1. হে ইমামেরা, এই কথা শোন; হে ইসরাইল-কুল, মনোযোগ দাও; হে রাজকুল, কান দাও, কারণ তোমাদেরই বিচার হচ্ছে; কেননা তোমরা মিস্পাতে ফাঁদস্বরূপ ও তাবোরে বিস্তৃত জালস্বরূপ হয়েছ।
2. জুলুমবাজেরা হত্যাকাণ্ডের গভীরে নেমেছে, কিন্তু আমি তাদের সকলকে শাস্তি দেব।
3. আমি আফরাহীমকে জানি, ইসরাইলও আমার অগোচর নয়; বস্তুত হে আফরাহীম, তুমি এখন জেনা করেছ, ইসরাইল নাপাক হয়েছে।
4. তাদের কাজগুলো তাদেরকে তাদের আল্লাহ্র প্রতি ফিরে আসতে দেয় না, কেননা তাদের অন্তরে জেনার রূহ্ থাকে এবং তারা মাবুদকে জানে না।
5. আর ইসরাইলের অহংকার তার মুখের উপরে প্রমাণ দিচ্ছে, এজন্য ইসরাইল ও আফরাহীম নিজেদের অপরাধে হোঁচট খাবে এবং তাদের সঙ্গে এহুদাও হোঁচট খাবে।
6. তারা নিজ নিজ গোমেষপাল নিয়ে মাবুদের খোঁজ করতে যাবে, কিন্তু তাঁর উদ্দেশ পাবে না; তিনি তাদের কাছ থেকে চলে গেছেন।
7. তারা মাবুদের বিরুদ্ধে বেঈমানী করেছে, কারণ বিজাতীয় সন্তান উৎপন্ন করেছে; এখন অমাবস্যা তাদেরকে ও তাদের অধিকার গ্রাস করবে।
8. তোমরা গিবিয়াতে ভেরী বাজাও, রামাতে তুরীধ্বনি কর, বৈৎ-আবনে সিংহনাদ করে বল, হে বিন্ইয়ামীন, তোমার পিছনে দুশমন।
9. ভর্ৎসনার দিনে আফরাহীম ধ্বংসস্থান হবে; যা নিশ্চয় ঘটবে, তা-ই আমি ইসরাইল-বংশগুলোর মধ্যে ঘোষণা করেছি।
10. এহুদার শাসনকর্তারা তাদের মত হয়েছে, যারা সীমার চিহ্ন স্থানান্তর করে; তাদের উপরে আমি পানির মত আমর গজব ঢেলে দেব।
11. আফরাহীম নির্যাতিত ও বিচারে চুরমার হচ্ছে, কারণ সে নিজের ইচ্ছায় মিথ্যা বিধানের অনুসারী হয়েছে।
12. এজন্য আমি আফরাহীমের পক্ষে কীটস্বরূপ, এহুদা-কুলের পক্ষে ক্ষয়স্বরূপ হয়েছি।
13. যখন আফরাহীম নিজের রোগ ও এহুদা নিজের ক্ষত দেখতে পেল, তখন আফরাহীম আশেরিয়া দেশের কাছে গমন করলো ও মহান বাদশাহ্র কাছে লোক পাঠাল; কিন্তু সে তোমাদেরকে সুস্থ করতে পারে না, তোমাদের ক্ষত ভাল করতে পারবে না।
14. কারণ আমি আফরাহীমের পক্ষে সিংহের মত ও এহুদাকুলের পক্ষে যুবা কেশরীর মত হব; আমি, আমিই বিদীর্ণ করে চলে যাব; আমি নিয়ে যাব, কেউ উদ্ধার করবে না।
15. আমি নিজের স্থানে ফিরে যাব, যে পর্যন্ত তারা দোষ স্বীকার না করে ও আমার উপস্থিতির খোঁজ না করে; সঙ্কটের সময়ে তারা সযত্নে আমার খোঁজ করবে।
সম্পূর্ণ অধ্যায় পড়ুন হোসিয়া 5