1. হে আসমান, আমার কথায় কান দাও, আমি বলি;দুনিয়া আমার মুখের কথা শুনুক।
2. আমার উপদেশ বৃষ্টির মত করেপড়বে,আমার কথা শিশিরের মত করে পড়বে,ঘাসের উপরে পড়া বিন্দু বিন্দু বৃষ্টির মত,লতাগুল্মের উপরে পড়া পানির স্রোতেরমত।
3. কেননা আমি মাবুদের নাম তবলিগকরবো;তোমরা আমাদের আল্লাহ্র মহিমা ঘোষণাকর।
4. তিনি শৈল, তাঁর কাজ সিদ্ধ,কেননা তাঁর সমস্ত পথ ন্যায্য;তিনি বিশ্বাস্য আল্লাহ্, তাঁতে অন্যায় নেই;তিনিই ধর্মময় ও সরল।
5. এরা তাঁর সম্বন্ধে ভ্রষ্টাচারী,তাঁর সন্তান নয়,এই এদের কলঙ্ক;এরা বিপথগামী ও কুটিল বংশ।
6. তোমরা কি মাবুদকে এই প্রতিশোধ দিচ্ছ?হে মূঢ় ও অজ্ঞান জাতি,তিনি কি তোমার পিতা নন,যিনি তোমাকে সৃষ্টি করলেন।তিনিই তোমার নির্মাতা ও স্থিতিকর্তা।
7. পুরাকালের দিনগুলোর কথা স্মরণ কর,বহুপুরুষের সমস্ত বছর আলোচনা কর;তোমার পিতাকে জিজ্ঞাসা কর,সে জানাবে;তোমার প্রাচীনদেরকে জিজ্ঞাসা কর,তারা বলবে।
8. সর্বশক্তিমান আল্লাহ্ যখন জাতিদেরকেঅধিকার দিলেন,যখন মানবজাতিকে পৃথক করলেন,তখন বনি-ইসরাইলদের সংখ্যানুসারেই সেই লোকবৃন্দের সীমা নির্ধারণ করলেন।
9. কেননা মাবুদের লোকই তাঁর উত্তরাধিকার;ইয়াকুবই তাঁর উত্তরাধিকার।
10. তিনি তাকে পেলেন মরুভূমির দেশে,যেখানে পশুরা গর্জন করে সেই ঘোরমরুভূমিতে;তিনি তাকে বেষ্টন করলেন,তার তত্ত্ব নিলেন,নয়ন-তারার মত তাকে রক্ষা করলেন।
11. ঈগল যেমন তার বাসা জাগিয়ে তোলে,তার বাচ্চাগুলোর উপরে পাখা দোলায়,মাখা মেলে তাদেরকে তোলে,পালকের উপরে তাদের বহন করে;
12. সেভাবে মাবুদ একাকী তাকে নিয়েগেলেন;তাঁর সঙ্গে কোন বিজাতীয় দেবতাছিল না।
13. তিনি দুনিয়ার উচ্চস্থলীগুলোর উপর দিয়েতাকে আরোহণ করালেন,সে ক্ষেতের শস্য ভোজন করলো;তিনি তাকে পাষাণ থেকে মধু পানকরালেন,চক্মকি প্রস্তরময় শৈল থেকে তেলদিলেন;