অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

রূত 3 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

বোয়সের খামারে রূত

1. পরে তার শাশুড়ী নয়মী তাকে বললো, বৎসে, তোমার যাতে মঙ্গল হয়, এমন বিশ্রামস্থান আমি কি তোমার জন্য চেষ্টা করবো না?

2. সম্প্রতি যে বোয়সের বাঁদীদের সঙ্গে তুমি ছিলে, তিনি কি আমাদের জ্ঞাতি নন? দেখ, তিনি আজ রাতে খামারে যব ঝাড়বেন।

3. অতএব তুমি এখন গোসল কর, তেল মাখ, তোমার কাপড় পর এবং সেই খামারে নেমে যাও; কিন্তু সেই ব্যক্তি ভোজন পান সমাপ্ত না করলে তাঁকে নিজের পরিচয় দিও না।

4. তিনি যখন শয়ন করবেন, তখন তুমি তাঁর শয়ন স্থান দেখে নিও; পরে সেই স্থানে গিয়ে তাঁর পা অনাবৃত করে শয়ন করো; তাতে তিনি নিজে তোমার কর্তব্য তোমাকে বলবেন।

5. সে জবাবে বললো, তুমি যা বলছো, সে সবই আমি করবো।

6. পরে সে ঐ খামারে নেমে গিয়ে তার শাশুড়ী যা যা হুকুম করেছিল, সকল কিছুই করলো।

7. ফলত বোয়স ভোজন পান করলেন ও তাঁর অন্তঃকরণ প্রফুল্ল হলে তিনি শস্যরাশির প্রান্তে শয়ন করতে গেলেন; আর রূৎ ধীরে ধীরে এসে তাঁর পায়ের উপর থেকে চাদরটা সরিয়ে সেখানে শয়ন করলো।

8. পরে মধ্যরাত্রে বোয়স চম্‌কে উঠে পাশ পরিবর্তন করলেন; আর দেখ, এক জন স্ত্রী লোক তাঁর পায়ের কাছে শুয়ে আছে।

9. তখন তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কে? সে জবাবে বললো, আমি আপনার বাঁদী রূৎ; আপনার এই বাঁদীর উপরে আপনি আপনার পাখা মেলে ধরুন, কারণ আপনি মুক্তিকর্তা জ্ঞাতি।

10. তিনি বললেন, অয়ি বৎসে, তুমি মাবুদের দোয়ার পাত্রী, কেননা ধনবান বা দরিদ্র কোন যুবকের পিছনে না যাওয়াতে তুমি প্রথমাপেক্ষা শেষে বেশি সুশীলতা দেখালে।

11. এখন বৎসে, ভয় করো না, তুমি যা বলবে, আমি তোমার জন্য সেসব করবো; কেননা তুমি যে খুব ভাল মেয়ে, এই আমার স্বজাতীয়দের নগর-দ্বারের সকলেই জানে।

12. আর আমি মুক্তিকর্তা জ্ঞাতি, এই কথা সত্যি; কিন্তু আমা থেকেও নিকট-সম্পর্কীয় আর এক জন জ্ঞাতি আছে।

13. আজ রাতটা তুমি এখানেই থাক, খুব ভোরে সে যদি তোমাকে মুক্ত করে, তবে ভাল, সে মুক্ত করুক; কিন্তু তোমাকে মুক্ত করতে যদি তার ইচ্ছা না হয়, তবে জীবন্ত মাবুদের কসম, আমিই তোমাকে মুক্ত করবো; তুমি সকাল পর্যন্ত শুয়ে থাক।

14. তাতে রূৎ সকাল পর্যন্ত তাঁর চরণ-সমীপে শুয়ে রইলো, পরে কেউ তাকে চিনতে পারে, এমন সময় না হতেই উঠলো; কারণ বোয়স বললেন, খামারে এই এক জন স্ত্রীলোক যে এসেছে এই কথা লোকে যেন জানতে না পারে।

15. তিনি আরও বললেন, তোমার আবরণীয় চাদরটি এনে পেতে ধর। তখন তিনি ছয় (মাণ) যব মেপে তার মাথায় দিয়ে নগরে চলে গেলেন।

16. পরে রূৎ তার শাশুড়ীর কাছে আসলে তার শাশুড়ী বললো, বৎসে কি হল? তাতে সে নিজের প্রতি সেই ব্যক্তির কৃত সমস্ত কাজ তাকে জানালো।

17. আরও বললো, শাশুড়ীর কাছে খালি হাতে যেও না; এই বলে তিনি আমাকে এই ছয় (মাণ) যব দিয়েছেন।

18. পরে তার শাশুড়ী তাকে বললো, হে বৎসে, এই বিষয়ে কি হয়, তা যতক্ষণ পর্যন্ত জানতে না পার, ততক্ষণ পর্যন্ত বসে থাক; কেননা সে ব্যক্তি আজ এই কাজ সমাপ্ত না করে বিশ্রাম করবেন না।