ার পর যদি পুনর্বার তোমার দিকে ফেরে এবং এই গৃহে তোমার নামের প্রশংসা-গজল করে তোমার কাছে মুনাজাত ও ফরিয়াদ করে;

34. তবে তুমি বেহেশতে তা শুনো এবং তোমার লোক ইসরাইলের গুনাহ্‌ মাফ করো, আর তাদের পূর্বপুরুষদের এই যে দেশ দিয়েছ, এখানে পুনর্বার তাদেরকে এনো।

35. তোমার বিরুদ্ধে তাদের গুনাহ্‌র দরুন যদি আসমান রুদ্ধ হয়, বৃষ্টি না হয়, আর লোকেরা যদি এই স্থানের উদ্দেশে মুনাজাত করে, তোমার নামের প্রশংসা-গজল করে এবং তোমা থেকে দুঃখ পাওয়াতে যার যার গুনাহ্‌ থেকে ফিরে;

36. তবে তুমি বেহেশতে তা শুনো এবং তোমার গোলামদের ও তোমার লোক ইসরাইলের গুনাহ্‌ মাফ করো ও তাদের গন্তব্য সৎপথ তাদেরকে দেখিও; এবং তুমি তোমার লোকদের যে দেশ অধিকার হিসেবে দিয়েছ, তোমার সেই দেশে বৃষ্টি পাঠিও।

37. দেশে যদি দুর্ভিক্ষ হয়, যদি মহামারী হয়, যদি শস্যের শোষ বা ম্লানি, পঙ্গপাল বা কীট হয়, যদি তাদের দুশমনেরা তাদের দেশে, নগরে নগরে, তাদের অবরোধ করে, যদি কোন মারী বা রোগের প্রাদুর্ভাব হয়;

38. তা হলে কোন ব্যক্তি বা তোমার সমস্ত লোক ইসরাইল, যারা প্রত্যেকে নিজ নিজ মনের কষ্ট জানে এবং এই গৃহের প্রতি দু’হাত তুলে কোন মুনাজাত বা ফরিয়াদ করে;

39. তবে তুমি তোমার নিবাস-স্থান বেহেশতে তা শুনো এবং মাফ করো, কাজ করো এবং প্রত্যেক জনকে স্ব স্ব পথ অনুযায়ী প্রতিফল দিও— তুমি তো তাদের অন্তঃকরণ জান, কেননা একমাত্র তুমিই যাবতীয় মানুষের অন্তঃকরণের খবর জান—

40. যেন আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে তুমি যে দেশ দিয়েছ, এই দেশে তারা যত দিন জীবিত থাকবে, তত দিন তোমাকে ভয় করে।

41. এছাড়া তোমার লোক ইসরাইল গোষ্ঠীর নয়, এমন কোন বিদেশী যখন তোমার নামের অনুরোধে দূর দেশ থেকে আসবে—

42. কারণ তারা তোমার মহানাম, তোমার শক্তিমান হাত ও তোমার বাড়িয়ে দেওয়া বাহুর কথা শুনবে— যখন সে এসে এই গৃহের উদ্দেশে মুনাজাত করবে,

43. তখন তুমি তোমার নিবাস-স্থান বেহেশতে তা শুনো; এবং সেই বিদেশী তোমার কাছে যে কিছু মুনাজাত করবে, সেই অনুসারে করো; যেন তোমার লোক ইসরাইলের মত তোমাকে ভয় করার জন্য দুনিয়ার সমস্ত জাতি তোমার নাম জানতে পারে এবং তারা জানতে পায় যে, আমার নির্মিত এই গৃহের উপরে তোমারই নাম কীর্তিত।

44. তুমি তোমার লোকদেরকে কোন পথে প্রেরণ করলে যদি তারা তাদের দুশমনদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে বের হয় এবং তোমার মনোনীত নগরের অভিমুখে ও তোমার নামের জন্য আমার নির্মিত গৃহের অভিমুখে মাবুদের কাছে মুনাজাত করে;

