3. গিয়ে অন্য দেবতাদের সেবা করেছে ও আমার হুকুমের বিরুদ্ধে তাদের কাছে অথবা সূর্যের বা চন্দ্রের কিংবা আকাশ-বাহিনীর কারো কাছে ভূমিতে উবুড় হয়েছে;
4. আর তোমাকে তা বলা হয়েছে ও তুমি শুনেছ, তবে যত্নপূর্বক অনুসন্ধান করবে, আর দেখ, যদি বিষয়টি সত্য ও নিশ্চিত হয় যে, ইসরাইলের মধ্যে এরকম ঘৃণার কাজ হয়েছে,
5. তবে তুমি সেই দুষ্কর্মকারী পুরুষ কিংবা স্ত্রীলোককে বের করে তোমার নগর-দ্বারের সমীপে আনবে; পুরুষ বা স্ত্রীলোক হোক, তুমি পাথর ছুঁড়ে তার প্রাণদণ্ড করবে।
6. প্রাণদণ্ডের যোগ্য ব্যক্তির প্রাণদণ্ড দুই জন সাক্ষী কিংবা তিন জন সাক্ষীর প্রমাণে হবে; একমাত্র সাক্ষীর প্রমাণে তার প্রাণদণ্ড হবে না।
7. তাকে হত্যা করতে প্রথমে সাক্ষীরা, পিছনে সমস্ত লোক তার উপরে হাত উঠাবে। এভাবে তুমি তোমার মধ্য থেকে দুষ্টাচার লোপ করবে।
8. রক্তপাত কিংবা বিরোধ কিংবা আঘাতের বিষয়ে দু’জনের ঝগড়া তোমার কোন নগর-দ্বার উপস্থিত হলে যদি তার বিচার তোমার পক্ষে অতি কঠিন হয়, তবে তুমি উঠে তোমার আল্লাহ্ মাবুদের মনোনীত স্থানে যাবে;
9. আর লেবীয় ইমামদের ও তৎকালীন বিচারকর্তার কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করবে, তাতে তারা তোমাকে বিচারের রায় জানিয়ে দেবে।
10. পরে মাবুদের মনোনীত সেই স্থানে তারা বিচারের যে রায় তোমাকে জানাবে, তুমি সেই রায়ের নির্দেশ অনুসারে কাজ করবে; তারা তোমাকে যা নির্দেশ দেবে, সমস্তই যত্নপূর্বক করবে।
11. তারা তোমাকে যে শরীয়ত শিক্ষা দেবে, তার মর্মানুসারে ও তোমাকে বিচারের যে রায় বলবে, সেই অনুসারে তুমি কাজ করবে; তাদের হুকুমের ডানে বা বামে ফিরবে না;
12. কিন্তু যে ব্যক্তি দুঃসাহসপূর্বক আচরণ করে, তোমার আল্লাহ্ মাবুদের পরিচর্যা করার জন্য সেই স্থানে দণ্ডায়মান ইমামের কিংবা বিচারকর্তার কথার অবাধ্য হয়, সেই মানুষ হত হবে। এভাবে তুমি ইসরাইলের মধ্য থেকে দুষ্টাচার লোপ করবে।
13. তাতে সমস্ত লোক তা শুনে ভয় পাবে এবং দুঃসাহসের কাজ আর করবে না।
14. তোমার আল্লাহ্ মাবুদ তোমাকে যে দেশ দিচ্ছেন, তুমি যখন সেখানে গিয়ে দেশ অধিকারপূর্বক সেখানে বাস করবে; আর বলবে, আমার চারদিকের সকল জাতির মত আমিও আমাদের উপরে এক জন বাদশাহ্ নিযুক্ত করবো,
15. তখন তোমার আল্লাহ্ মাবুদ যাকে মনোনীত করবেন, তাকেই তোমাদের উপরে বাদশাহ্ নিযুক্ত করবে; তোমার ভাইদের মধ্য থেকে তোমাদের উপরে বাদশাহ্ নিযুক্ত করবে; যে তোমার ভাই নয়, এমন বিজাতীয় ব্যক্তিকে তোমাদের উপরে বাদশাহ্ করতে পারবে না।