3. আহা! তাঁর চিহ্ন-কাজগুলো কেমন মহৎ! তাঁর অলৌকিক কাজগুলো কেমন পরাক্রমশালী! তাঁর রাজ্য অনন্তকালীন রাজ্য ও তাঁর কর্তৃত্ব পুরুষানুক্রমে স্থায়ী।
4. আমি বখতে-নাসার আমার বাড়িতে শান্তিযুক্ত ও আমার প্রাসাদে তেজস্বী ছিলাম।
5. আমি একটি স্বপ্ন দেখলাম, তা আমার ত্রাসজনক হল এবং বিছানার উপরে নানা চিন্তা ও মনের দর্শন আমাকে ভীষণ ভয় পাইয়ে দিল।
6. অতএব সেই স্বপ্নের তাৎপর্য আমাকে জানবার জন্য আমি ব্যাবিলনের সমস্ত বিদ্বান লোককে আমার কাছে আনতে হুকুম করলাম।
7. পরে মন্ত্রবেত্তা, গণক, কল্দীয় ও জ্যোতির্বেত্তারা আমার কাছে আসলে আমি তাদের কাছে সেই স্বপ্ন বললাম; কিন্তু তারা আমাকে তার তাৎপর্য বলতে পারল না।
8. অবশেষে দানিয়াল, যাঁর নাম আমার দেবতার নাম অনুসারে বেল্টশৎসর, যাঁর অন্তরে পবিত্র দেবতাদের রূহ্ আছেন, তিনি আমার সম্মুখে আসলেন, আর আমি তাঁর কাছে সেই স্বপ্ন বললাম; যথা—
9. হে মন্ত্রবেত্তাদের নেতা বেল্টশৎসর, আমি জানি, পবিত্র দেবতাদের রূহ্ তোমার অন্তরে আছেন এবং কোন গোপন বিষয় জানা তোমার পক্ষে কষ্টকর নয়; আমি স্বপ্নে যে যে দর্শন পেয়েছি, তা ও তার তাৎপর্য আমাকে জানাও।
10. বিছানার উপরে আমার মনের দর্শন এই; আমি দৃষ্টিপাত করলাম, আর দেখ, দুনিয়ার মধ্যস্থলে একটি গাছ রয়েছে, তার উচ্চতা অনেক।
11. সেই গাছটি বৃদ্ধি পেয়ে সুদৃঢ় ও উচ্চতায় আকাশ ছোঁয়া হল, সমস্ত দুনিয়ার প্রান্ত পর্যন্ত দৃশ্যমান হল।
12. তার সুন্দর সুন্দর পাতা ও অনেক ফল ছিল, তার মধ্যে সকলের জন্য খাদ্য ছিল; তার নিচে মাঠের পশুগুলো ছায়া পেত, তার ডালে আসমানের পাখিরা বাস করতো এবং সমস্ত প্রাণী তা থেকে খাদ্য পেত।
13. পরে আমি আমার বিছানার উপরে মনের দর্শনে দৃষ্টিপাত করলাম, আর দেখ, এক জন প্রহরী, এক জন পবিত্র ব্যক্তি, বেহেশত থেকে নেমে আসলেন।