ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

কাজীগণ 16:3-20 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

3. কিন্তু শামাউন মাঝ রাত পর্যন্ত শয়ন করলেন, মাঝ রাতে উঠে তিনি নগর-দ্বারের অর্গলসুদ্ধ দুই কবাট ও দুই বাঁজু ধরে উপড়ে ফেললেন এবং কাঁধে করে হেবরনের সম্মুখস্থ পর্বতের চূড়ায় নিয়ে গেলেন।

4. এরপরে তিনি সোরেক উপত্যকার দলীলা নামে এক জন স্ত্রীলোককে ভালবাসলেন।

5. তাতে ফিলিস্তিনীদের ভূপালেরা সেই স্ত্রীর কাছে এসে তাকে বললেন, তুমি তার কাছ থেকে কৌশলে জেনে নাও, কিসে তার এমন মহাবল হয় ও কিসে আমরা তাকে জয় করে কষ্ট দবার জন্য রাখতে পারব; তাতে আমরা প্রত্যেকে তোমাকে এগার শত রূপা মুদ্রা দেব।

6. তখন দলীলা শামাউনকে বললো, আরজ করি, তোমার এমন মহাবল কিসে হয়, আর কষ্ট দেবার জন্য কি দিয়ে তোমাকে বাঁধতে পারা যায় তা আমাকে বল।

7. শামাউন তাকে বললেন, শুকিয়ে যায় নি এমন সাত গাছা কাঁচা শক্ত চিকন দড়ি দিয়ে যদি তারা আমাকে বাঁধে, তবে আমি দুর্বল হয়ে অন্য লোকের সমান হয়ে পড়বো।

8. ফিলিস্তিনীদের ভূপালেরা শুকিয়ে যায় নি এমন সাত গাছা কাঁচা চিকন দড়ি এনে সেই স্ত্রীকে দিলেন; আর সে তা দিয়ে তাঁকে বাঁধল।

9. তখন তার বাড়ির অভ্যন্তরে গোপনে লোক বসে ছিল। পরে দলীলা তাঁকে বললো, হে শামাউন, ফিলিস্তিনীরা তোমাকে ধরতে এসেছে। তাতে আগুনের তাপে শনের সুতা যেমন ছিন্ন হয়, তেমনি তিনি ঐ চিকন সমস্ত দড়ি ছিঁড়ে ফেললেন; এভাবে তাঁর শক্তির গোপন রহস্য জানা গেল না।

10. পরে দলীলা শামাউনকে বললো, দেখ, তুমি আমাকে উপহাস করলে, আমাকে মিথ্যা কথা বললে; এখন আরজ করি, কি দিয়ে তোমাকে বাঁধতে পারা যায়, তা আমাকে বল।

11. তিনি তাকে বললেন, যে দড়ি দিয়ে কোন কাজ করা হয় নি, এমন কয়েক গাছা নতুন দড়ি দিয়ে যদি তারা আমাকে বাঁধে, তবে আমি দুর্বল হয়ে অন্য লোকের সমান হয়ে পড়বো।

12. তাতে দলীলা নতুন দড়ি নিয়ে তা দিয়ে তাঁকে বাঁধল; পরে তাঁকে বললো, হে শামাউন, ফিলিস্তিনীরা তোমাকে ধরতে এসেছে। তখন বাড়ির অভ্যন্তরে গুপ্তভাবে লোক বসেছিল কিন্তু তিনি তাঁর বাহু থেকে সুতার মত ঐ সমস্ত দড়ি ছিঁড়ে ফেললেন।

13. পরে দলীলা শামাউনকে বললো, এই পর্যন্ত তুমি আমাকে উপহাস করলে, আমাকে মিথ্যা কথা বললে; কি দিয়ে তোমাকে বাঁধতে পারা যায়, আমাকে বল। তিনি বললেন, তুমি যদি আমার মাথার সাত গুচ্ছ চুল তানার সঙ্গে বোনো তবে তা সম্ভব হতে পারে।

14. তাতে সে তাঁতের গোঁজের সঙ্গে তা আট্‌কে রেখে তাঁকে বললো, হে শামাউন, ফিলিস্তিনীরা তোমাকে ধরতে এসেছে। তখন তিনি ঘুম থেকে জেগে উঠে তানাসুদ্ধ তাঁতের গোঁজ উপড়ে ফেললেন।

15. পরে দলীলা তাঁকে বললো, তুমি কি ভাবে বলতে পার যে, তুমি আমাকে ভালবাস? তোমার মন তো আমাতে নেই; এই নিয়ে তিনবার তুমি আমাকে উপহাস করলে; কিসে তোমার এমন মহাবল হয় তা আমাকে বললে না।

16. এভাবে সে প্রতিদিন কথা দিয়ে তাঁকে পীড়াপীড়ি করে এমন ব্যস্ত করে তুললো যে, প্রাণধারণে তাঁর বিরক্তি বোধ হল।

17. তাই তিনি মনের সমস্ত কথা ভেঙে তাকে বললেন, আমার মাথায় কখনও ক্ষুর উঠে নি, কেননা মায়ের গর্ভ থেকে আমি আল্লাহ্‌র উদ্দেশে নাসরীয়; ক্ষৌরি হলে আমার বল আমাকে ছেড়ে যাবে এবং আমি দুর্বল হয়ে অন্য সব লোকের সমান হয়ে পড়বো।

18. দলীলা যখন বুঝল যে, তিনি তাকে মনের সমস্ত কথা ভেঙে বলেছেন, তখন সে লোক পাঠিয়ে ফিলিস্তিনীদের ভূপালদেরকে ডেকে এনে বললো, এবার আসুন, কেননা সে আমাকে মনের সমস্ত কথা ভেঙে বলেছে। তাতে ফিলিস্তিনীদের ভূপালেরা টাকা হাতে করে তার কাছে আসলেন।

19. পরে সে তার জানুর উপরে তাঁকে ঘুম পাড়াল এবং এক জনকে ডেকে এনে তাঁর মাথার সাত গোছা চুল ক্ষৌরি করাল; এভাবে সে তাঁকে কষ্ট দিতে আরম্ভ করলো, আর তাঁর বল তাঁকে ছেড়ে গেল।

20. পরে সে বললো, হে শামাউন, ফিলিস্তিনীরা তোমাকে ধরতে এসেছে। তখন তিনি ঘুম থেকে জেগে বললেন, অন্যান্য সময়ের মত বাইরে গিয়ে গা ঝাড়া দেব, কিন্তু মাবুদ যে তাঁকে ত্যাগ করেছেন তা তিনি বুঝলেন না।

সম্পূর্ণ অধ্যায় পড়ুন কাজীগণ 16