ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

কাজীগণ 19:7-26 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

7. তবুও সেই ব্যক্তি যাবার জন্য উঠলো; কিন্তু তার শ্বশুর তাকে সাধ্যসাধনা করলে সে সেই রাত সেখানে থাকল।

8. পরে পঞ্চম দিনে সে যাবার জন্য খুব ভোরে উঠলো; আর যুবতীর পিতা তাকে বললো, আরজ করি, তোমার অন্তঃকরণ সুস্থির কর, বৈকাল পর্যন্ত তোমরা বিলম্ব কর; তাতে তারা উভয়ে আহার করলো।

9. পরে সেই ব্যক্তি, তার উপপত্নী ও ভৃত্য যাবার জন্য উঠলে তার শ্বশুর ঐ যুবতীর পিতা তাকে বললো, দেখ, প্রায় দিবাবসান হল, আরজ করি, তোমরা এই রাতটুকু বিলম্ব কর; দেখ, বেলা শেষ হয়েছে; তুমি এই স্থানে রাত্রিবাস কর, প্রফুল্লচিত্ত হও; আগামীকাল তোমরা প্রত্যুষে উঠলেই তুমি তোমার তাঁবুতে যেতে পারবে।

10. কিন্তু ঐ ব্যক্তি সেই রাত বিলম্ব করতে অসম্মত হল; সে উঠে যাত্রা করে যিবূষের অর্থাৎ জেরুশালেমের সম্মুখে এসে উপস্থিত হল; তার সঙ্গে দু’টি সজ্জিত গাধা ছিল; আর তার উপপত্নীও সঙ্গে ছিল।

11. যিবূষের কাছে উপস্থিত হলে দিবা প্রায় অবসান হল। তাতে ভৃত্যটি তার মালিককে বললো, আরজ করি, আসুন, আমরা যিবূষীয়দের এই নগরে প্রবেশ করে রাত্রি যাপন করি।

12. কিন্তু তার মালিক তাকে বললো, যারা ইসরাইল নয়, এমন বিজাতীয়দের নগরে আমরা প্রবেশ করবো না; আমরা বরং অগ্রসর হয়ে গিবিয়াতে যাব।

13. সেই ভৃত্যটিকে আরও বললো, এসো, আমরা এই অঞ্চলের কোন স্থানে যাই, গিবিয়াতে কিংবা রামাতে রাত যাপন করি।

14. এভাবে তারা অগ্রসর হয়ে চললো; পরে বিন্‌ইয়ামীনের অধিকৃত গিবিয়ার কাছে উপস্থিত হলে সূর্য অস্তগত হল।

15. তখন তারা গিবিয়াতে রাত্রিবাস করার জন্য পথ ছেড়ে সেই নগরে প্রবেশ করলো এবং নগরের চকে বসে রইলো, কিন্তু কোন ব্যক্তি তাদেরকে তার বাড়িতে রাত্রি-বাস করার জন্য গ্রহণ করলো না।

16. আর দেখ, এক জন বৃদ্ধ সন্ধ্যাবেলা কাজের শেষে ক্ষেত থেকে ফিরছিলেন। সেই ব্যক্তি পর্বতময় আফরাহীম দেশের লোক; আর তিনি গিবিয়াতে প্রবাস করছিলেন, কিন্তু নগরের লোকেরা ছিল বিন্‌ইয়ামীনীয়।

17. সেই ব্যক্তি চোখ তুলে নগরের চকে ঐ পথিককে দেখলেন; আর বৃদ্ধ জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কোথায় যাচ্ছ? কোথা থেকে আসছ?

18. সে তাঁকে বললো, আমরা বেথেলহেম-এহুদা থেকে পর্বতময় আফরাহীম প্রদেশের প্রান্তভাগে যাচ্ছি; আমি সেই স্থানের লোক; বেথেলহেম-এহুদা পর্যন্ত গিয়েছিলাম। আমি মাবুদের গৃহে যাচ্ছি, আর আমাকে কোন ব্যক্তি নিজের বাড়িতে গ্রহণ করে না।

19. আমাদের সঙ্গে গাধাদের জন্য পোয়াল ও কলাই এবং আমার জন্য, আপনার এই বাঁদীর জন্য এবং আপনার গোলাম-বাঁদীর সঙ্গী এই যুবকের জন্য রুটি ও আঙ্গুর-রস আছে, কোন দ্রব্যের অভাব নেই।

20. বৃদ্ধ বললেন, তোমার শান্তি হোক, তোমার যা কিছু প্রয়োজনীয়, তার ভার আমার উপরে থাকুক; তুমি কোনভাবেই এই চকে রাত্রি যাপন করো না।

21. পরে বৃদ্ধ তাকে তাঁর বাড়িতে এনে গাধাগুলোকে খাবার দিলেন এবং তারা পা ধুয়ে ভোজন পান করলো।

22. তারা এভাবে নিজেদের আপ্যায়ন করছে, এমন সময়ে, দেখ, নগরের কতগুলো পাষণ্ড লোক সেই বাড়ির চারদিক ঘিরে দরজায় আঘাত করতে লাগল। তারা বাড়ির কর্তা ঐ বৃদ্ধকে বললো, তোমার বাড়িতে যে ব্যক্তি এসেছে, তাকে বের করে আন; আমরা তার সঙ্গে জেনা করব।”

23. তাতে সেই ব্যক্তি অর্থাৎ, বাড়ির কর্তা, বের হয়ে তাদের কাছে গিয়ে বললেন, হে আমার ভাইয়েরা, না, না; আরজ করি, এমন দুষ্কর্ম করো না; ঐ ব্যক্তি আমার বাড়িতে এসেছে, অতএব এমন মূঢ়তার কাজ করো না।

24. দেখ, আমার অনূঢ়া কন্যা এবং তার উপপত্নী এখানে রয়েছে; এদেরকে বের করে আনি; তোমরা তাদের মানভ্রষ্ট কর ও তাদের প্রতি তোমাদের যা ভাল মনে হয় তা-ই কর; কিন্তু সেই ব্যক্তির প্রতি এমন মূঢ়তার কাজ করো না।

25. তবুও তারা তাঁর কথা শুনল না; তখন ঐ ব্যক্তি তার উপপত্নীকে ধরে তাদের কাছে বের করে আনলো; আর তারা তার মানভ্রষ্ট করলো এবং প্রভাত পর্যন্ত সমস্ত রাত তার প্রতি অত্যাচার করলো; পরে আলো হয়ে আসলে তাকে ছেড়ে দিল।

26. তখন রাত পোহালে ঐ স্ত্রী তার স্বামী যে বাড়িতে ছিল বৃদ্ধের সেই বাড়ির দরজার কাছে এসে সূর্যোদয় পর্যন্ত পড়ে রইলো।

সম্পূর্ণ অধ্যায় পড়ুন কাজীগণ 19