4. আর ভেড়ার বাচ্চা ভোজন করতে যদি কারো পরিজন অল্প হয় তবে সে ও তার বাড়ির নিকটবর্তী প্রতিবেশীদের সংখ্যা অনুসারে একটি ভেড়ার বাচ্চা নেবে। তোমরা একেক জনের ভোজনশক্তি অনুসারে ভেড়ার বাচ্চা নেবে।
5. তোমাদের সেই বাচ্চাটি নিখুঁত ও প্রথম বছরের পুরুষ-বাচ্চা হবে; তোমরা ভেড়ার পালের কিংবা ছাগল পালের মধ্য থেকে তা নেবে;
6. আর এই মাসের চতুর্দশ দিন পর্যন্ত রাখবে; পরে ইসরাইলদের সমস্ত সমাজ সন্ধ্যাবেলা সেই বাচ্চাটি জবেহ্ করবে।
7. আর তারা তার কিঞ্চিত রক্ত নেবে এবং যে যে বাড়িতে ভেড়ার বাচ্চা ভোজন করবে, সেই সেই বাড়ির দরজার দু’টি বাজুতে ও কপালীতে তা লেপে দেবে।
8. পরে সেই রাতে তার গোশ্ত ভোজন করবে; আগুনে সেঁকে খামিহীন রুটি ও তিক্ত শাকের সঙ্গে তা ভোজন করবে।
9. তোমরা তার গোশ্ত কাঁচা কিংবা সিদ্ধ করে খেয়ো না কিন্তু তার মুণ্ড, ঊরু ও অন্তরস্থ ভাগ সহ আগুনে সেঁকে খেয়ো;
10. আর সকাল পর্যন্ত তার কিছুই রেখো না; যদি কিছু অবশিষ্ট থাকে তা আগুনে পুড়িয়ে ফেলো।
11. আর তোমরা এভাবে তা ভোজন করবে; কোমরবন্ধনী পরবে, পায়ে জুতা পরবে, হাতে লাঠি নেবে ও দ্রুত তা ভোজন করবে; এটি মাবুদের ঈদুল ফেসাখ।
12. কেননা সেই রাত্রে আমি মিসর দেশের মধ্য দিয়ে যাব এবং মিসর দেশস্থ মানুষের ও পশুর যাবতীয় প্রথমজাত সন্তানকে আঘাত করবো, আর আমি মিসরের যাবতীয় দেবতার বিচার করে দণ্ড দেব; আমিই মাবুদ।
13. অতএব তোমরা যে যে বাড়িতে থাক, তোমাদের পক্ষে ঐ রক্ত চিহ্নস্বরূপ সেই সেই বাড়ির উপরে থাকবে; তাতে আমি যখন মিসর দেশকে আঘাত করবো, তখন সেই রক্ত দেখলে তোমাদেরকে ছেড়ে এগিয়ে যাব, সংহারের আঘাত তোমাদের উপরে পড়বে না।
14. আর এই দিন তোমাদের স্মরণীয় হবে এবং তোমরা এই দিনটি মাবুদের উৎসব বলে পালন করবে; পুরুষানুক্রমে চিরস্থায়ী বিধিমতে এই উৎসব পালন করবে।