14. তখন রাহেলা ও লেয়া জবাবে তাঁকে বললেন, পিতার বাড়িতে আমাদের কি আর কিছু অংশ ও অধিকার আছে?
15. আমরা কি তাঁর কাছে বিদেশিনীরূপে গণ্য নই? তিনি তো আমাদেরকে বিক্রি করেছেন এবং যা পেয়েছেন নিজেই ভোগ করেছেন।
16. আল্লাহ্ আমাদের পিতার কাছ থেকে যে সমস্ত ধন হরণ করেছেন, সে সবই আমাদের ও আমাদের সন্তানদের। অতএব আল্লাহ্ তোমাকে যা কিছু বলেছেন, তুমি তা-ই করো।
17. তখন ইয়াকুব উঠে তাঁর সন্তানদের ও স্ত্রীদেরকে উটে চড়িয়ে,
18. নিজের উপার্জিত সমস্ত পশুসম্পদ ও ধন, অর্থাৎ পদ্দন-অরামে যে পশু ও যে সম্পত্তি উপার্জন করেছিলেন, তা নিয়ে কেনান দেশে তাঁর পিতা ইস্হাকের কাছে যাত্রা করলেন।
19. সেই সময় লাবন ভেড়ার লোম কাটবার জন্য গিয়েছিলেন; তখন রাহেলা তাঁর পিতার দেবমূর্তিগুলোকে চুরি করলেন।
20. আর ইয়াকুব নিজের পলায়নের কোন সংবাদ না দিয়ে অরামীয় লাবনের সংগে প্রবঞ্চনা করলেন।
21. তিনি নিজের সর্বস্ব নিয়ে পালিয়ে গেলেন এবং (ফোরাত) নদী পার হয়ে গিলিয়দ পর্বত সম্মুখে রেখে চলতে লাগলেন।
22. পরে তৃতীয় দিনে লাবন ইয়াকুবের
23. পলায়নের সংবাদ পেয়ে এবং তাঁর জ্ঞাতিবর্গকে সঙ্গে নিয়ে সাত দিনের পথ তাঁর পিছনে ধাবমান হয়ে গিলিয়দ পর্বতে তাঁর দেখা পেলেন।
24. কিন্তু আল্লাহ্ রাতে স্বপ্নযোগে অরামীয় লাবনের কাছে উপস্থিত হয়ে তাঁকে বললেন, সাবধান, ইয়াকুবকে ভাল-মন্দ কিছুই বলো না।
25. লাবন যখন ইয়াকুবের দেখা পেলেন, তখন ইয়াকুবের তাঁবু পর্বতের উপরে স্থাপিত ছিল; তাতে লাবনও জ্ঞাতিবর্গের সঙ্গে গিলিয়দ পর্বতের উপরে তাঁবু স্থাপন করলেন।
26. পরে লাবন ইয়াকুবকে বললেন, তুমি কেন এমন কাজ করলে? আমার সংগে প্রবঞ্চনা করে আমার কন্যাদেরকে কেন যুদ্ধবন্দীদের মত নিয়ে আসলে?