15. তাঁরা বললেন, আরজ করি, তুমি বসে আমাদের কর্ণগোচরে সেটি পাঠ কর; তাতে বারূক তাঁদের কর্ণগোচরে পাঠ করলেন।
16. তখন ঐ সমস্ত কথা শুনে তাঁরা সকলে ভয় পেয়ে পরস্পর পরসপরের দিকে তাকালেন এবং বারূককে বললেন, আমরা এসব কথার বিষয় অবশ্য বাদশাহ্কে জানাবো।
17. পরে তাঁরা বারূককে জিজ্ঞাসা করলেন, বল দেখি, তুমি কেমন করে তাঁর মুখে শুনে এসব কথা লিখেছিলে?
18. জবাবে বারূক বললেন, তিনি আমার কাছে এসব কথা উচ্চারণ করছিলেন এবং আমি কালি দিয়ে এই কিতাবে সেগুলো লিখছিলাম।
19. তখন কর্মকর্তারা বারূককে বললেন, তুমি ও ইয়ারমিয়া লুকিয়ে থাক; কেউ যেন তোমাদের সন্ধান না পায়।
20. পরে তাঁরা ইলীশামা লেখকের কুঠরীতে কিতাবখানি রেখে প্রাঙ্গণে বাদশাহ্র কাছে গিয়ে তাঁর কর্ণগোচরে ঐ সমস্ত কথা বললেন।
21. তাতে বাদশাহ্ কিতাবখানি আনবার জন্য যেহুদীকে পাঠালেন, আর যেহুদী ইলীশামা লেখকের কুঠরী থেকে তা এনে বাদশাহ্র কর্ণগোচরে ও তাঁর সাক্ষাতে দণ্ডায়মান কর্মকর্তাদের কর্ণগোচরে তা পাঠ করতে লাগলেন।
22. ঐ সময়ে নবম মাসে বাদশাহ্ শীতকাল যাপনের বাড়িতে বসেছিলেন এবং তাঁর সম্মুখে জ্বলন্ত আগুনের আঙ্গটা ছিল।
23. আর যেহুদী তিন চার পাতা পাঠ করার পর বাদশাহ্ লেখকের ছুরি দিয়ে কিতাবখানি কেটে ঐ আঙ্গটার আগুনে ফেলে দিতে লাগলেন; এভাবে শেষে সমস্ত কিতাবখানি আঙ্গটার আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হল।
24. বাদশাহ্ ও তাঁর গোলামেরা ঐ সমস্ত কালাম শুনেও কেউ ভয় পেল না ও নিজ নিজ কাপড় ছিঁড়লেন না।
25. যদিও ইল্নাথন, দলায় ও গমরিয়, কিতাবখানি যেন পোড়ানো না হয়, সেজন্য বাদশাহ্কে বিনয় করেছিলেন, তবুও তিনি তাঁদের কথা শুনলেন না।
26. আর বাদশাহ্ রাজপুত্র যিরহমেলকে, অস্রীয়েলের পুত্র সরায় ও অব্দিয়েলের পুত্র শেলিমিয়কে হুকুম করলেন, তোমরা বারূক লেখক ও ইয়ারমিয়া নবীকে ধর; কিন্তু মাবুদ তাঁদেরকে লুকিয়ে রেখেছিলেন।
27. ইয়ারমিয়ার মুখে শুনে বারূক যেসব কালাম লিখেছিলেন, সেই কিতাবখানি বাদশাহ্ পুড়িয়ে দেবার পর মাবুদের এই কালাম ইয়ারমিয়ার কাছে নাজেল হল,
28. তুমি পুনর্বার আর একটি কিতাব গ্রহণ কর; এবং ঐ প্রথম কালামগুলো, অর্থাৎ এহুদার বাদশাহ্ যিহোয়াকীম কর্তৃক পুড়িয়ে ফেলা সেই প্রথম কিতাবে যা ছিল, সেই সমস্ত তার মধ্যে লিখ।