27. পরে মধ্যাহ্নকালে ইলিয়াস তাদেরকে বিদ্রূপ করে বললেন, উচ্চৈঃস্বরে ডাক; কেননা সে দেবতা; সে ধ্যান করছে, বা কোথাও গেছে, বা পথে চলছে, কিংবা হয়তো ঘুমিয়ে গেছে, তাকে জাগানো চাই।
28. তখন তারা উচ্চৈঃস্বরে ডাকল এবং তাদের রীতি অনুসারে শরীর রক্তের ধারা বহন পর্যন্ত ছুরিকা ও শলাকা দ্বারা নিজেদের ক্ষতবিক্ষত করলো।
29. আর মধ্যাহ্নকাল অতীত হলে তারা বিকাল বেলা কোরবানীর সময় পর্যন্ত ভাবোক্তি প্রচার করতে থাকল, তবুও কোন বাণীও হল না, কেউ জবাবও দিল না, কেউ মনোযোগও করলো না।
30. পরে ইলিয়াস সমস্ত লোককে বললেন, আমার কাছে এসো; তাতে সমস্ত লোক তাঁর কাছে এল। আর তিনি মাবুদের ভেঙ্গে-পড়া কোরবানগাহ্ সারালেন।
31. কারণ ‘তোমার নাম ইসরাইল হবে,’ এই বলে মাবুদের কালাম যে ইয়াকুবের কাছে উপস্থিত হয়েছিল, তাঁর সন্তানদের বংশ-সংখ্যা অনুসারে ইলিয়াস বারোটি পাথর গ্রহণ করলেন।
32. আর তিনি সেই পাথরগুলো দিয়ে মাবুদের নামে একটি কোরবানগাহ্ তৈরি করলেন এবং কোরবানগাহ্র চারদিকে দুই কাঠা বীজ ধরতে পারে, এমন একটি প্রণালী খনন করলেন।
33. পরে তিনি কাঠ সাজিয়ে ষাঁড়টি খণ্ড খণ্ড করে কাঠের উপরে রাখলেন। আর বললেন, চার জালা পানি ভরে এই পোড়ানো-কোরবানীর ও কাঠের উপরে ঢেলে দাও।
34. পরে তিনি বললেন, দ্বিতীয় বার সেটি কর; তারা দ্বিতীয় বার তা করলো। পরে তিনি বললেন, তৃতীয় বার কর; তারা তৃতীয় বার তা করলো।
35. তখন কোরবানগাহ্র চারদিকে পানি গেল এবং তিনি ঐ প্রণালীও পানিতে পরিপূর্ণ করলেন।
36. পরে বিকাল বেলা কোরবানী সময়ে ইলিয়াস নবী কাছে এসে বললেন, হে মাবুদ, ইব্রাহিম, ইস্হাক ও ইসরাইলের আল্লাহ্, আজ জানিয়ে দাও যে, ইসরাইলের মধ্যে তুমিই আল্লাহ্ এবং আমি তোমার গোলাম ও তোমার কালাম অনুসারেই এসব কাজ করলাম।
37. হে মাবুদ, আমাকে উত্তর দাও, আমাকে উত্তর দাও; যেন এই লোকেরা জানতে পারে যে, হে মাবুদ, তুমিই আল্লাহ্ এবং তুমিই এদের অন্তর ফিরিয়ে এনেছ।
38. তখন উপর থেকে মাবুদের আগুন পড়লো এবং পোড়ানো-কোরবানী, কাঠ, পাথর ও ধূলি গ্রাস করলো এবং প্রণালীস্থিত পানিও চেটে খেল।
39. তা দেখে সমস্ত লোক উবুড় হয়ে পড়ে বললো, মাবুদই আল্লাহ্, মাবুদই আল্লাহ্।
40. তখন ইলিয়াস তাদেরকে বললেন, তোমরা বালের নবীদেরকে ধর, তাদের এক জনকেও পালিয়ে রক্ষা পেতে দিও না। তখন তারা তাদেরকে ধরলো, আর ইলিয়াস তাদেরকে নিয়ে কীশোন স্রোতোমার্গে নেমে গেলেন এবং সেখানে তাদেরকে হত্যা করলেন।
41. পরে ইলিয়াস আহাবকে বললেন, আপনি গিয়ে ভোজন পান করুন, কেননা ভারী বৃষ্টির আওয়াজ হচ্ছে।
42. তাতে আহাব ভোজন পান করতে উঠে গেলেন। আর ইলিয়াস কর্মিলের শৃঙ্গে উঠলেন; এবং ভূমির দিকে নত হয়ে তাঁর মুখ দুই জানুর মধ্যে রাখলেন।
43. আর তিনি তাঁর ভৃত্যকে বললেন, তুমি উঠে যাও, সমুদ্রের দিকে দৃষ্টিপাত কর। তাতে সে গিয়ে দৃষ্টিপাত করে বললো, কিছুই নেই। এভাবে সাত বার ইলিয়াস তাকে ফিরে গিয়ে দেখতে বললেন।
44. পরে সপ্তম বারে সে বললো, দেখুন, মানুষের হাতের মত ক্ষুদ্র একখানি মেঘ সমুদ্র থেকে উঠছে। তখন ইলিয়াস বললেন, উঠে গিয়ে আহাবকে বল, রথে ঘোড়া যুড়ে নেমে যান, নাহলে বৃষ্টিতে আপনার ফিরে যাওয়া বাধা সৃষ্টি করবে।