অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28
  29. 29
  30. 30
  31. 31
  32. 32
  33. 33
  34. 34
  35. 35
  36. 36
  37. 37
  38. 38
  39. 39
  40. 40
  41. 41
  42. 42
  43. 43
  44. 44
  45. 45
  46. 46
  47. 47
  48. 48
  49. 49
  50. 50
  51. 51
  52. 52

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

ইয়ারমিয়া 23 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

বন্দীত্বের পরে পুনঃস্থাপন

1. মাবুদ বলেন, ধিক্‌ সেই পালকদেরকে যারা আমার পালের ভেড়াগুলোকে নষ্ট ও ছিন্নভিন্ন করে।

2. এজন্য মাবুদ, ইসরাইলের আল্লাহ্‌, যে পালকেরা আমার লোকদেরকে চরায়, তাদের বিরুদ্ধে এই কথা বলেন, তোমরা আমার ভেড়াগুলোকে ছিন্নভিন্ন করেছ, তাদের তাড়িয়ে দিয়েছ, তাদের তত্ত্বাবধান কর নি; দেখ, আমি তোমাদের আচরণের নাফরমানীর প্রতিফল তোমাদেরকে দেব, মাবুদ এই কথা বলেন।

3. আর আমি যেসব দেশে আমার পাল তাড়িয়ে দিয়েছি, সেখান থেকে তার অবশিষ্টাংশ সংগ্রহ করবো, পুনর্বার তাদেরকে খোঁয়াড়ে আনবো এবং তারা প্রজাবন্ত ও বহুবংশ হবে।

4. আর আমি তাদের উপরে এমন পালকদেরকে নিযুক্ত করবো, যারা তাদের চরাবে; তখন তারা আর ভয় পাবে না কিংবা নিরাশ হবে না এবং কেউ নিরুদ্দেশ হবে না, মাবুদ এই কথা বলেন।

ন্যায়বান তরুশাখা

5. মাবুদ বলেন, দেখ, এমন সময় আসছে, যে সময়ে আমি দাউদের বংশে একটি ধার্মিক তরুশাখা উৎপন্ন করবো; তিনি বাদশাহ্‌ হয়ে রাজত্ব করবেন, বুদ্ধিপূর্বক চলবেন এবং দেশে ন্যায়বিচার ও ধার্মিকতার অনুষ্ঠান করবেন।

6. তাঁর সময়ে এহুদা উদ্ধার পাবে ও ইসরাইল নির্ভয়ে বাস করবে, আর তিনি এই নামে আখ্যাত হবেন, “মাবুদ আমাদের ধার্মিকতা।”

7. অতএব, মাবুদ বলেন, দেখ, এমন সময় আসছে, যে সময়ে লোকেরা আর বলবে না, সেই জীবন্ত মাবুদের কসম, যিনি বনি-ইসরাইলকে মিসর দেশ থেকে উঠিয়ে এনেছেন,

8. কিন্তু তারা বলবে, সেই জীবন্ত মাবুদের কসম, যিনি ইসরাইলের কুলজাত বংশকে উত্তর দেশ থেকে এবং যেসব দেশে আমি তাদেরকে ছিন্নভিন্ন করেছিলাম, সেসব দেশ থেকে উঠিয়ে এনেছেন, চালিয়ে এনেছেন; আর তারা তাদের দেশে বাস করবে।

ভণ্ড নবীদের প্রতি অনুযোগ

9. নবীদের বিষয়: আমার অন্তরে হৃদয় ভেঙ্গে পড়ছে, আমার সমস্ত অস্থি কাঁপছে; মাবুদের হেতু ও তাঁর পবিত্র কালামের হেতু আমি মাতালের মত, আঙ্গুর-রসে মত্ত ব্যক্তির মত হয়েছি।

10. কেননা দেশ জেনাকারীগণে পরিপূর্ণ; হ্যাঁ, বদদোয়ার কারণে দেশ শোক করছে; মরুভূমিস্থ চরাণিস্থানগুলো শুকিয়ে গেছে; এবং লোকদের গমন-পথ মন্দ হয়েছে ও তাদের পরাক্রম ন্যায়সঙ্গত নয়।

11. কেননা নবী ও ইমাম উভয়ে গুনাহ্‌গার হয়েছে; মাবুদ বলেন, আমার গৃহেও আমি তাদের দুষ্কর্ম দেখেছি।

