ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

ইয়ারমিয়া 44:7-20 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

7. অতএব এখন মাবুদ, বাহিনীগণের আল্লাহ্‌, ইসরাইলের আল্লাহ্‌, এই কথা বলেন, তোমরা কেন নিজ নিজ প্রাণের বিরুদ্ধে মহাগুনাহ্‌ করছো? এই কাজে তো নিজেদের সম্পর্কীয় পুরুষ, স্ত্রী, বালক ও স্তন্যপায়ী শিশুদেরকে এহুদার মধ্য থেকে উচ্ছিন্ন করবে, নিজেদের কাউকেও অবশিষ্ট রাখবে না।

8. তোমরা এই যে মিসর দেশে প্রবাস করার জন্য এসেছো, এখানে অন্য দেবতাদের উদ্দেশে ধূপ জ্বালিয়ে কেন নিজেদের হাতের কাজ দ্বারা আমাকে অসন্তুষ্ট করছো? তোমরা উচ্ছিন্ন হবে এবং দুনিয়ার সমস্ত জাতির মধ্যে বদদোয়া ও উপহাসের পাত্র হবে।

9. তোমাদের পূর্বপুরুষদের দুষ্কর্ম এহুদার বাদশাহ্‌দের দুষ্কর্ম, তাদের স্ত্রীদের দুষ্কর্ম, তোমাদের নিজেদের দুষ্কর্ম ও তোমাদের স্ত্রীদের দুষ্কর্ম, যা এহুদা দেশে ও জেরুশালেমের পথে পথে করা হত, সেসব কি ভুলে গেছ?

10. এই লোকেরা আজ পর্যন্ত নিজেদের অন্তর ভেঙ্গে চুরমার করে নি, ভয়ও করে নি এবং আমি আমার যে ব্যবস্থা ও বিধিকলাপ তোমাদের ও তোমাদের পূর্বপুরুষদের সম্মুখে রেখেছি এরা সেই অনুসারে আচরণ করে নি।

11. এজন্য বাহিনীগণের মাবুদ, ইসরাইলের আল্লাহ্‌, এই কথা বলেন, দেখ, আমি তোমাদের অমঙ্গল করতে ও সমস্ত এহুদাকে উচ্ছিন্ন করতে উন্মুখ হলাম।

12. আর আমি এহুদার অবশিষ্টাংশকে, অর্থাৎ যারা মিসর দেশে প্রবাস করতে যাবার জন্য উন্মুখ হয়েছে, তাদেরকে ধরবো; তারা সকলে বিনষ্ট হবে, মিসর দেশেই ধ্বংস হবে; তারা তলোয়ার ও দুর্ভিক্ষ দ্বারা বিনষ্ট হবে; ক্ষুদ্র ও মহান সকলে তলোয়ারে ও দুর্ভিক্ষে মারা পড়বে এবং অভিসম্পাত, বিস্ময়, বদদোয়া ও উপহাসের পাত্র হবে।

13. আমি যেমন তলোয়ার, দুর্ভিক্ষ ও মহামারী দ্বারা জেরুশালেমকে দণ্ড দিয়েছি, তেমনি মিসর দেশ-নিবাসীদেরকে দণ্ড দেব;

14. তাতে এহুদার যে অবশিষ্ট লোক মিসরে প্রবাস করতে এসেছে, তাদের মধ্যে কেউ উদ্ধার বা রক্ষা পাবে না; সেই এহুদা দেশে ফিরে যেতে পারবে না, যেখানে বাস করার জন্য ফিরে যেতে মনস্থ করছে; কতগুলো পলাতক লোক ছাড়া আর কেউ ফিরে যাবে না।

15. তখন যেসব পুরুষ জানত যে, তাদের স্ত্রীরা অন্য দেবতাদের উদ্দেশে ধূপ জ্বালায়, তারা এবং কাছে দণ্ডায়মান সমস্ত স্ত্রীলোক, এক মহাসমাজ, অর্থাৎ মিসরের পথ্রোষ প্রদেশে বাসকারী সমস্ত লোক ইয়ারমিয়াকে জবাবে বললো,

16. তুমি মাবুদের নামে আমাদেরকে যে কথা বলেছ, তোমার সেই কথা আমরা শুনব না;

17. কিন্তু আমাদেরই যা বলেছি সেই সমস্ত কথা অনুসারে কাজ করবোই করবো, আকাশ-রাণীর উদ্দেশে ধূপ জ্বালাবো ও পেয় উৎসর্গ ঢালব; আমরা ও আমাদের পূর্বপুরুষেরা, আমাদের বাদশাহ্‌রা ও আমাদের কর্মকর্তারা এহুদার নগরে নগরে ও জেরুশালেমের পথে পথে তা-ই করতাম, আর সেখানে আমরা খাদ্যদ্রব্যে তৃপ্ত হতাম এবং সুখে ছিলাম, কোন অমঙ্গল দেখতাম না।

18. কিন্তু যে সময় থেকে আমরা আকাশ-রাণীর উদ্দেশে ধূপ জ্বালানো ও পেয় উৎসর্গ ঢালা ছেড়ে দিয়েছি, সে সময় থেকে আমাদের সমস্ত বস্তুর অভাব হচ্ছে এবং আমরা তলোয়ার ও দুর্ভিক্ষ দ্বারা বিনষ্ট হচ্ছি।

19. আর আমরা যখন আকাশ-রাণীর উদ্দেশে ধূপ জ্বালাতাম ও পেয় উৎসর্গ ঢালতাম, তখন কি নিজ নিজ স্বামীকে না জানিয়ে তাঁর পূজার জন্য পিঠা প্রস্তুত করতাম ও তাঁর উদ্দেশে পেয় উৎসর্গ ঢালতাম?

20. পরে ইয়ারমিয়া সমস্ত লোককে, পুরুষ, কি স্ত্রী যত লোক সেই জবাব দিয়েছিল, সেসব লোককে এই কথা বললেন,

সম্পূর্ণ অধ্যায় পড়ুন ইয়ারমিয়া 44