অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28
  29. 29
  30. 30
  31. 31
  32. 32
  33. 33
  34. 34
  35. 35
  36. 36
  37. 37
  38. 38
  39. 39
  40. 40
  41. 41
  42. 42
  43. 43
  44. 44
  45. 45
  46. 46
  47. 47
  48. 48
  49. 49
  50. 50
  51. 51
  52. 52

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

ইয়ারমিয়া 2 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

গুনাহের জন্য ইহুদীদের প্রতি অনুযোগ

1. আর মাবুদের এই কালাম আমার কাছে নাজেল হল,

2. তুমি যাও, জেরুশালেমের কর্ণগোচরে এই কথা তবলিগ কর, মাবুদ এই কথা বলেন, তোমার পক্ষে তোমার যৌবনের ভক্তি, তোমার বিয়ের সময়কার মহব্বত আমার স্মরণ হয়; তুমি আমার পিছনে মরুভূমিতে, যেখানে বপন করা যায় নি, এমন দেশে গমন করেছিলে।

3. ইসরাইল মাবুদের উদ্দেশে পবিত্র, তাঁর আয়ের অগ্রিমাংশ ছিল; যেসব লোক তাকে গ্রাস করবে, তারা দোষী হবে; তাদের প্রতি অমঙ্গল ঘটবে, মাবুদ এই কথা বলেন।

4. হে ইয়াকুবের কুল, হে ইসরাইল-কুলের সমস্ত গোষ্ঠী, মাবুদের কালাম শোন।

5. মাবুদ এই কথা বলেন, তোমাদের পূর্বপুরুষেরা আমার কি অন্যায় দেখেছে যে, তারা আমার কাছ থেকে দূরে চলে গেছে, অসারতার অনুগামী হয়ে অসার হয়েছে?

6. তারা বলে নি যে, সেই মাবুদ কোথায়, যিনি মিসর দেশ থেকে আমাদের বের করে এনেছিলেন, যিনি মরুভূমির মধ্য দিয়ে, মরুভূমি ও গর্তময় ভূমি দিয়ে, পানিশূন্যতার ও মৃত্যুচ্ছায়ার ভূমি দিয়ে পথিকবিহীন ও নিবাসী-বর্জিত ভূমি দিয়ে, আমাদেরকে নিয়ে এসেছিলেন?

7. আমি তোমাদের এই ফলবান দেশে এনেছিলাম, যেন তোমরা এখানকার ফল ও উত্তম উত্তম সামগ্রী ভোজন কর; কিন্তু তোমরা প্রবেশ করে আমার দেশ নাপাক করলে, আমার অধিকার ঘৃণাস্পদ করলে।

8. ইমামেরা বলে নি, ‘মাবুদ কোথায়?’ এবং যারা শরীয়ত পরিচালনা করে, তারা আমাকে জানে নি, পালকেরা আমার বিরুদ্ধে গুনাহের কাজ করেছে, নবীরা বাল দেবতার নাম নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী বলেছে এবং এমন পদার্থের পিছনে চলেছে, যাতে উপকার নেই।

9. অতএব আমি তোমাদের সঙ্গে আরও ঝগড়া করবো, মাবুদ এই কথা বলেন এবং তোমাদের পুত্রপৌত্রদের সঙ্গেও ঝগড়া করবো।

10. বস্তুত তোমরা পার হয়ে সাইপ্রাস দ্বীপের উপকূলগুলোতে যাও, দেখ; আর কায়দারে লোক পাঠাও, সূক্ষ্ম বিবেচনা কর, দেখ, কখনও এমন হয়েছে কি না?

11. কোন জাতি কি নিজেদের দেবতাদের পরিবর্তন করেছে? সেই দেবতারা তো আল্লাহ্‌ নয়। কিন্তু আমার লোকেরা এমন বস্তুর সঙ্গে নিজেদের গৌরবের পরিবর্তন করেছে, যাতে উপকার নেই।

12. হে আসমান, এতে স্তম্ভিত হও, রোমাঞ্চিত হও, নিতান্ত অসার হয়ে পড়, মাবুদ এই কথা বলেন।

13. কেননা আমার লোকবৃন্দ দু’টি দোষ করেছে; জীবন্ত পানির ফোয়ারা যে আমি, আমাকে তারা ত্যাগ করেছে; আর নিজেদের জন্য কুয়া খনন করেছে, সেসব ভগ্ন কুয়া জলাধার হতে পারে না।

14. ইসরাইল কি গোলাম? সে কি বাড়িতে জন্ম নেওয়া কেনা গোলাম? সে কেন লুটদ্রব্য হয়েছে?

15. যুবসিংহরা তার উপরে গর্জন ও হুঙ্কার করেছে; তারা তার দেশ ধ্বংস করেছে; তার নগরগুলা পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, নিবাসী কেউ নেই।

16. আবার নোফের ও তফনহেষের লোকেরা তোমার মাথা মুড়িয়েছে।

17. তুমি কি নিজে নিজের প্রতি এটা ঘটাও নি? বাস্তবিক তোমার আল্লাহ্‌ মাবুদ যখন তোমাকে পথ দিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন তুমি তাঁকে পরিত্যাগ করেছ।

18. এখন শীহোর নদীর পানি পান করতে মিসরের পথে কেন যাচ্ছ? অথবা ফোরাত নদীর পানি পান করতে আশেরিয়া দেশের পথে কেন যাচ্ছ?

