ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

১ বাদশাহ্‌নামা 22:1-13 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

1. পরে তিন বছর পর্যন্ত উভয় পক্ষ ক্ষান্ত রইলো; অরামের ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধ হল না।

2. তৃতীয় বছরে এহুদার বাদশাহ্‌ যিহোশাফট ইসরাইলের বাদশাহ্‌র কাছে আসলেন।

3. আর ইসরাইলের বাদশাহ্‌ তাঁর গোলামদের বললেন, রামোৎ-গিলিয়দ যে আমাদের, তা কি তোমরা জান না? কিন্তু আমরা অরামের বাদশাহ্‌র হাত থেকে তা না নিয়ে চুপ করে আছি।

4. আর তিনি যিহোশাফটকে বললেন, আপনি কি যুদ্ধ করার জন্য রামোৎ-গিলিয়দে আমার সঙ্গে যাবেন? যিহোশাফট ইসরাইলের বাদশাহ্‌কে বললেন, আমি ও আপনি, আমার লোক ও আপনার লোক এবং আমার ঘোড়া ও আপনার ঘোড়া, সবই এক।

5. পরে যিহোশাফট ইসরাইলের বাদশাহ্‌কে বললেন, আরজ করি, প্রথমে মাবুদের কালামের খোঁজ করুন।

6. তাতে ইসরাইলের বাদশাহ্‌ নবীদেরকে, অনুমান চার শত জনকে একত্র করে জিজ্ঞাসা করলেন, আমি রামোৎ-গিলিয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করবো, না ক্ষান্ত হব? তখন তারা বললো, যাত্রা করুন; প্রভু তা বাদশাহ্‌র হাতে তুলে দিবেন।

7. কিন্তু যিহোশাফট বললেন, এই স্থানে কি মাবুদের এমন কোন নবী নেই যে, আমরা তাঁরই কাছে খোঁজ করতে পারি?

8. ইসরাইলের বাদশাহ্‌ যিহোশাফটকে বললেন, আমরা যার দ্বারা মাবুদের কাছে খোঁজ করতে পারি, এমন আর এক জন আছে, সে ইম্লের পুত্র মীখায়, কিন্তু আমি তাকে ঘৃণা করি, কেননা আমার উদ্দেশে সে মঙ্গলের নয়, কেবল অমঙ্গলের ভবিষ্যদ্বাণী প্রচার করে।

9. যিহোশাফট বললেন, বাদশাহ্‌, এমন কথা বলবেন না। তখন ইসরাইলের বাদশাহ্‌ তাঁর এক জন কর্মচারীকে ডেকে হুকুম দিলেন, ইম্লের পুত্র মীখায়কে শীঘ্র নিয়ে এসো।

10. সেই সময়ে ইসরাইলের বাদশাহ্‌ ও এহুদার বাদশাহ্‌ নিজ নিজ রাজপোশাক পরে সামেরিয়ার দ্বার-প্রবেশ-স্থানের কাছে খোলা জায়গায় যার যার সিংহাসনে বসেছিলেন এবং তাঁদের সম্মুখে নবীরা সকলে ভবিষ্যদ্বাণী প্রচার করছিল।

11. আর কেনানার পুত্র সিদিকিয় লোহার দু’টি শিং তৈরি করে বললো, মাবুদ এই কথা বলেন, এর দ্বারা আপনি অরামের বিনাশ সাধন পর্যন্ত আঘাত করতে থাকবেন।

12. আর নবীরা সকলেই সেরকম ভবিষ্যদ্বাণী প্রচার করলো, বললো, আপনি রামোৎগিলিয়দে যাত্রা করুন, কতকার্য হোন; কেননা মাবুদ তা বাদশাহ্‌র হাতে তুলে দেবেন।

13. আর যে দূত মীখায়কে ডাকতে গিয়েছিল, সে তাঁকে বললো, দেখুন, নবীদের সমস্ত কথা এক মুখে বাদশাহ্‌র পক্ষে মঙ্গল সূচনা করে; আরজ করি, আপনার কথা তাদের কোন একজনের কথার সমান হোক; আপনি মঙ্গলসূচক কথা বলুন।

সম্পূর্ণ অধ্যায় পড়ুন ১ বাদশাহ্‌নামা 22