12. এই কারণে তাদের পক্ষে তাদের পথ অন্ধকারময় পিচ্ছিল স্থানের মত হবে; তারা তাড়া খেয়ে তার মধ্যে পড়বে; কেননা তাদেরকে প্রতিফল দেবার বছরে আমি তাদের প্রতি অমঙ্গল ঘটাবো, মাবুদ এই কথা বলেন।

13. আমি সামেরিয়ার নবীদের মধ্যে অসঙ্গত ব্যাপার দেখেছিলাম; তারা বালের নামে ভবিষ্যদ্বাণী বলতো ও আমার লোক ইসরাইলকে ভ্রান্ত করতো।

14. আর জেরুশালেমের নবীদের মধ্যে সাংঘাতিক ব্যাপার দেখেছি; তারা জেনা করে ও মিথ্যার পথে চলে এবং দুর্বৃত্তদের হাত এমন বলবান করে যে, কেউ তার কুপথ থেকে ফেরে না; তারা সকলে আমার কাছে সাদুমের মত এবং সেখানকার নিবাসীরা আমুরার সমান হয়েছে।

15. এজন্য বাহিনীগণের মাবুদ সেই নবীদের বিষয়ে এই কথা বলেন, দেখ, আমি তাদেরকে নাগদানা ভোজন করাব, বিষবৃক্ষের রস পান করাব, কেননা জেরুশালেমের নবীদের থেকে নাফরমানী উৎপন্ন হয়ে সমস্ত দেশ ছেয়ে ফেলেছে।

16. বাহিনীগণের মাবুদ এই কথা বলেন, ঐ যে নবীরা তোমাদের কাছে ভবিষ্যদ্বাণী বলে, তাদের কথা শুনো না, তারা তোমাদেরকে ভুলায়; তারা নিজ নিজ হৃদয়ের দর্শন বলে, মাবুদের মুখে শুনে বলে না।

17. যারা আমাকে অবজ্ঞা করে, তাদের কাছে তারা অবিরত বলে, মাবুদ বলেছেন, তোমাদের শান্তি হবে; এবং যারা নিজ নিজ হৃদয়ের কঠিনতায় চলে, তাদের প্রত্যেক জনকে বলে, অমঙ্গল তোমাদের কাছে আসবে না।

18. বাস্তবিক কে মাবুদের সভায় দাঁড়িয়ে দেখেছে ও তাঁর কালাম শুনেছে? কে আমার কথায় কান দিয়ে তা শুনতে পেয়েছে?

19. দেখ, মাবুদের ঝটিকা, তাঁর প্রচণ্ড ক্রোধ, হ্যাঁ, ঘূর্ণিবাতাস বয়ে যাচ্ছে; তা দুষ্টদের মাথায় লাগবে।

20. যে পর্যন্ত মাবুদ তাঁর মনের অভিপ্রায় সফল ও সিদ্ধ না করেন, সে পর্যন্ত তাঁর ক্রোধ ফিরবে না; তোমরা শেষকালে তা সমপূর্ণভাবে বুঝতে পারবে।

21. আমি সেই নবীদেরকে প্রেরণ করি নি, তারা নিজেরা দৌড়েছে; আমি তাদেরকে বলি নি, তারা নিজেরা ভবিষ্যদ্বাণী বলেছে।

22. কিন্তু তারা যদি আমার সভায় দাঁড়াত, তবে আমার লোকদেরকে আমার কালাম শোনাত এবং তাদের কুপথ ও তাদের নাফরমানী কাজ থেকে তাদেরকে ফিরিয়ে রাখত।

23. মাবুদ বলেন, আমি কি কেবল কাছের আল্লাহ্‌, দূরের কি আল্লাহ্‌ নই?

24. মাবুদ বলেন, এমন গুপ্ত স্থানে কি কেউ লুকাতে পারে যে, আমি তাকে দেখতে পাব না? আমি কি বেহেশত ও দুনিয়ার সমস্ত স্থান জুড়ে থাকি না? মাবুদ এই কথা বলেন।

25. নবীরা যা বলেছে, তা আমি শুনেছি, তারা আমার নামে মিথ্যা ভবিষ্যদ্বাণী বলে, যথা, আমি স্বপ্ন দেখেছি, স্বপ্ন দেখেছি।

26. যে নবীরা মিথ্যা ভবিষ্যদ্বাণী বলে, যারা নিজের অন্তঃকরণের কপটতার নবী, তাদের অন্তঃকরণে তা কত কাল থাকবে?

