অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28
  29. 29

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

১ খান্দাননামা 5 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

রূবেণের বংশ-তালিকা

1. ইসরাইলের জ্যেষ্ঠ পুত্র রূবেণের সন্তান— রূবেণ জ্যেষ্ঠ ছিলেন বটে, কিন্তু তিনি তাঁর পিতার বিছানা নাপাক করেছিলেন, এজন্য তাঁর জ্যেষ্ঠাধিকার ইসরাইলের পুত্র ইউসুফের সন্তানদের দেওয়া হয়, তাই খান্দাননামায় তার স্থান জ্যেষ্ঠাধিকার অনুসারে উল্লেখ করা হয় না।

2. যদিও এহুদা তার ভাইদের মধ্যে পরাক্রমী হল এবং তার বংশ থেকে নায়ক উৎপন্ন হলেন, কিন্তু জ্যেষ্ঠাধিকার ইউসুফের হল।

3. ইসরাইলের জ্যেষ্ঠ পুত্র রূবেণের সন্তান— হনোক ও পল্লু, হিষ্রোণ ও কর্মী।

4. যোয়েলের সন্তান— তার পুত্র শিময়িয়, তার পুত্র গোগ, তার পুত্র শিমিয়ি;

5. তার পুত্র মিকাহ্‌, তার পুত্র রায়া, তার পুত্র বাল;

6. তার পুত্র বেরা; একে আসেরিয়ার বাদশাহ্‌ তিল্‌গৎ-পিলনেষর বন্দী করে নিয়ে গেলেন; সে রূবেণীয়দের নেতা ছিল।

7. যখন তাদের খান্দাননামা লেখা হল, তখন নিজ নিজ গোষ্ঠী অনুসারে এই ভাইয়েরা উল্লিখিত হল; প্রধান যিয়ীয়েল ও জাকারিয়া,

8. আর যোয়েলের সন্তান শেমার সন্তান আসসের সন্তান বেলা; সে অরোয়েরে নবো ও বাল্‌-মিয়োন পর্যন্ত বাস করতো।

9. আর পূর্ব দিকে সে ফোরাত নদী থেকে (বিস্তৃত) মরুভূমির প্রবেশস্থান পর্যন্ত বাস করতো; কেননা গিলিয়দ দেশে তাদের সমস্ত পশু বৃদ্ধি পেয়েছিল।

10. আর তালুতের সময়ে তারা হাগরীয়দের সঙ্গে যুদ্ধ করলো এবং এরা তাদের হাতে পরাজিত হল; আর তারা এদের তাঁবুতে গিলিয়দের পূর্ব দিকে সর্বত্র বসতি করলো।

গাদের বংশ-তালিকা

11. আর গাদ-বংশের লোকেরা তাদের সম্মুখে সলখা পর্যন্ত বাশন দেশে বাস করতো।

12. প্রধান যোয়েল, শাফম দ্বিতীয়, আর যানয় ও শাফট, এরা বাশনে থাকতো।

13. আর তাদের পিতৃকুলজাত জ্ঞাতি মিকাইল, মশুল্লম, শেবা যোরায়, যাকন, সীয় ও এবর, এই সাত জন।

14. বূষের সন্তান যহদোর সন্তান যিশীশয়ের সন্তান মিকাইলের সন্তান গিলিয়দের সন্তান যারোহের সন্তান হূরির সন্তান যে অবীহয়িল, তারা সেই অবীহয়িলের সন্তান।

15. গূনির সন্তান অব্দিয়েলের সন্তান অহি তাদের পিতৃকুলের প্রধান ছিল।

16. তারা গিলিয়দের বাশনে ও সেখানকার উপনগরগুলো এবং তাদের সীমা পর্যন্ত শারোণের সমস্ত পরিসরে বাস করতো।

17. এহুদার বাদশাহ্‌ যোথ ও ইসরাইলের বাদশাহ্‌ ইয়ারাবিমের সময়ে তাদের সকলের খান্দাননামা লেখা হয়েছিল।

18. রূবেণ-বংশের লোকদের, গাদীয়দের ও মানশার অর্ধবংশের মধ্যে ঢাল ও তলোয়ার ধারণে ও ধনুক ব্যবহারে সমর্থ, যুদ্ধে নিপুণ চুয়াল্লিশ হাজার সাত শত ষাট জন শক্তিশালী পুরুষ যুদ্ধযাত্রা করতে সমর্থ ছিল।

19. তারা হাগরীয়দের সঙ্গে এবং যিটূর, নাফীশ ও নোদবের সঙ্গে যুদ্ধ করলো।

20. তারা তাদের বিরুদ্ধে সাহায্য পেল; তাতে হাগরীয়েরা ও তাদের সঙ্গী সমস্ত লোককে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হল, কেননা তারা যুদ্ধে আল্লাহ্‌র কাছে মুনাজাত করেছিল, আর তিনি তাদের মুনাজাত শুনলেন, যেহেতু তারা তাঁর উপর ভরসা করেছিল।

21. আর তারা ওদের পশুধন, অর্থাৎ পঞ্চাশ হাজার উট, আড়াই লক্ষ ভেড়া, দুই হাজার গাধা এবং এক লক্ষ মানুষ নিয়ে গেল।

22. বাস্তবিক, অনেকে নিহত হল, কারণ ঐ যুদ্ধ আল্লাহ্‌ থেকে হয়েছিল। আর তারা বন্দীত্বের সময় পর্যন্ত ওদের স্থানে বাস করলো।

মানশা-গোষ্ঠীর অর্ধেক লোকের বংশ-তালিকা

23. আর মানশার অর্ধেক বংশের সন্তানরা সেই দেশে বাস করতো; তারা বৃদ্ধি পেয়ে বাশন থেকে বাল-হর্মোণ, সনীর ও হর্মোণ পর্বত পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছিল।

24. এসব লোক তাদের পিতৃকুলপতি ছিলেন; এফর, যিশী, ইলীয়েল, অস্রীয়েল, ইয়ারমিয়া, হোদবিয় ও যহদীয়েল, এসব বলবান বীর ও বিখ্যাত লোক নিজ নিজ পিতৃকুলের প্রধান ছিলেন।

25. তারা তাদের পূর্বপুরুষদের আল্লাহ্‌র বিরুদ্ধে বিশ্বাস ভঙ্গ করে করলো এবং আল্লাহ্‌ সেই দেশীয় যে জাতিদের তাদের সম্মুখ থেকে ধ্বংস করেছিলেন, তারা তাদের দেবতাদের পিছনে চলে জেনাকারী হল।

26. তাতে ইসরাইলের আল্লাহ্‌ আসেরিয়ার বাদশাহ্‌ পূলের মন, আসেরিয়ার বাদশাহ্‌ তিল্‌গৎ-পিলনেষরের মন উত্তেজিত করলেন, আর তিনি তাদের অর্থাৎ রূবেণীয় ও গাদীয়দেরকে এবং মানশার অর্ধেক বংশকে নিয়ে গিয়ে হেলহে, হাবোরে, হারাতে ও গোষন নদীতীরে উপস্থিত করলেন; আজও তারা সেই স্থানে আছে।