অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28
  29. 29
  30. 30
  31. 31
  32. 32
  33. 33
  34. 34
  35. 35
  36. 36
  37. 37
  38. 38
  39. 39
  40. 40
  41. 41
  42. 42
  43. 43
  44. 44
  45. 45
  46. 46
  47. 47
  48. 48
  49. 49
  50. 50
  51. 51
  52. 52

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

ইয়ারমিয়া 48 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

মোয়াব-বিষয়ক ভবিষ্যদ্বাণী

1. মোয়াবের বিষয়। বাহিনীগণের মাবুদ, ইসরাইলের আল্লাহ্‌, এই কথা বলেন, হায় হায় নবো! ওটা তো উচ্ছিন্ন হল; কিরিয়াথয়িম লজ্জিত হল, পরহস্তগত হল, তাদের দুর্গ লজ্জিত হল, ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হল।

2. মোয়াবের প্রশংসা আর নেই, লোকেরা হিশ্‌বোনে তার অমঙ্গলার্থে মন্ত্রণা করেছে, ‘এসো, আমরা তাদেরকে উচ্ছিন্ন করি, জাতি হিসেবে আর থাকতে দেব না।’ হে মদ্‌মেনা, তুমিও নিস্তব্ধ হবে, তলোয়ার তোমার পিছনে তাড়া করবে।

3. হোরোণয়িম থেকে ক্রন্দনের আওয়াজ, ধ্বংস ও মহাবিনাশ।

4. মোয়াব ভগ্ন হল; তার ছোটদের ক্রন্দনের আওয়াজ শোনা যাচ্ছে।

5. লূহীতের উঠে যাবার পথে লোকে কাঁদতে কাঁদতে উঠছে; কেননা হোরোণয়িমের নেমে যাবার পথে বিনাশের জন্য সঙ্কটের কান্না শোনা যাচ্ছে।

6. ‘পালিয়ে যাও, নিজ নিজ প্রাণ রক্ষা কর, মরুভূমিস্থ ঝাউ গাছের মত হও।’

7. কারণ তুমি তোমার কাজের ও তোমার ধনকোষের উপর নির্ভর করতে, এজন্য তোমাকে অন্যের হাতে তুলে দেওয়া হবে এবং কমোশ নির্বাসনে গমন করবে, তার ইমাম ও নেতৃবর্গ একসঙ্গে যাবে।

8. প্রত্যেক নগরের উপর বিনাশক আসবে, কোন নগর রক্ষা পাবে না; উপত্যকা বিনষ্ট হবে, সমভূমি উচ্ছিন্ন হবে, যেমন মাবুদ বলেছেন।

9. মোয়াবকে পক্ষযুগল দাও, যেন সে উড়ে পালিয়ে যায়; তার নগরগুলো ধ্বংস হবে, তন্মধ্যে বাসকারী কেউ থাকবে না।

10. বদদোয়াগ্রস্ত হোক সেই ব্যক্তি, যে শিথিলভাবে মাবুদের কাজ করে; বদদোয়াগ্রস্ত হোক সেই ব্যক্তি, যে তার তলোয়ারকে রক্তপাত করতে বারণ করে।

11. মোয়াব বাল্যকাল থেকে নিশ্চিন্ত ও তার গাদের উপরে সুস্থির আছে, এক পাত্র থেকে অন্য পাত্রে ঢালা হয় নি, সে নির্বাসনে যায় নি; এজন্য তার রস তার মধ্যেই রয়েছে ও তার স্বাদ বিকৃত হয় নি।

12. অতএব মাবুদ বলেন, দেখ, এমন দিন আসছে, যেদিন আমি তার কাছে সেচকদের পাঠাব, তারা তাকে সেচন করবে, তার পাত্রগুলো শূন্য করবে এবং তাদের সমস্ত কুপা ভেঙ্গে ফেলবে।

13. ইসরাইল-কুল তার বিশ্বাস-ভূমি বেথেলের বিষয়ে যেমন লজ্জিত হয়েছিল, তেমনি মোয়াব কমোশের বিষয়ে লজ্জিত হবে।

14. তোমরা কেমন করে বলতে পার, আমরা বীর ও যুদ্ধের জন্য বলবান?

