ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

কাজীগণ 16:11-29 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

11. তিনি তাকে বললেন, যে দড়ি দিয়ে কোন কাজ করা হয় নি, এমন কয়েক গাছা নতুন দড়ি দিয়ে যদি তারা আমাকে বাঁধে, তবে আমি দুর্বল হয়ে অন্য লোকের সমান হয়ে পড়বো।

12. তাতে দলীলা নতুন দড়ি নিয়ে তা দিয়ে তাঁকে বাঁধল; পরে তাঁকে বললো, হে শামাউন, ফিলিস্তিনীরা তোমাকে ধরতে এসেছে। তখন বাড়ির অভ্যন্তরে গুপ্তভাবে লোক বসেছিল কিন্তু তিনি তাঁর বাহু থেকে সুতার মত ঐ সমস্ত দড়ি ছিঁড়ে ফেললেন।

13. পরে দলীলা শামাউনকে বললো, এই পর্যন্ত তুমি আমাকে উপহাস করলে, আমাকে মিথ্যা কথা বললে; কি দিয়ে তোমাকে বাঁধতে পারা যায়, আমাকে বল। তিনি বললেন, তুমি যদি আমার মাথার সাত গুচ্ছ চুল তানার সঙ্গে বোনো তবে তা সম্ভব হতে পারে।

14. তাতে সে তাঁতের গোঁজের সঙ্গে তা আট্‌কে রেখে তাঁকে বললো, হে শামাউন, ফিলিস্তিনীরা তোমাকে ধরতে এসেছে। তখন তিনি ঘুম থেকে জেগে উঠে তানাসুদ্ধ তাঁতের গোঁজ উপড়ে ফেললেন।

15. পরে দলীলা তাঁকে বললো, তুমি কি ভাবে বলতে পার যে, তুমি আমাকে ভালবাস? তোমার মন তো আমাতে নেই; এই নিয়ে তিনবার তুমি আমাকে উপহাস করলে; কিসে তোমার এমন মহাবল হয় তা আমাকে বললে না।

16. এভাবে সে প্রতিদিন কথা দিয়ে তাঁকে পীড়াপীড়ি করে এমন ব্যস্ত করে তুললো যে, প্রাণধারণে তাঁর বিরক্তি বোধ হল।

17. তাই তিনি মনের সমস্ত কথা ভেঙে তাকে বললেন, আমার মাথায় কখনও ক্ষুর উঠে নি, কেননা মায়ের গর্ভ থেকে আমি আল্লাহ্‌র উদ্দেশে নাসরীয়; ক্ষৌরি হলে আমার বল আমাকে ছেড়ে যাবে এবং আমি দুর্বল হয়ে অন্য সব লোকের সমান হয়ে পড়বো।

18. দলীলা যখন বুঝল যে, তিনি তাকে মনের সমস্ত কথা ভেঙে বলেছেন, তখন সে লোক পাঠিয়ে ফিলিস্তিনীদের ভূপালদেরকে ডেকে এনে বললো, এবার আসুন, কেননা সে আমাকে মনের সমস্ত কথা ভেঙে বলেছে। তাতে ফিলিস্তিনীদের ভূপালেরা টাকা হাতে করে তার কাছে আসলেন।

19. পরে সে তার জানুর উপরে তাঁকে ঘুম পাড়াল এবং এক জনকে ডেকে এনে তাঁর মাথার সাত গোছা চুল ক্ষৌরি করাল; এভাবে সে তাঁকে কষ্ট দিতে আরম্ভ করলো, আর তাঁর বল তাঁকে ছেড়ে গেল।

20. পরে সে বললো, হে শামাউন, ফিলিস্তিনীরা তোমাকে ধরতে এসেছে। তখন তিনি ঘুম থেকে জেগে বললেন, অন্যান্য সময়ের মত বাইরে গিয়ে গা ঝাড়া দেব, কিন্তু মাবুদ যে তাঁকে ত্যাগ করেছেন তা তিনি বুঝলেন না।

21. তখন ফিলিস্তিনীরা তাঁকে ধরে তাঁর দুই চোখ উৎপাটন করলো এবং তাঁকে গাজায় এনে ব্রোঞ্জের দুই শিকল দিয়ে বাঁধল; তিনি কারাগারে যাঁতা পেষণ করতে থাকলেন।

22. তবুও ক্ষৌরি হবার পর তাঁর মাথার চুল পুনর্বার বৃদ্ধি পেতে লাগল।

23. পরে ফিলিস্তিনীদের ভূপালেরা তাদের দেবতা দাগোনের উদ্দেশে মহাযজ্ঞ ও আমোদ প্রমোদ করতে একত্র হলেন; কেননা তাঁরা বললেন, আমাদের দেবতা আমাদের দুশমন শামাউনকে আমাদের হাতে দিয়েছেন।

24. আর তাঁকে দেখে লোকেরা নিজেদের দেবতার প্রশংসা করতে লাগল; কেননা তারা বললো, এই যে ব্যক্তি আমাদের দুশমন ও আমাদের দেশনাশক, যে আমাদের অনেক লোক হত্যা করেছে, একে আমাদের দেবতা আমাদের হাতে দিয়েছেন।

25. তাদের অন্তঃকরণ প্রফুল্ল হলে তারা বললো, শামাউনকে ডাক, সে আমাদের কাছে কৌতুক করুক। তাতে লোকেরা কারাগৃহ থেকে শামাউনকে ডেকে আনলো, আর তিনি তাদের সম্মুখে কৌতুক করতে লাগলেন। তারা স্তম্ভগুলোর মাঝখানে তাঁকে দাঁড় করিয়েছিল।

26. পরে যে বালক হাত দিয়ে শামাউনকে ধরেছিল, তিনি তাকে বললেন, আমাকে ছেড়ে দাও, যে দুই স্তম্ভের উপরে মন্দিরটা দাঁড়িয়ে আছে তা আমাকে স্পর্শ করতে দাও; আমি ওতে হেলান দিয়ে দাঁড়াবো।

27. সেই মন্দির পুরুষ ও স্ত্রীলোকে পরিপূর্ণ ছিল, আর ফিলিস্তিনীদের সমস্ত ভূপাল সেখানে ছিলেন এবং ছাদের উপরে স্ত্রী পুরুষ প্রায় তিন হাজার লোক শামাউনের কৌতুক দেখছিল।

28. তখন শামাউন মাবুদকে ডেকে বললেন, হে আল্লাহ্‌ মালিক, মেহেরবানী করে আমাকে স্মরণ কর; হে আল্লাহ্‌, মেহেরবানী করে কেবল এই একটি বার আমাকে বলবান কর, যেন আমি ফিলিস্তিনীদের বিরুদ্ধে একটি বার আমার দুই চোখের জন্য প্রতিশোধ নিতে পারি।

29. পরে শামাউন, মধ্যস্থিত যে দুই স্তম্ভের উপরে মন্দিরটি ভার ছিল, তা ধরে তার একটির উপরে ডান বাহু দ্বারা, অন্যটির উপরে বাম বাহু দ্বারা ভর করলেন।

সম্পূর্ণ অধ্যায় পড়ুন কাজীগণ 16