7. আর আমি বাদশাহ্কে বললাম যদি বাদশাহ্র তুষ্টি হয়, তবে নদী-পারস্থ দেশাধ্যক্ষেরা যেন এহুদায় আমার না পৌঁছা পর্যন্ত আমার যাত্রার সাহায্য করেন, এজন্য তাঁদের নামে আমাকে পত্র দিতে হুকুম দিন।
8. আর বায়তুল-মোকাদ্দসের পাশে অবস্থিত দুর্গ দ্বার ও নগর প্রাচীরের ও আমার নিজের থাকবার বাড়ির কড়িকাঠের জন্য বাদশাহ্র বনরক্ষক আসফ যেন আমাকে কাঠ দেন, এজন্য তাঁর নামেও একখানি পত্র দিতেও হুকুম দিন। তাতে আমার উপরে আমার আল্লাহ্র মঙ্গলময় হাত থাকায় বাদশাহ্ আমাকে সেসব দিলেন।
9. পরে আমি নদী পারস্থ শাসনকর্তাদের কাছে উপস্থিত হয়ে বাদশাহ্র পত্র তাদেরকে দিলাম। বাদশাহ্ সেনাপতিদের ও ঘোড়-সওয়ারদেরকে আমার সঙ্গে পাঠিয়েছিলেন।
10. আর হোরোনীরা সন্বল্লট ও অম্মোনীয় কর্মকর্তা টোবিয় যখন সংবাদ পেল যে, বনি-ইসরাইলদের মঙ্গল করবার জন্য এক জন লোক এসেছে, এই কথা বুঝতে পেরে তারা অতিশয় অসন্তুষ্ট হল।
11. আর আমি জেরুশালেমে উপস্থিত হয়ে সেই স্থানে তিন দিন রইলাম।
12. পরে আমি ও আমার সঙ্গী কয়েকজন পুরুষ, আমরা রাতে উঠলাম; কিন্তু জেরুশালেমের জন্য যা করতে আল্লাহ্ আমার মনে প্রবৃত্তি দিয়েছিলেন, তা কাউকেও বলি নি; এবং আমি যে পশুর উপরে আরোহণ করেছিলাম, সেটি ছাড়া আর কোন পশু আমার সঙ্গে ছিল না।
13. আমি রাতে উপত্যকার দ্বার দিয়ে বের হয়ে নাগ-কূপ ও সার-দ্বার পর্যন্ত গেলাম এবং জেরুশালেমের ভাঙ্গা প্রাচীর ও আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া সমস্ত দ্বার পরিদর্শন করলাম।
14. আর ফোয়ারা-দ্বার ও বাদশাহ্র পুষ্করিণী পর্যন্ত গেলাম, কিন্তু সেই স্থানে আমার বাহন পশুর যাবার স্থান ছিল না।
15. তখন আমি সেই রাতে স্রোতের ধার দিয়ে উপরে উঠে প্রাচীর দেখলাম, আর ফিরে উপত্যকা-দ্বার দিয়ে প্রবেশ করলাম, পরে ফিরে এলাম।
16. কিন্তু আমি কোন্ স্থানে গেলাম, কি করলাম, তা কর্মকর্তারা জানতে পারল না এবং সেই সময় পর্যন্ত আমি ইহুদীদের কি ইমামদের কিংবা প্রধান লোকদের অথবা কর্মকর্তাদেরকে বা অন্য কর্মচারীদের কাউকেও তা বলি নি।
17. পরে আমি তাদেরকে বললাম আমরা কেমন দুরবস্থায় আছি, তা তোমরা দেখছ; জেরুশালেম বিধ্বস্ত ও তার সমস্ত দ্বার আগুনে পোড়ানো রয়েছে; এসো, আমরা জেরুশালেমের প্রাচীর নির্মাণ করি, যেন আর গ্লানির পাত্র না থাকি।
18. পরে আমার উপরে প্রসারিত আল্লাহ্র মঙ্গলময় হাতের কথা এবং আমার প্রতি কথিত বাদশাহ্র কালাম তাদেরকে জানালাম। তাতে তারা বললো, চল, আমরা গিয়ে নির্মাণ করি। এভাবে তারা সেই সাধু কাজের জন্য নিজ নিজ হাত সবল করলো।