18. আর মাবুদ তাঁর গোলাম অহিয় নবীর দ্বারা যে কালাম বলেছিলেন, সেই অনুসারে সমস্ত ইসরাইল তাকে কবর দিয়ে তার জন্য মাতম করলো।
19. ইয়ারাবিমের অবশিষ্ট বৃত্তান্ত, তিনি কিভাবে যুদ্ধ করলেন ও কিভাবে রাজত্ব করলেন, দেখ, তার বিবরণ ইসরাইলের বাদশাহ্দের ইতিহাস-পুস্তকে লেখা আছে।
20. ইয়ারাবিমের রাজত্বকাল বাইশ বছর; পরে তিনি তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে নিদ্রাগত হলেন; আর তাঁর পুত্র নাদব তাঁর পদে বাদশাহ্ হলেন।
21. সোলায়মানের পুত্র রহবিয়াম এহুদা দেশে রাজত্ব করলেন। রহবিয়াম একচল্লিশ বছর বয়সে রাজত্ব করতে আরম্ভ করেন এবং মাবুদ নিজের নাম স্থাপনার্থে ইসরাইলের সমস্ত বংশ থেকে যে নগর মনোনীত করেছিলেন, সেই জেরুশালেমে তিনি সতের বছর রাজত্ব করেন; তাঁর মায়ের নাম নয়মা, তিনি অম্মোনীয়া।
22. আর এহুদা মাবুদের দৃষ্টিতে যা মন্দ তা-ই করতো; তাদের পূর্বপুরুষেরা যা যা করেছিল, সেই সকলের চেয়ে তারা নিজেদের বেশি গুনাহ্-কর্ম দ্বারা তাঁর অন্তর্জ্বালা জন্মাত।
23. তারাও নিজেদের জন্য অনেক উচ্চস্থলী এবং প্রত্যেক উঁচু পর্বতে ও প্রত্যেক সবুজ গাছের তলে স্তম্ভ ও আশেরা-মূর্তি তৈরি করতো; আর দেশে পুংগামী লোকও ছিল।
24. মাবুদ বনি-ইসরাইলদের সম্মুখ থেকে যে জাতিদের অধিকারচ্যুত করেছিলেন, তাদের সমস্ত ঘৃণিত কাজ অনুসারে ওরা কাজ করতো।
25. আর রহবিয়াম বাদশাহ্র পঞ্চম বছরে মিসরের বাদশাহ্ শীশক জেরুশালেমের বিরুদ্ধে আসলেন;
26. তিনি মাবুদের গৃহের ও রাজপ্রাসাদের ধন নিয়ে গেলেন; তিনি সকল কিছুই নিয়ে গেলেন, এমনকি সোলায়মানের নির্মিত সোনার ঢালগুলোও নিয়ে গেলেন।
27. পরে রহবিয়াম বাদশাহ্ তার পরিবর্তে ব্রোঞ্জের ঢাল তৈরি করিয়ে রাজপ্রাসাদের দ্বারপাল পদাতিকদের নেতৃ-বর্গের হাতে তুলে দিলেন।
28. বাদশাহ্ যখন মাবুদের গৃহে প্রবেশ করতেন তখন ঐ পদাতিকরা সেসব ঢাল ধরত এবং পরে পদাতিকদের ঘরে ফিরিয়ে নিয়ে যেত।
29. রহবিয়ামের অবশিষ্ট বৃত্তান্ত ও সমস্ত কাজের বিবরণ কি এহুদা-বাদশাহ্দের ইতিহাস পুস্তকে লেখা নেই?
30. রহবিয়াম ও ইয়ারাবিমের মধ্যে নিয়ত যুদ্ধ হত।
31. পরে রহবিয়াম তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে নিদ্রাগত হলেন এবং তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে দাউদ-নগরে সমাহিত হলেন। তাঁর মায়ের নাম নয়মা, তিনি অম্মোনীয়া। পরে তাঁর পুত্র অবিয়াম তাঁর পদে বাদশাহ্ হলেন।