45. তবে তুমি বেহেশতে তাদের মুনাজাত ও ফরিয়াদ শুনো এবং তাদের বিচার নিষ্পত্তি করো।

46. তারা যদি তোমার বিরুদ্ধে গুনাহ্‌ করে— কেননা গুনাহ্‌ না করে এমন কোন মানুষ নেই এবং তুমি যদি তাদের প্রতি ত্রুুদ্ধ হয়ে দুশমনের হাতে তাদেরকে তুলে দাও ও দুশমনেরা তাদেরকে বন্দী করে দূরস্থ কিংবা নিকটস্থ শত্রু-দেশে নিয়ে যায়;

47. তবুও যে দেশে তাদের বন্দী হিসেবে নেওয়া হয়েছে, সেই দেশে যদি মনে মনে বিবেচনা করে ও ফিরে এবং যারা তাদেরকে বন্দী করে নিয়ে গেছে, তাদের দেশে যদি তোমার কাছে ফরিয়াদ করে বলে, আমরা গুনাহ্‌ করেছি; অপরাধী হয়েছি, অবাধ্য হয়েছি;

48. যে দুশমনেরা তাদেরকে নিয়ে গেছে, তাদের দেশে যদি সমস্ত অন্তঃকরণ ও অকৃত্রিম ইচ্ছা নিয়ে তোমার কাছে ফিরে আসে এবং তুমি তাদের পূর্বপুরুষদেরকে যে দেশ দিয়েছ, তাদের সেই দেশের জন্য, তোমার মনোনীত নগরের জন্য ও তোমার নাম উপলক্ষে আমার নির্মিত গৃহের জন্য যদি তোমার কাছে মুনাজাত করে;

49. তবে তুমি তোমার নিবাসস্থান বেহেশতে তাদের মুনাজাত ও ফরিয়াদ শুনো এবং তাদের বিচার নিষ্পত্তি করো;

50. আর তোমার যে লোকেরা তোমার বিরুদ্ধে গুনাহ্‌ করেছে, তাদেরকে মাফ করো এবং তোমার বিরুদ্ধে কৃত তাদের সমস্ত অধর্ম মার্জনা করো; আর যারা তাদেরকে বন্দী করে নিয়ে যায়, তাদের করুণার পাত্র করো, তারা যেন এদের প্রতি করুণা করে।

51. কেননা এরা তোমারই লোক ও তোমারই অধিকার; তুমি এদেরকে মিসর থেকে, লোহার হাপরের মধ্য থেকে বের করে এনেছ।

52. এভাবে তোমার এই গোলামের বিনতিতে ও তোমার লোক ইসরাইলের বিনতিতে তোমার চোখ উন্মীলিত হোক, আর তারা যে কোন বিষয়ে তোমাকে ডাকে, তুমি তাদের কথায় কান দিও।

53. কেননা হে সার্বভৌম মাবুদ, যখন তুমি আমাদের পূর্বপুরুষদের মিসর থেকে বের করে এনেছিলে, তখন তোমার গোলাম মূসার মধ্য দিয়ে যেমন বলেছিলে, তেমনি তুমিই তোমার অধিকার বলে তাদেরকে দুনিয়ার সমস্ত জাতি থেকে পৃথক করেছ।

ইসরাইল সমাজের জন্য বাদশাহ্‌ সোলায়মানের দোয়া

54. মাবুদের কাছে এ সব মুনাজাত ও ফরিয়াদ শেষ করলেন এবং সোলায়মান এতক্ষণ যে মাবুদের কোরবানগাহ্‌র সম্মুখে জানু পেতে ও বেহেশতের দিকে দু’হাত তুলেছিলেন তা থেকে উঠলেন।

55. আর তিনি দাঁড়িয়ে উচ্চৈঃস্বরে সমস্ত ইসরাইল-সমাজকে দোয়া করলেন, বললেন;