15. মোয়াব বিনষ্ট হল, তার নগরগুলো থেকে ধোঁয়া উঠছে ও তার মনোনীত যুবকেরা বধ্যস্থানে নেমে গেছে; এই কথা সেই বাদশাহ্‌ বলেন, যাঁর নাম বাহিনীগণের মাবুদ।

16. মোয়াবের বিপদ আগত প্রায় ও তার অমঙ্গল অতি ত্বরান্বিত।

17. তোমরা যত লোক তার চারদিকে থাক, তার জন্য মাতম কর, আর তোমরা যত লোক তার নাম জান, বল, এই দৃঢ় দণ্ড, এই সুন্দর লাঠি কেমন ভেঙ্গে গেছে!

18. হে দীবোন-নিবাসীনী কন্যে, তুমি তোমার প্রতাপ থেকে নেমে এসো, শুকনো ভূমিতে বস, কেননা মোয়াবের বিনাশক তোমার বিরুদ্ধে এসেছে, তোমার দৃঢ় দুর্গগুলো ধ্বংস করেছে।

19. হে অরোয়ের-নিবাসিনী, তুমি পথের পাশে দাঁড়িয়ে অবলোকন কর এবং পলাতক ও রক্ষা পাওয়া স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা কর, কি হয়েছে?

20. মোয়াব লজ্জিত হয়েছে, কেননা সে ভেঙ্গে পড়েছে; তোমরা হাহাকার ও ক্রন্দন কর; অর্ণোনে এই কথা প্রচার কর, ‘মোয়াব উৎসন্ন হল’।

21. আর বিচার-দণ্ড উপস্থিত হল, সমভূমির উপরে,

22. হোলন, যহস, মেফাৎ, দীবোন,

23. নবো, বৈৎ-দিব্লাথয়িম, কিরিয়াথয়িম, বৈৎ-গামূল, বৈৎ-মিয়োন, করিয়োৎ ও

24. বস্রার উপরে এবং মোয়াব দেশের দূরের কি কাছের সমস্ত নগরের উপরে হল।

25. মোয়াবের শিং কেটে ফেলা হল ও তার বাহু ভেঙ্গে ফেলা হল, মাবুদ এই কথা বলেন।

26. তোমরা তাকে মাতাল কর, কারণ সে মাবুদের বিরুদ্ধে বড়াই করতো। আর মোয়াব বমি করে তার মধ্যে গড়াগড়ি দেবে এবং নিজেও পরিহাস-পাত্র হবে।

27. ইসরাইল কি তোমার পরিহাস পাত্র ছিল না? সে কি চোরের মধ্যে ধরা পড়েছিল? তুমি তার বিষয় যতবার কথা বল, ততবার মাথা নেড়ে থাক।

28. হে মোয়াবনিবাসীরা, তোমরা নগরগুলো ত্যাগ কর, শৈলে গিয়ে বাস কর, এমন কবুতরের মত হও, যে গর্তের মুখের ধারে বাসা করে।

29. আমরা মোয়াবের অহঙ্কারের কথা শুনেছি, সে অত্যন্ত অহঙ্কারী; তার অভিমান, অহঙ্কার, উদ্ধতভাব ও চিত্ত-গরিমার কথা শুনেছি।

30. মাবুদ বলেন, আমি তার ক্রোধ জানি, তা কিছু নয়; তার অহংকার কোন কাজের হয় নি।

31. এজন্য আমি মোয়াবের বিষয়ে হাহাকার করবো, সমস্ত মোয়াবের জন্য ক্রন্দন করবো; কীর-হেরেসের লোকদের বিষয়ে কাতরোক্তি করে যাব।

32. হে সিব্‌মার আঙ্গুর লতা, আমি যাসেরের কান্নার চেয়ে তোমার বিষয়ে বেশি কান্নাকাটি করবো; তোমার ডালগুলো সমুদ্রপারে যেত, তা যাসের সমুদ্র পর্যন্ত বিস্তারিত হত; তোমার গ্রীষ্মের ফলের উপরে ও আঙ্গুর ফলের উপরে ধ্বংসকারীরা এসে পড়েছে।