27. তাদের সঙ্কল্প এই, তাদের পূর্বপুরুষেরা বাল দেবতার দরুন যেমন আমাকে ভুলে গিয়েছিল, তেমনি তারা নিজ নিজ প্রতিবেশীর কাছে নিজ নিজ স্বপ্নের বৃত্তান্ত কথন দ্বারা আমার লোকদেরকে আমার নাম ভুলে যেতে দেবে।

28. যে নবী স্বপ্ন দেখেছে, সে স্বপ্নের বৃত্তান্ত বলুক; এবং যে আমার কালাম পেয়েছে, সে সত্যরূপে আমার কালামই বলুক। মাবুদ বলেন, শস্যের কাছে খড়ের মূল্য কি?

29. মাবুদ বলেন, আমার কালাম কি আগুনের মত নয়? তা কি হাতুড়ির মত নয়, যা পাথর টুকরা টুকরা করে?

30. অতএব মাবুদ বলেন, দেখ, যেসব নবী নিজ নিজ প্রতিবেশী থেকে আমার কালাম হরণ করে, আমি তাদের বিপক্ষ।

31. মাবুদ বলেন, দেখ, আমি সেই সকল নবীর বিপক্ষ, যারা নিজ নিজ জিহ্বা ব্যবহার করে বলে, ‘তিনিই বলেন।’

32. মাবুদ বলেন, দেখ, আমি তাদের বিপক্ষ, যারা মিথ্যা স্বপ্নের ভবিষ্যদ্বাণী বলে ও তার বৃত্তান্ত বলে, নিজেদের মিথ্যা কথা ও দাম্ভিকতা দ্বারা আমার লোকদেরকে ভ্রান্ত করে; কিন্তু আমি তাদেরকে পাঠাই নি, তাদেরকে হুকুম দেই নি; তারা এই লোকদের কিছুমাত্র উপকারী হতে পারে না, মাবুদ এই কথা বলেন।

33. আর যে সময়ে এসব লোক কিংবা কোন নবী বা ইমাম তোমাকে জিজ্ঞাসা করবে, মাবুদের দৈববাণী কি? তখন তুমি তাদেরকে বলবে, তোমরাই প্রভুর ভার! মাবুদ বলেন, আমি তোমাদেরকে দূর করে দেব।

34. আর যে কোন নবী, ইমাম বা সামান্য লোক বলবে, ‘মাবুদের দৈববাণী,’ তাকে ও তার কুলকে আমি প্রতিফল দেব।

35. তোমরা প্রত্যেকে নিজ নিজ প্রতিবেশীকে ও আপন আপন ভাইকে এই কথা বলবে, মাবুদ কি জবাব দিয়েছেন?

36. আর, মাবুদ কি বলেছেন? কিন্তু ‘মাবুদের দৈববাণী,’ এই কথা আর উচ্চারণ করো না; কারণ প্রত্যেকে নিজের কথাই তার পক্ষে দৈববাণী হবে; কেননা তোমরা জীবন্ত আল্লাহ্‌র, আমাদের আল্লাহ্‌ বাহিনীগণের মাবুদের কালাম বিপরীত করেছ।

37. তোমরা নবীকে বলো, মাবুদ তোমাকে কি জবাব দিয়েছেন? আর, মাবুদ কি বলেছেন?

38. কিন্তু ‘মাবুদের দৈববাণী,’ এই কথা যদি বল, তবে মাবুদ এই কথা বলেন, তোমরা বলছো, ‘মাবুদের দৈববাণী’; কিন্তু আমি তোমাদের কাছে লোক প্রেরণ করে বলেছি, ‘মাবুদের দৈববাণী’ এই কথা বলো না।

39. এজন্য দেখ, আমি তোমাদের একেবারে তুলে নেব এবং তোমাদের ও তোমাদের পূর্বপুরুষদেরকে যে নগর দিয়েছি, তাসুদ্ধ তোমাদের আমার কাছ থেকে দূর করে দেব।

40. আর আমি এমন নিত্যস্থায়ী দুর্নাম ও নিত্যস্থায়ী অপমান তোমাদের উপর আনব, যা লোকে ভুলে যাবে না।