ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

পয়দায়েশ 25:14-31 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

14. মিশ্‌ম, দুমা, মসা,

15. হদদ, তেমা, যিটূর, নাফীশ ও কেদমা।

16. এরা সবাই ইসমাইলের সন্তান; আর তাঁদের গ্রাম ও তাঁবুপল্লী অনুসারে তাঁদের এই এই নাম; তাঁরা নিজ নিজ জাতি অনুসারে বারো জন গোষ্ঠীপতি ছিলেন।

17. ইসমাইলের জীবনকাল একশত সাঁইত্রিশ বছর ছিল; মৃত্যুর পর তিনি আপন লোকদের কাছে সংগৃহীত হলেন।

18. আর তাঁর সন্তানেরা হবীলা থেকে আসিরিয়ার দিকে মিসরের সম্মুখস্থ শূর পর্যন্ত বসতি করলো; তিনি তাঁর সকল ভাইয়ের সম্মুখে বসতিস্থান পেলেন।

19. ইব্রাহিমের পুত্র ইস্‌হাকের বংশ-বৃত্তান্ত হচ্ছে— ইব্রাহিম ইস্‌হাককে জন্ম দিয়েছিলেন।

20. চল্লিশ বছর বয়সে ইস্‌হাক অরামীয় বথূয়েলের কন্যা অরামীয় লাবনের বোন রেবেকাকে পদ্দন্‌-অরাম থেকে আনিয়ে বিয়ে করেন।

21. ইস্‌হাকের স্ত্রী বন্ধ্যা হওয়াতে তিনি তাঁর জন্য মাবুদের কাছে মুনাজাত করলেন। তাতে মাবুদ তাঁর মুনাজাত শুনলেন, তাঁর স্ত্রী রেবেকা গর্ভবতী হলেন।

22. পরে তাঁর গর্ভের মধ্যে শিশুরা জড়াজড়ি শুরু করলে, তিনি বললেন, যদি এই রকম হয় তবে আমি কেন বেঁচে আছি? আর তিনি মাবুদের কাছে জিজ্ঞাসা করতে গেলেন।

23. তখন মাবুদ তাঁকে বললেন,তোমার জঠরে দু’টি জাতি আছে,ও তোমার উদর থেকে দু’টি বংশপৃথক হবে;এক বংশ অন্য বংশের চেয়ে বলবান হবে,ও জ্যেষ্ঠ কনিষ্ঠের গোলাম হবে।

24. পরে প্রসবকাল সমপূর্ণ হল, আর দেখ, তাঁর গর্ভে যমজ পুত্র।

25. যে প্রথমে ভূমিষ্ঠ হল, সে লাল রংয়ের এবং তার সর্বাঙ্গ লোমশ কাপড়ের মত ছিল। তার নাম ইস্‌ (লোমশ) রাখা হল।

26. পরে তার ভাই ভূমিষ্ঠ হল। তার হাত ইসের পায়ের গোড়ালি ধরেছিল, আর তার নাম ইয়াকুব (গোড়ালি-ধরা) হল; ইস্‌হাকের ষাট বছর বয়সে এই যমজ পুত্র হল।

27. পরে সেই বালকেরা বড় হলে ইস্‌ নিপুণ শিকারী হলেন ও মরুপ্রান্তরে ঘুরে বেড়াতেন; কিন্তু ইয়াকুব ছিলেন শান্ত, তিনি তাঁবুতে বাস করতেন।

28. শিকার করে আনা হরিণের গোশ্‌ত খেতে পছন্দ করতেন বলে ইস্‌হাক ইস্‌কে ভালবাসতেন কিন্তু রেবেকা ইয়াকুবকে ভালবাসতেন।

29. একদিন ইয়াকুব ডাল রান্না করেছেন, এমন সময়ে ইস্‌ ক্লান্ত হয়ে মরুপ্রান্তর থেকে এসে ইয়াকুবকে বললেন, আমি ক্লান্ত,

30. আরজ করি, ঐ লাল, ঐ লাল দিয়ে আমার উদর পূর্ণ করো। এজন্য তাঁর নাম ইদোম (লাল) খ্যাত হল।

31. তখন ইয়াকুব বললেন, আজ তোমার জ্যেষ্ঠাধিকার আমার কাছ বিক্রি করো।

সম্পূর্ণ অধ্যায় পড়ুন পয়দায়েশ 25