31. তোমরা উঠ, সেই আরামে থাকা জাতির বিরুদ্ধে যাত্রা কর, যে নির্ভয়ে বাস করে, যার কপাট নেই, হুড়কা নেই, যে একাকী থাকে, মাবুদ এই কথা বলেন।
32. তাদের উটগুলো লুটবস্তু হবে, তাদের বিপুল পশুধন লুণ্ঠিত দ্রব্য হবে এবং যে লোকেরা যারা মাথার দু’পাশের চুল কেটেছে, তাদের আমি সকল বায়ুর দিকে উড়িয়ে দেব এবং চারদিক থেকে তাদের বিপদ আনবো, মাবুদ এই কথা বলেন।
33. আর হাৎসোর শিয়ালদের বসতি ও চিরস্থায়ী ধ্বংসস্থান হবে; সেখানে কেউ থাকবে না, কোন লোক তার মধ্যে বাস করবে না।
34. এহুদার বাদশাহ্ সিদিকিয়ের রাজত্বের আরম্ভকালে এলমের বিষয়ে মাবুদের এই কালাম ইয়ারমিয়া নবীর কাছে নাজেল হল—
35. বাহিনীগণের মাবুদ এই কথা বলেন, দেখ, আমি এলমের ধনুক, তাদের প্রধান শক্তি, ভেঙ্গে ফেলবো।
36. আর আসমানের চারদিক থেকে চার বায়ু এলমের উপরে প্রবাহিত করবো এবং ঐ সমস্ত বায়ুর দিকে তাদেরকে উড়িয়ে দেব; দূরীকৃত ইলামীয়রা যার কাছে না যাবে, এমন জাতি থাকবে না।
37. আর আমি ইলামীয়দেরকে তাদের দুশমনদের সম্মুখে ও যারা তাদের প্রাণনাশে সচেষ্ট তাদের সম্মুখে ভীষণ ভয় ধরিয়ে দেব; আমি তাদের উপরে অমঙ্গল অর্থাৎ আমার প্রচণ্ড ক্রোধ উপস্থিত করবো, মাবুদ এই কথা বলেন এবং যতদিন তাদের সংহার না করি, ততদিন তাদের পিছনে পিছনে তলোয়ার পাঠাব;
38. আর আমি নিজের সিংহাসন এলমে স্থাপন করবো এবং সেই স্থান থেকে বাদশাহ্ ও কর্মকর্তাদেরকে মুছে ফেলব, মাবুদ এই কথা বলেন।
39. কিন্তু শেষকালে আমি এলমের বন্দীদশা ফিরাব, মাবুদ এই কথা বলেন।