19. তোমারই নাফরমানী তোমাকে শাস্তি দেবে এবং তোমার বিপথে যাওয়াই তোমাকে অনুযোগ করবে; অতএব জেনো আর দেখো, এটা মন্দ ও তিক্ত বিষয় যে, তুমি তোমার আল্লাহ্‌ মাবুদকে পরিত্যাগ করেছ ও মনের মধ্যে আমার ভয়কে স্থান দাও নি, এই কথা প্রভু, বাহিনীগণের মাবুদ বলেন।

20. বস্তুত অনেক দিন হল, আমি তোমার জোয়াল ভেঙ্গে ফেলেছিলাম, তোমার বন্ধনগুলো কেটে ফেলেছিলাম; আর তুমি বলেছিলে, আমি গোলামী করবো না; বাস্তবিক সমস্ত উঁচু পর্বতের উপরে ও সমস্ত সবুজ গাছের তলে তুমি নত হয়ে জেনা করে আসছ।

21. আমি তো একেবারে উৎকৃষ্ট জাতের উত্তম আঙ্গুরলতা করে তোমাকে রোপণ করেছিলাম, তুমি কেমন করে বিকৃত হয়ে আমার কাছে বিজাতীয় আঙ্গুরলতার ডাল হলে?

22. যদিও ক্ষার দিয়ে তুমি নিজেকে ধোও ও অনেক সাবান লাগাও, তবুও তোমার অপরাধের দাগ আমার সম্মুখে রয়েছে, এই কথা সার্বভৌম মাবুদ বলেন।

23. তুমি কেমন করে বলতে পার, আমি নাপাক নই, বাল দেবতাদের পিছনে যাই নি? উপত্যকাতে তোমার পথ দেখ; যা করেছ, তা চিন্তা করে দেখ; তুমি তোমার পথে ভ্রমণকারিণী উট; তুমি মরুভূমি-পরিচিতা বন্য গাধী,

24. যা অভিলাষক্রমে বায়ু আহার করে; তার কামাবেশে কে তাকে ফিরাতে পারে? যারা তার খোঁজ করে তারা নিজেদের ক্লান্ত করবে না, তার নিয়মিত মাসে তাকে পাবে।

25. সাবধান, পাছে তোমার পায়ের জুতা নষ্ট হয় ও তোমার কণ্ঠনালী তৃষ্ণায় শুকিয়ে যায়! কিন্তু তুমি বলেছ, আশা নেই, না, কেননা আমি বিদেশীদেরকে মহব্বত করে আসছি, তাদেরই পিছনে যাব।

26. চোর ধরা পড়লে যেমন লজ্জিত হয়, তেমনি ইসরাইল-কুল ও তাদের বাদশাহ্‌রা, কর্মকর্তারা, ইমামেরা ও নবীরা লজ্জিত হয়েছে;

27. বস্তুত তারা কাঠকে বলে, তুমি আমার পিতা; শিলাকে বলে, তুমি আমার জননী; তারা আমার প্রতি পিঠ ফিরিয়েছে, মুখ নয়; কিন্তু বিপদ কালে তারা বলবে, ‘তুমি উঠ, আমাদেরকে নিস্তার কর’।

28. কিন্তু তুমি নিজের জন্য যাদেরকে নির্মাণ করেছ, তোমার সেই দেবতারা কোথায়? তারাই উঠুক, যদি বিপদ কালে তোমাকে নিস্তার করতে পারে; কেননা হে এহুদা, তোমার যত নগর, তত দেবতা।

29. মাবুদ বলেন, তোমরা কেন আমার সঙ্গে ঝগড়া করছো? সকলেই আমার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছ।

30. আমি তোমাদের সন্তানদেরকে বৃথাই আঘাত করেছি; তারা শাসন গ্রাহ্য করলো না; তোমাদেরই তলোয়ার বিনাশক সিংহের মত তোমাদের নবীদেরকে গ্রাস করেছে।

31. হে বর্তমানকালের লোকেরা, তোমরা মাবুদের কালাম দেখ; ইসরাইলের কাছে আমি কি মরুভূমি হয়েছি? কিংবা আমি কি অন্ধকারময় দেশ হয়েছি? আমার লোকেরা কেন বলে, আমরা ছুটে চলে গেছি, তোমার কাছে আর আসবো না?

32. কুমারী কি নিজের ভূষণ ও কন্যা কি নিজের মেখলা ভুলে যেতে পারে? কিন্তু আমার লোক অসংখ্য দিন আমাকে ভুলে রয়েছে।

33. তুমি প্রেমের অনুসন্ধান করতে তোমার পথ কেমন প্রস্তুত করেছ! এই কারণ তুমি দুষ্টদেরকেও তোমার পথ শিখিয়েছ।

34. আর তোমার পোশাকে নির্দোষ দীনহীন লোকদের রক্ত পাওয়া যাচ্ছে; তুমি তাদেরকে সিঁধ কাটার সময়ে ধর নি, কিন্তু এসব এই দুষ্কর্ম করার পরেও তুমি বলেছ,

35. আমি নির্দোষ, অবশ্য তাঁর ক্রোধ আমার কাছ থেকে চলে গেছে। দেখ, আমি তোমার বিচার করবো, কারণ তুমি বলছো, ‘আমি গুনাহ্‌ করি নি’।

36. তুমি তোমার পথ পরিবর্তন করতে কেন এত ঘুরে বেড়াও? আশেরিয়া দেশের বিষয়ে যেমন লজ্জিত হয়েছিলে, মিসরের বিষয়েও তেমনি লজ্জিত হবে।

37. তার কাছ থেকেও মাথায় হাত দিয়ে প্রস্থান করবে, কেননা মাবুদ তোমার বিশ্বাসপাত্রদেরকে অগ্রাহ্য করেছেন, তাদের সাহায্যে তুমি কৃতকার্য হবে না।