26. আর লূতের স্ত্রী তাঁর পিছনে পড়ে পিছন দিকে দৃষ্টিপাত করলো, আর লবণস্তম্ভ হয়ে গেল।
27. আর ইব্রাহিম খুব ভোরে উঠে আগে যে স্থানে মাবুদের সাক্ষাতে দাঁড়িয়েছিলেন, সেখানে গমন করলেন;
28. এবং সাদুম ও আমুরার দিকে ও সেই অঞ্চলের সমস্ত ভূমির দিকে চেয়ে দেখলেন, আর দেখ, ভাটির ধোঁয়ার মত সেই দেশের ধোঁয়া উঠছে।
29. এভাবে সেই অঞ্চলে অবস্থিত সমস্ত নগরের বিনাশকালে আল্লাহ্ ইব্রাহিমকে স্মরণ করে, যে যে নগরে লূত বাস করতেন, সেই সেই নগরের উৎপাটনকালে উৎপাটনের মধ্য থেকে লূতকে রক্ষা করলেন।
30. পরে লূত ও তাঁর দু’টি কন্যা সোয়র থেকে পর্বতে উঠে গিয়ে সেখানে থাকলেন; কেননা তিনি সোয়রে বাস করতে ভয় পেলেন, আর তিনি ও তাঁর সেই দুই কন্যা গুহার মধ্যে বাস করতে লাগলেন।
31. পরে তাঁর জ্যেষ্ঠা কন্যা কনিষ্ঠা কন্যাকে বললো, আমাদের পিতা বৃদ্ধ এবং জগৎ-সংসারের ব্যবহার অনুসারে আমাদেরকে বিয়ে করতে এই দেশে কোন পুরুষ নেই;
32. এসো, আমরা পিতাকে আঙ্গুর-রস পান করিয়ে তাঁর সঙ্গে শয়ন করি, এভাবে পিতার বংশ রক্ষা করবো।
33. তাতে তারা সেই রাতে তাদের পিতাকে আঙ্গুর-রস পান করালো, পরে তাঁর জ্যেষ্ঠা কন্যা পিতার সঙ্গে শয়ন করতে গেল; কিন্তু তার শয়ন ও উঠে যাওয়া লূত টের পেলেন না।
34. আর পরদিন জ্যেষ্ঠা কন্যা কনিষ্ঠা কন্যাকে বললো, দেখ, গত রাতে আমি পিতার সঙ্গে শয়ন করেছিলাম; এসো, আমরা আজ রাতেও পিতাকে আঙ্গুর-রস পান করাই; পরে তুমি গিয়ে তাঁর সঙ্গে শয়ন কর, এভাবে পিতার বংশ রক্ষা করবো।
35. একই ভাবে তারা সেই রাতেও পিতাকে আঙ্গুর-রস পান করাল; পরে কনিষ্ঠা কন্যা তাঁর সঙ্গে শয়ন করলো; কিন্তু তার শয়ন ও উঠে যাওয়া লূত টের পেলেন না।
36. এভাবে লূতের দুই কন্যাই নিজেদের পিতার দ্বারা গর্ভবতী হল।
37. পরে জ্যেষ্ঠা কন্যা পুত্র প্রসব করে তার নাম মোয়াব রাখল; সে এখনকার মোয়াবীয়দের আদিপিতা।
38. আর কনিষ্ঠা কন্যাও পুত্র প্রসব করে তার নাম বিন্-অম্মি রাখল, সে এখনকার অম্মোনীয়দের আদিপিতা।