56. মাবুদ ধন্য হোন, যিনি তাঁর সকল ওয়াদা অনুসারে তাঁর লোক ইসরাইলকে বিশ্রাম দিয়েছেন; তিনি তাঁর গোলাম মূসার মধ্য দিয়ে যে ওয়াদা করেছিলেন, সেই উত্তম প্রতিজ্ঞার একটি কথাও অন্যথা হয় নি।

57. আমাদের আল্লাহ্‌ মাবুদ যেমন আমাদের পূর্বপুরুষদের সহবর্তী ছিলেন, তেমনি আমাদেরও সহবর্তী থাকুন, তিনি আমাদেরকে ত্যাগ না করুন, ছেড়ে না যান।

58. তাঁর সমস্ত পথে চলতে ও আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে তিনি যা যা হুকুম করেছিলেন, তাঁরা সেসব হুকুম, বিধি ও অনুশাসন পালন করতে আমাদের অন্তর তাঁর প্রতি আকর্ষণ করুন।

59. আর এই যেসব কথার দ্বারা আমি মাবুদের কাছে অনুরোধ করলাম; আমার এসব কথা দিনরাত আমাদের আল্লাহ্‌ মাবুদের সম্মুখে থাকুক; এবং দিন দিন যেমন প্রয়োজন তেমনি তিনি তাঁর গোলাম ও তাঁর লোক ইসরাইলের বিচার সিদ্ধ করুন;

60. যেন দুনিয়ার সমস্ত জাতি জানতে পারে যে, মাবুদই আল্লাহ্‌, আর কেউ নেই।

61. অতএব তাঁর বিধিপথে চলতে ও তাঁর হুকুম পালন করতে আমাদের আল্লাহ্‌ মাবুদের কাছে তোমাদের অন্তঃকরণ একাগ্র হোক, যেমন আজ দেখা যাচ্ছে।

এবাদতখানার উদ্বোধন

62. পরে বাদশাহ্‌ ও তাঁর সঙ্গে সমস্ত ইসরাইল মাবুদের সম্মুখে কোরবানী করলেন।

63. সোলায়মান মাবুদের উদ্দেশে বাইশ হাজার গরু ও এক লক্ষ বিশ হাজার ভেড়া মঙ্গল-কোরবানী হিসেবে কোরবানী করলেন। এভাবে বাদশাহ্‌ ও সমস্ত বনি-ইসরাইল মাবুদের গৃহ প্রতিষ্ঠা করলেন।

64. সেদিন বাদশাহ্‌ মাবুদের গৃহের সম্মুখস্থ প্রাঙ্গণের মধ্যদেশ পবিত্র করলেন, কেননা তিনি সেই স্থানে পোড়ানো-কোরবানী ও শস্য-উৎসর্গ এবং মঙ্গল-কোরবানীর চর্বি উৎসর্গ করলেন; কারণ পোড়ানো-কোরবানী ও শস্য-উৎসর্গ; এবং মঙ্গল-কোরবানীর চর্বি গ্রহণের জন্য মাবুদের সম্মুখস্থ ব্রোঞ্জের কোরবানগাহ্‌ ছোট ছিল।

65. এভাবে সেই সময়ে সোলায়মান ও তাঁর সঙ্গে সমস্ত ইসরাইল, হমাতের প্রবেশ-স্থান থেকে মিসরের স্রোত পর্যন্ত (দেশবাসী) মহাসমাজ, সাত দিন আর সাত দিন, চৌদ্দ দিন আমাদের আল্লাহ্‌ মাবুদের সম্মুখে উৎসব করলেন।

66. অষ্টম দিনে তিনি লোকদের বিদায় করলেন ও তারা বাদশাহ্‌কে দোয়া করলো এবং মাবুদ তাঁর গোলাম দাউদ ও তাঁর লোক ইসরাইলের যেসব মঙ্গল করেছিলেন, সেই সবের জন্য আনন্দিত ও হৃষ্টচিত্ত হয়ে নিজ নিজ তাঁবুতে চলে গেল।