1. আর তিনি শিটীম কাঠ দিয়ে যে পোড়ানো-কোরবানীর কোরবানগাহ্ তৈরি করলেন তা পাঁচ হাত লম্বা, পাঁচ হাত চওড়া ও তিন হাত উঁচু করে একটা চারকোনা বিশিষ্ট কোরবানগাহ্ তৈরি করা হল।
2. আর তার চার কোণের উপরে শিং তৈরি করলেন; সেসব শিং তার সঙ্গে অখণ্ড ছিল; তিনি তা ব্রোঞ্জ দিয়ে মুড়লেন।
3. পরে তিনি কোরবানগাহ্র সমস্ত পাত্র, অর্থাৎ হাঁড়ি, হাতা, বাটি, ত্রিশূল ও অংগারধানী, এসব পাত্র ব্রোঞ্জ দিয়ে তৈরি করলেন;
4. আর কোরবানগাহ্র জন্য বেড়ের নিচে তলা থেকে মধ্য পর্যন্ত জালির মত কাজ করা ব্রোঞ্জের ঝাঁঝরি প্রস্তুত করলেন।
5. তিনি বহন-দণ্ডের ঘর করে দিতে সেই ব্রোঞ্জের ঝাঁঝরির চার কোণে চারটি কড়া ঢাললেন।
6. পরে তিনি শিটীম কাঠ দিয়ে বহন-দণ্ড তৈরি করে ব্রোঞ্জ দিয়ে মুড়লেন।
7. আর কোরবানগাহ্ বহন করার জন্য তার পাশের কড়াতে ঐ বহন-দণ্ড পরালেন; তিনি ফাঁপা রেখে তা দিয়ে কোরবানগাহ্ তৈরি করলেন।
8. যারা জমায়েত-তাঁবুর দরজার কাছে সেবা করার জন্য আসত, সেসব স্ত্রীলোকের ব্রোঞ্জের তৈরি আয়না দিয়ে তিনি ধোবার পাত্র ও তার গামলা তৈরি করলেন।
9. তিনি প্রাঙ্গণ প্রস্তুত করলেন; দক্ষিণ দিকে প্রাঙ্গণের দক্ষিণ পাশে পাকানো সাদা মসীনা সুতা দিয়ে এক শত হাত পরিমিত পর্দা ছিল।
10. তার বিশটি স্তম্ভ ও বিশটি চুঙ্গি ব্রোঞ্জের এবং সেই স্তম্ভের আঁকড়া ও শলাকাগুলো রূপার ছিল।
11. আর উত্তর দিকের পর্দা এক শত হাত ও তার বিশটি স্তম্ভের আঁকড়া ও সমস্ত শলাকা রূপার ছিল।
12. আর পশ্চিম পাশের পর্দা পঞ্চাশ হাত ও তার দশটি স্তম্ভ ও দশটি চুঙ্গি এবং স্তম্ভের আঁকড়া ও সমস্ত শলাকা রূপার ছিল।
13. আর পূর্ব দিকে পূর্ব পাশের লম্বা ছিল পঞ্চাশ হাত।
14. প্রাঙ্গণের দরজার এক পাশের জন্য পনের হাত পর্দা, তার তিনটি স্তম্ভ ও তিনটি চুঙ্গি,
15. এবং অন্য পাশের জন্যও সেই একই রকম হবে; প্রাঙ্গণের দরজার এদিক ওদিক পনের হাত পর্দা ও তার তিনটি স্তম্ভ ও তিনটি চুঙ্গি ছিল।
16. প্রাঙ্গণের চারদিকের সমস্ত পর্দা পাকানো সাদা মসীনা সুতা দিয়ে তৈরি।
17. আর স্তম্ভের সমস্ত চুঙ্গি ব্রোঞ্জের, স্তম্ভের আঁকড়া ও সমস্ত শলাকা রূপার ও তার মাথলা রূপায় মোড়ানো এবং প্রাঙ্গণের সমস্ত স্তম্ভ রূপার শলাকায় সংযুক্ত ছিল।
