36. ইস্ বললেন, তার নাম কি ইয়াকুব (বঞ্চক) নয়? বাস্তবিক সে দু’বার আমাকে প্রবঞ্চনা করেছে; সে আমার জ্যেষ্ঠাধিকার হরণ করেছিল এবং দেখুন, এখন আমার দোয়াও হরণ করেছে। তিনি আবার বললেন, আপনি কি আমার জন্য কোন দোয়াই রাখেন নি?
37. তখন ইস্হাক জবাবে ইস্কে বললেন, দেখ, আমি তাকে তোমার মালিক করেছি এবং তার জ্ঞাতি সকলকে তারই গোলাম করেছি, আর তাকে শস্য ও আঙ্গুর-রস দিয়ে সবল করেছি; বৎস, এখন তোমার জন্য আর কি করতে পারি?
38. ইস্ আবার তাঁর পিতাকে বললেন, আব্বা, আপনার কি কেবল ঐ একটি দোয়া ছিল? আব্বা, আমাকে, আমাকেও দোয়া করুন। এই বলে ইস্ চিৎকার করে কান্না করতে লাগলেন।
39. তখন তাঁর পিতা ইস্হাক জবাবে বললেন,দেখ, তোমার বসতি ভূমিরসরসতাবিহীন হবে,উপরিস্থ আসমানের শিশিরবিহীন হবে।
40. তুমি তলোয়ার দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করবেএবং তোমার ভাইয়ের গোলাম হবে;কিন্তু যখন তুমি আস্ফালন করবে,তোমার ঘাড় থেকে তার যোঁয়ালিফেলে দেবে।
41. ইয়াকুব তাঁর পিতার কাছ থেকে দোয়া লাভ করেছিলেন বলে ইস্ ইয়াকুবকে হিংসা করতে লাগলেন। আর ইস্ মনে মনে বললেন, আমার পিতৃশোকের কাল প্রায় উপস্থিত, তারপর আমার ভাই ইয়াকুবকে খুন করবো।
42. জ্যেষ্ঠ পুত্র ইসের এই রকম কথাবার্তা রেবেকা শুনতে পেলেন, তাতে তিনি লোক পাঠিয়ে কনিষ্ঠ পুত্র ইয়াকুবকে ডাকিয়ে বললেন, দেখ, তোমার ভাই ইস্ তোমাকে খুন করার আশাতেই মনকে সান্ত্বনা দিচ্ছে।
43. এখন, হে বৎস, আমার কথা শোন; উঠ, হারণে আমার ভাই লাবনের কাছ পালিয়ে যাও;
44. সেখানে কিছু কাল থাক, যে পর্যন্ত তোমার ভাইয়ের ক্রোধ নিবৃত্ত না হয়।
45. তোমার প্রতি ভাইয়ের ক্রোধ নিরসন হলে এবং তুমি তার প্রতি যা করেছ, তা সে ভুলে গেলে আমি লোক পাঠিয়ে সেখান থেকে তোমাকে আনাবো; এক দিনে তোমাদের দুই জনকেই কেন হারাব?
46. রেবেকা ইস্হাককে বললেন, এই হিট্টিয় কন্যাদের বিষয় আমার প্রাণে ঘৃণা হচ্ছে; যদি ইয়াকুবও এদের মত কোন হিট্টিয় কন্যাকে, এই দেশীয় কন্যাদের মধ্যে কোন কন্যাকে বিয়ে করে তবে প্রাণ ধারণে আমার কি লাভ?