11. তিনি অন্ধকারকে তাঁর অন্তরাল,তাঁর চতুর্দিকস্থ তাঁবু করলেন;পানির ঘন অন্ধকার ও আসমানের ঘন মেঘমালাকে চন্দ্রাতপ করলেন।
12. তাঁর সম্মুখবর্তী তেজ থেকে মেঘমালা সরে গেল,দেখা গেল শিলাবৃষ্টি ও প্রজ্বলিত অঙ্গার।
13. আর মাবুদ আসমানে বজ্রনাদ করলেন,সর্বশক্তিমান তাঁর কণ্ঠস্বর শুনালেন;শিলাবৃষ্টি ও প্রজ্বলিত অঙ্গার দ্বারা।
14. তিনি তাঁর তীর মারলেন, তাদেরকে ছিন্নভিন্ন করলেন;অনেক বিদ্যুৎ চম্কিয়ে তাদেরকে বিশৃঙ্খল করলেন।
15. তখন জলরাশির সমস্ত প্রণালী প্রকাশ পেল,দুনিয়ার সমস্ত মূল অনাবৃত হল, তোমার তর্জনে,হে মাবুদ, তোমার নাসিকার প্রশ্বাসবায়ুতে।
16. তিনি উপর থেকে হাত বাড়িয়ে আমাকে ধরলেন,মহাজলরাশি থেকে আমাকে টেনে তুললেন;
17. তিনি আমাকে উদ্ধার করলেনআমার বলবান দুশমন থেকে, আমার বিদ্বেষীদের থেকে,কেননা তারা আমার চেয়ে শক্তিমান ছিল।
18. আমার বিপদের দিনে তারা আমার কাছে এল,কিন্তু মাবুদ আমার অবলম্বন হলেন।
19. তিনি আমাকে বাইরে প্রশস্ত স্থানে আনলেন,আমাকে উদ্ধার করলেন,কেননা তিনি আমাতে সন্তুষ্ট ছিলেন।
20. মাবুদ আমার ধার্মিকতানুযায়ী পুরস্কার দিলেন,আমার হাতের পবিত্রতা অনুযায়ী ফল দিলেন।
21. কেননা আমি মাবুদের পথে চলেছি,দুষ্টতাপূর্বক আমার আল্লাহ্কে ছেড়ে যাই নি।
22. কারণ তাঁর সমস্ত অনুশাসন আমার সম্মুখে ছিল,আমি তাঁর বিধি আমা থেকে দূর করি নি।
23. আর আমি তাঁর উদ্দেশে সিদ্ধ ছিলাম,আমার অপরাধ থেকে নিজেকে রক্ষা করতাম।
24. তাই মাবুদ আমার ধার্মিকতা অনুসারে ফল দিলেন,তাঁর সাক্ষাতে আমার হাতের পবিত্রতা অনুসারে দিলেন।
25. তুমি দয়াবানের সঙ্গে সদয় ব্যবহার করবে,সিদ্ধের সঙ্গে সিদ্ধ ব্যবহার করবে।
26. তুমি খাঁটিদের সঙ্গে খাঁটি ব্যবহার করবে,কুটিলের সঙ্গে চতুরতা ব্যবহার করবে।
27. কেননা তুমি দুঃখীদেরকে নিস্তার করবে,কিন্তু গর্বিত নয়ন অবনত করবে।