18. আর প্রাঙ্গণের দরজার পর্দা নীল বেগুনে, লাল ও পাকানো সাদা মসীনা সুতার সূচিকর্মে তৈরি এবং তার লম্বা বিশ হাত, আর প্রাঙ্গণের পর্দার মতই উচ্চতা চওড়া অনুসারে পাঁচ হাত।
19. আর তার চারটি স্তম্ভ ও চারটি চুঙ্গি ব্রোঞ্জের ও আঁকড়া রূপার এবং তার মাথলা রূপায় মোড়ানো ও শলাকা রূপার ছিল।
20. আর শরীয়ত-তাঁবুর ও প্রাঙ্গণের চারদিকের সমস্ত গোঁজ ব্রোঞ্জের ছিল।
21. শরীয়ত-তাঁবুর, সাক্ষ্যের শরীয়ত-তাঁবুর, জিনিসপত্রের বিবরণ এই— মূসার হুকুম অনুসারে সেসব গণনা করা হল; লেবীয়দের কাজ বলে তা ইমাম হারুনের পুত্র ঈথামরের দ্বারা করা হল।
22. আর মাবুদ মূসাকে যে হুকুম দিয়েছিলেন, সেই অনুসারে এহুদা-বংশজাত হূরের পৌত্র ঊরির পুত্র বৎসলেল সমস্তই তৈরি করেছিলেন।
23. আর দান-বংশজাত অহীষামকের পুত্র অহলীয়াব তাঁর সহকারী ছিলেন; তিনি খোদাই-কর্মে দক্ষ ও নিপুন কারিগর এবং নীল, বেগুনে, লাল ও পাকানো সাদা মসীনা সুতার শিল্পী ছিলেন।
24. পবিত্র শরীয়ত-তাঁবু নির্মাণের সমস্ত কাজে এসব সোনা ব্যবহৃত হল, উপহারের সমস্ত সোনা পবিত্র স্থানের শেকল অনুসারে ঊনত্রিশ তালন্ত সাত শত ত্রিশ শেকল ছিল।
25. আর মণ্ডলীর গণনা-করা লোকদের রূপা পবিত্র স্থানের শেকল অনুসারে এক শত তালন্ত এক হাজার সাত শত পঁচাত্তর শেকল ছিল।
26. গণনা-করা প্রত্যেক লোকের জন্য, অর্থাৎ যারা বিশ বছর বয়স্ক কিংবা তারচেয়ে বেশি বয়স্ক ছিল, সেই ছয় লক্ষ তিন হাজার সাড়ে পাঁচ শত লোকের মধ্যে প্রত্যেক জনের জন্য একেক বেকা, অর্থাৎ পবিত্র স্থানের শেকল অনুসারে অর্ধেক শেকল করে দিতে হয়েছিল।
27. সেই একশত তালন্ত রূপা দিয়ে পবিত্র স্থানের চুঙ্গি ও পর্দার চুঙ্গি তৈরি করা হয়েছিল; এক শত চুঙ্িগর জন্য একশত তালন্ত, একেক চুঙ্িগর জন্য একেক তালন্ত ব্যয় হয়েছিল।
28. আর ঐ এক হাজার সাত শত পঁচাত্তর শেকলে তিনি স্তম্ভগুলোর জন্য আঁকড়া তৈরি করেছিলেন ও তাদের মাথলা মণ্ডিত ও শলাকায় সংযুক্ত করেছিলেন।
29. আর উপহারের ব্রোঞ্জ সত্তর তালন্ত দুই হাজার চার শত শেকল ছিল।
30. তা দ্বারা তিনি জমায়েত-তাঁবুর দরজার চুঙ্গি, ব্রোঞ্জের কোরবানগাহ্ ও তার ব্রোঞ্জের ঝাঁঝরি ও কোরবানগাহ্র সমস্ত পাত্র,
31. এবং প্রাঙ্গণের চারদিকের চুঙ্গি ও প্রাঙ্গণের দরজার চুঙ্গি ও শরীয়ত-তাঁবুর সমস্ত গোঁজ ও প্রাঙ্গণের চারদিকের গোঁজ তৈরি করেছিলেন।