অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

নহিমিয়া 4 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

প্রাচীর পুনর্নির্মাণে বাধা

1. সন্‌্বল্লট যখন শুনতে পেল যে, আমরা প্রাচীর পুনর্নির্মাণ করছি, তখন সে রাগান্বিত ও ভীষণ বিরক্ত হল, আর ইহুদীদেরকে বিদ্রূপ করলো।

2. আর সে তার ভাইদের ও সামেরিয় সৈন্যদলের সাক্ষাতে বললো, এই নিস্তেজ ইহুদীরা কি করছে? এরা কি নিজদেরকে দৃঢ় করবে? এরা কি কোরবানী করবে? এক দিনে কি সমাপ্ত করবে? ধ্বংসস্তূপের ঢিবি থেকে এ সব পাথর তুলে কি সজীব করবে?

3. এসব যে পুড়ে গেছে! তখন অম্মোনীয় টোবীয় তার পাশে ছিল; সেও বললো, ওরা যা পুনর্নির্মাণ করছে, তার উপরে যদি শিয়াল উঠে, তবে তাদের সেই পাথরের প্রাচীর ভেঙে পড়বে।

4. — হে আমাদের আল্লাহ্‌, শোন, কেননা আমাদের তুচ্ছ করা হচ্ছে; ওদের টিটকারী ওদেরই মাথায় বর্তাও এবং ওদেরকে বন্দী হয়ে লুণ্ঠিত বস্তুর মত বিদেশে থাকতে দাও;

5. ওদের অপরাধ ঢেকে রেখো না ও ওদের গুনাহ্‌ তোমার সম্মুখ থেকে মুছে যেতে দিও না; কেননা ওরা গাঁথকদের সম্মুখে তোমাকে অসন্তুষ্ট করেছে।

6. — এভাবে আমরা প্রাচীর গাঁথলাম, তাতে উচ্চতার অর্ধেক পর্যন্ত সমস্ত প্রাচীর সংযোজিত হল, কারণ কাজ করতে লোকদের আগ্রহ ছিল।

7. আর সন্‌্‌্বল্লট ও টোবিয় এবং আরবীয়েরা, অম্মোনীয়েরা ও অস্‌দোদীয়েরা যখন শুনতে পেল, জেরুশালেমের প্রাচীরের মেরামত সম্পন্ন হচ্ছে ও তার সমস্ত ছিদ্র বন্ধ করতে আরম্ভ করা হয়েছে, তখন তারা অতিশয় ক্রুদ্ধ হল;

8. আর তারা সকলে জেরুশালেমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ যাত্রা ও গোলযোগ উৎপন্ন করার জন্য চক্রান্ত করলো।

9. কিন্তু তাদের ভয়ে আমরা আমাদের আল্লাহ্‌র কাছে মুনাজাত করলাম ও দিনরাত তাদের বিরুদ্ধে প্রহরিদেরকে রাখলাম।

10. আর এহুদার লোকেরা বললো, ভারবাহকেরা দুর্বল হয়েছে এবং ধ্বংসাবশেষ অনেক আছে, প্রাচীর গাঁথা আমাদের অসাধ্য।

11. আবার আমাদের দুশমনদের বললো, ওরা জানবে না, দেখবে না, অমনি আমরা ওদের মধ্যে এসে ওদেরকে হত্যা করে কাজ বন্ধ করবো।

12. আর তাদের নিকটবাসী ইহুদীরা সর্বস্থান থেকে এসে দশবার আমাদেরকে বললো, তোমাদেরকে আমাদের কাছে ফিরে আসতে হবে।

13. অতএব আমি প্রাচীরের পিছনের দিকে নিচস্থ অনাবৃত্ত স্থানে লোক নিযুক্ত করলাম, স্ব স্ব গোষ্ঠী অনুসারে তলোয়ার, বর্শা ও ধনুক সমেত লোক নিযুক্ত করলাম।

14. পরে আমি চেয়ে দেখলাম এবং উঠে প্রধান লোকদের, কর্মকর্তাদের ও অন্য সমস্ত লোককে বললাম তোমরা ওদেরকে ভয় পেয়ো না; মহান ও ভয়ঙ্কর প্রভুকে স্মরণ কর এবং আপন আপন ভাইদের, পুত্র ও কন্যাদের, স্ত্রীদের ও বাড়ির জন্য যুদ্ধ কর।

15. আর যখন আমাদের দুশমনেরা শুনতে পেল যে, আমরা জানতে পেরেছি, আর আল্লাহ্‌ তাদের মন্ত্রণা বিফল করেছেন, তখন আমরা সকলে প্রাচীরে নিজ নিজ কাজ করতে পুনর্বার গমন করলাম।

16. আর সেদিন থেকে আমার যুবকদের অর্ধেক লোক কাজ করতো, অন্য অর্ধেক লোক বর্শা, ঢাল, ধনুক ও বর্ম ধরে থাকতো এবং সমস্ত এহুদাকুলের পিছনে নেতৃবর্গ থাকতেন।

17. যারা প্রাচীর গাঁথত এবং যারা ভার বহন করতো, যারা ভার তুলে দিত, তারা সকলে এক হাতে কাজ করতো, অন্য হাতে অস্ত্র ধরত;

18. আর রাজমিস্ত্রিরা প্রত্যেক জন কোমরে তলোয়ার বেঁধে কাজ করতো; এবং তূরীবাদক আমার পাশে থাকতো।

19. আর আমি প্রধান লোকদেরকে, কর্মকর্তাদেরকে ও অন্য সমস্ত লোককে বললাম এই কাজ ভারী ও বিস্তীর্ণ জায়গা জুড়ে এবং আমরা প্রাচীরের উপরে পৃথক পৃথক হয়ে এক জন থেকে অন্য জন দূরে আছি;

20. তোমরা যে কোন স্থানে তূরীর আওয়াজ শুনবে, সেই স্থানে আমাদের কাছে জমায়েত হবে; আমাদের আল্লাহ্‌ আমাদের জন্য যুদ্ধ করবেন।

21. এভাবে আমরা কাজ করতাম এবং সূর্য উঠার সময় থেকে শুরু করে রাতের তারা দেখা যাওয়া পর্যন্ত আমাদের অর্ধেক লোক বর্শা ধরে থাকতো।

22. সেই সময়ে আমি লোকদেরকে আরও বললাম প্রত্যেক পুরুষ নিজ নিজ চাকরের সঙ্গে রাতের বেলায় জেরুশালেমের মধ্যে থাকুক; তারা রাতে আমাদের রক্ষক হবে ও দিনে কাজ করবে।

23. অতএব, আমি, আমার ভাইয়েরা, যুবকেরা ও আমার অনুবর্তী রক্ষকেরা কেউ কাপড় খুলতাম না, প্রত্যেকে নিজ নিজ অস্ত্র সহ পানির কাছে যেতাম।