14. পরে ইয়াকুব গিয়ে ছাগলের বাচ্চা এনে মাকে দিলেন, আর তাঁর পিতা যেরকম ভালবাসতেন, মা সেই রকম সুস্বাদু খাদ্য প্রস্তুত করলেন।
15. আর ঘরে তাঁর কাছে জ্যেষ্ঠ পুত্র ইসের যে যে সুন্দর পোশাক ছিল, রেবেকা তা নিয়ে কনিষ্ঠ পুত্র ইয়াকুবকে পরিয়ে দিলেন।
16. আর ঐ দু’টি ছাগলের বাচ্চার চামড়া নিয়ে তাঁর হাতে ও গলদেশের লোমহীন স্থানে জড়িয়ে দিলেন।
17. আর তিনি যে সুস্বাদু খাদ্য ও রুটি তৈরি করেছিলেন তা তাঁর পুত্র ইয়াকুবের হাতে দিলেন।
18. পরে তিনি তাঁর পিতার কাছে গিয়ে বললেন, আব্বা। তিনি জবাবে বললেন, দেখ, এই যে আমি; বৎস, তুমি কে?
19. ইয়াকুব তাঁর পিতাকে বললেন, আমি আপনার জ্যেষ্ঠ পুত্র ইস্; আপনি আমাকে যা হুকুম করেছিলেন, তা করেছি। আরজ করি, আপনি উঠে বসুন এবং আমার আনীত হরিণের গোশ্ত ভোজন করুন, যেন আপনার প্রাণ আমাকে দোয়া করে।
20. তখন ইস্হাক তাঁর পুত্রকে বললেন, বৎস কেমন করে এত শীঘ্র সেটি পেলে? তিনি বললেন, আপনার আল্লাহ্ মাবুদ আমার সম্মুখে শুভফল উপস্থিত করলেন।
21. ইস্হাক ইয়াকুবকে বললেন, বৎস, কাছে এসো; আমি তোমাকে স্পর্শ করে বুঝি, তুমি সত্যিই আমার পুত্র ইস্ কি না।
22. তখন ইয়াকুব তাঁর পিতা ইস্হাকের কাছে গেলে তিনি তাঁকে স্পর্শ করে বললেন, স্বর তো ইয়াকুবের, কিন্তু হাত ইসের হাত।
23. বাস্তবিক তিনি তাঁকে চিনতে পারলেন না, কারণ ভাই ইসের হাতের মত তাঁর হাত লোমযুক্ত ছিল; অতএব তিনি তাঁকে দোয়া করলেন।
24. তিনি বললেন, তুমি কি বাস্তবিকই আমার পুত্র ইস্? তিনি বললেন, হ্যাঁ।
25. তখন ইস্হাক বললেন, আমার কাছে আন; আমি পুত্রের আনীত হরিণের গোশ্ত ভোজন করি, যেন আমার প্রাণ তোমাকে দোয়া করে। তখন তিনি গোশ্ত আনলে ইস্হাক ভোজন করলেন এবং আঙ্গুর-রস এনে দিলে তা পান করলেন।