অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

নহিমিয়া 5 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

দরিদ্রদের উপরে দৌরাত্ম্য নিবারণ

1. পরে নিজেদের ভাই ইহুদীদের বিরুদ্ধে লোকেরা ও তাদের স্ত্রীরা ভীষণ কান্নাকাটি করতে লাগল।

2. কেউ কেউ বললো, আমরা পুত্র কন্যাসুদ্ধ অনেক প্রাণী, আহার করে জীবন ধারণের জন্য শস্য নেব।

3. আর কেউ কেউ বললো, আমরা আমাদের ভূমি, আঙ্গুরক্ষেত ও বাড়ি বন্ধক দিচ্ছি দুর্ভিক্ষের সময়ে শস্য নেব।

4. আর কেউ কেউ বললো, রাজকরের জন্য আমরা নিজ নিজ ভূমি ও আঙ্গুরক্ষেত বন্ধক রেখে টাকা নিয়েছি।

5. কিন্তু আমরা একই জাতির লোক, আমাদের সন্তানেরা তাদের সন্তানদের সমান, তবুও দেখুন, আমরা নিজ নিজ পুত্র কন্যাদের গোলাম বানাতে হয়েছে; আমাদের কন্যাদের মধ্যে কেউ কেউ তো বাঁদীর অবস্থায় পড়েছে; আমাদের কোন সঙ্গতি নেই; এবং আমাদের ভূমি ও আঙ্গুর— ক্ষেতগুলো অন্য লোকদের হয়েছে।

6. তখন আমি তাদের কান্নাকাটি ও এসব কথা শুনে মহাক্রুদ্ধ হলাম।

7. আর আমি মনে মনে বিবেচনা করলাম এবং প্রধান লোকদের ও কর্মকর্তাদেরকে ভর্ৎসনা করে বললাম তোমরা প্রত্যেকে আপন আপন ভাইয়ের কাছ থেকে সুদ আদায় করে থাক। পরে তাদের বিরুদ্ধে মহাসমাজ একত্র করলাম।

8. আর আমি তাদেরকে বললাম বিভিন্ন জাতির কাছে আমাদের যে ইহুদী ভাইদের বিক্রি করা হয়েছিল, তাদেরকে আমরা সাধ্যানুসারে মুক্ত করেছি; এখন তোমাদের ভাইদেরকে তোমরাই কি বিক্রি করবে? আমাদের কাছে কি তাদেরকে বিক্রি করা হবে? তাতে তারা নীরব হল, কোন উত্তর দিতে পারল না।

9. আমি আরও বললাম তোমাদের এই কাজ ভাল নয়; আমাদের দুশমন জাতিদের টিটকারির দরুন তোমরা কি আমাদের আল্লাহ্‌র ভয়ে চলবে না?

10. আমি, আমার ভাইয়েরা ও যুবকেরা, আমরাও সুদের জন্য ওদেরকে টাকা ও শস্য ঋণ দিয়ে থাকি; এসো, আমরা এই সুদ ছেড়ে দিই।

11. তোমরা ওদের শস্যক্ষেত, আঙ্গুরক্ষেত, জলপাইক্ষেত ও গৃহগুলো এবং টাকা, শস্য, আঙ্গুর-রস ও তেলের শতকরা যে সুদ নিয়ে তাদেরকে ঋণ দিয়েছ, তা আজই তাদেরকে ফিরিয়ে দাও।

12. তখন তারা বললো, আমরা তা ফিরিয়ে দেব, তাদের কাছে কিছুই চাইব না; আপনি যা বলবেন, সেই অনুসারে করবো। তখন আমি ইমামদেরকে ডেকে এই ওয়াদা অনুসারে কাজ করতে ওদেরকে কসম করালাম।

13. আবার আমি আমার দেহের কাপড় ঝেড়ে বললাম যে কেউ এই ওয়াদা পালন না করে আল্লাহ্‌ তার বাড়ি ও পরিশ্রমের ফল থেকে তাকে এরকম ঝেড়ে ফেলুন, এভাবে সে ঝাড়া ও শূন্য হোক। তাতে সমস্ত সমাজ বললো, আমিন এবং তারা মাবুদের শুকরিয়া করলো। পরে লোকেরা সেই ওয়াদা অনুসারে কাজ করলো।

হযরত নহিমিয়ার মহানুভবতা

14. এছাড়া, আমি যে সময়ে এহুদা দেশে তাদের নেতৃত্বপদে নিযুক্ত হয়েছিলাম সেই থেকে অর্থাৎ আর্টা-জারেক্সেস বাদশাহ্‌র বিশতম বছর থেকে বত্রিশতম বছর পর্যন্ত, বারো বছর আমি ও আমার ভাইয়েরা শাসনকর্তার বৃত্তি ভোগ করি নি।

15. আমার আগে যেসব শাসনকর্তা ছিলেন, তাঁরা লোকদেরকে ভারগ্রস্ত করতেন এবং তাদের থেকে নগদ চল্লিশ শেকল রূপা ছাড়াও খাদ্য ও আঙ্গুর-রস নিতেন, এমন কি তাঁদের চাকরেরাও লোকদের উপরে কর্তৃত্ব করতো; কিন্তু আমি আল্লাহ্‌ভয়ের দরুন তা করতাম না।

16. আবার আমি এই প্রাচীরের কাজের নিয়োজিত ছিলাম; আমরা ভূমি ক্রয় করতাম না এবং আমার সমস্ত যুবক সেই স্থানে কাজে একত্র হত।

17. আর আমাদের চারদিকের জাতিদের মধ্য থেকে যারা আমাদের কাছে আসত, তাদের ছাড়াও ইহুদী ও কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে এক শত পঞ্চাশ জন আমার টেবিলে আহার করতো।

18. সেই সময়ে প্রতিদিন একটা বলদ, ছয়টা উত্তম ভেড়া, কতগুলো পাখি আমাদের জন্য রান্না করা হত; এছাড়া, প্রতি দশ দিন পর পর নানা রকম আঙ্গুর-রস পরিবেশন করা হত; এ সব সত্ত্বেও লোকদের গোলামীর ভার গুরুতর হওয়াতে আমি শাসনকর্তার বৃত্তি চাইতাম না।

19. হে আমার আল্লাহ্‌, আমি এই লোকদের জন্য যেসব কাজ করেছি, মঙ্গলের জন্য আমার পক্ষে তা স্মরণ কর।