33. মোয়াবের ফলবান ক্ষেত ও ভূমি থেকে আনন্দ ও উল্লাস দূরীকৃত হল এবং আমি আঙ্গুরকুণ্ড আঙ্গুর-রস-বিহীন করলাম; লোকে আনন্দের চিৎকার সহকারে আর আঙ্গুর মাড়াই করবে না; সেই চিৎকার আনন্দের চিৎকার হবে না।

34. হিশ্‌বোন থেকে ইলিয়ালী পর্যন্ত চিৎকার উঠছে, তার আওয়াজ যহস পর্যন্ত ছড়িয়েছে; সোয়র থেকে হোরোণয়িম পর্যন্ত, ইগ্লৎ-শলিশীয়া পর্যন্ত, আওয়াজ যাচ্ছে, কেননা নিম্রীমস্থ পানিও শুকিয়ে গেল।

35. মাবুদ আরও বলেন, আমি মোয়াবের মধ্যে উচ্চস্থলীতে কোরবানকারী ও তার দেবতার উদ্দেশে ধূপ জ্বালানো লোকদের মুছে ফেলবো।

36. তাই মোয়াবের জন্য আমার হৃদয় বাঁশীর মত বাজছে, কীর-হেরেসের লোকদের বিষয়ে আমার অন্তঃকরণ বাঁশীর মত বাজছে; এজন্য তার উপার্জিত প্রচুর ধন নষ্ট হল।

37. হ্যাঁ, প্রত্যেকের মাথা কামানো ও প্রত্যেক দাড়ি কাটা হয়েছে, সকলের হাতে কাটাকুটি ও কোমরে চট দেখা যায়।

38. মোয়াবের সমস্ত ছাদে ও তার চকের সর্বত্র মাতম শোনা যাচ্ছে, কেননা মাবুদ বলেন, আমি মোয়াবকে একটা অবাঞ্ছিত পাত্রের মত ভেঙ্গে ফেললাম।

39. সে কেমন ভেঙ্গে গেল! লোকে কেমন হাহাকার করছে। মোয়াব তার লজ্জার কারণে কেমন পিঠ ফিরিয়েছে! এভাবে মোয়াব তার চারদিকের সমস্ত লোকের পরিহাস-পাত্র ও ভীতিকর হবে।

40. কারণ মাবুদ এই কথা বলেন, দেখ, ঐ ব্যক্তি ঈগলের মত উড়ে আসবে এবং মোয়াবের উপরে তারা পাখা বিস্তার করবে।

41. নগরগুলো পরহস্তগত, দুর্গগুলো অধিকৃত হল; সেদিন মোয়াবের বীরগণের অন্তর প্রসব-যন্ত্রণা ভোগকারিণী স্ত্রীলোকের অন্তরের সমান হবে।

42. মোয়াব ধ্বংস হল, আর জাতি থাকবে না, কেননা সে মাবুদের বিরুদ্ধে বড়াই করেছে।

43. মাবুদ বলেন, হে মোয়াব-নিবাসী, ত্রাস, খাত ও ফাঁদ তোমার উপরে এসেছে।

44. যে কেউ ভয় পেয়ে পালিয়ে যাবে, সে খাতে পড়বে; যে কেউ খাত থেকে উঠে আসবে, সে ফাঁদে ধরা পড়বে; কেননা আমি তার উপরে, মোয়াবের উপরে, প্রতিফল-দানের বছর আনবো, মাবুদ এই কথা বলেন।

45. হিশ্‌বোনের ছায়াতলে পলাতকেরা শক্তিহীন হয়ে দাঁড়িয়ে আছে, কারণ হিশ্‌বোন থেকে আগুন ও সীহোনের মধ্য থেকে আগুনের শিখা বের হয়েছে, আর মোয়াবের পাশ ও কলহকারীদের মাথার তালু গ্রাস করেছে।

46. হে মোয়াব, ধ্‌িক তোমাকে! কমোশের লোকেরা বিনষ্ট হল, কারণ তোমার পুত্ররা বন্দী হল, তোমার কন্যাদের বন্দীদশার স্থানে নীত হল।

47. কিন্তু শেষকালে আমি মোয়াবের বন্দীদশা ফিরাব, মাবুদ এই কথা বলেন। মোয়াবের বিচারের কথা এই পর্যন্ত।