অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28
  29. 29
  30. 30
  31. 31
  32. 32
  33. 33
  34. 34
  35. 35
  36. 36
  37. 37
  38. 38
  39. 39
  40. 40
  41. 41
  42. 42
  43. 43
  44. 44
  45. 45
  46. 46
  47. 47
  48. 48
  49. 49
  50. 50
  51. 51
  52. 52

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

ইয়ারমিয়া 18 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

কুমারের দৃষ্টান্ত

1. ইয়ারমিয়ার কাছে মাবুদের কাছ থেকে এই কালাম নাজেল হল,

2. তুমি উঠে কুমারের বাড়িতে নেমে যাও, সেখানে আমি তোমাকে আমার কালাম শোনাব।

3. তখন আমি কুমারের বাড়িতে নেমে গেলাম, আর দেখ, সে কুলালচক্রে কাজ করছিল।

4. আর সে মাটি দিয়ে যে পাত্র তৈরি করছিল, তা যখন কুমারের হাতে নষ্ট হয়ে গেল, তখন সে তা নিয়ে আর একটি পাত্র তৈরি করলো, কুমারের দৃষ্টিতে যা ভাল সেই অনুসারেই করলো।

5. পরে মাবুদের এই কালাম আমার কাছে নাজেল হল;

6. মাবুদ বলেন, হে ইসরাইল-কুল, তোমাদের সঙ্গে আমি কি এই কুমারের মত ব্যবহার করতে পারি না? হে ইসরাইল-কুল, দেখ, যেমন কুমারের হাতে মাটি, তেমনি আমার হাতে তোমরা।

7. যখন আমি কোন জাতির কিংবা রাজ্যের বিষয়ে উন্মূলন, উৎপাটন ও বিনাশের কথা বলি,

8. তখন আমি যে জাতির বিষয়ে কথা বলেছি, তারা যদি তাদের নাফরমানী থেকে ফিরে, তবে তাদের যে অমঙ্গল করতে আমার মনস্থ ছিল, তা থেকে আমি ক্ষান্ত হবো।

9. আর যখন আমি কোন জাতি কিংবা রাজ্যের বিষয়ে গেঁথে তুলবার ও রোপণ করার কথা বলি,

10. তখন তারা যদি আমার নির্দেশ না মেনে আমার সাক্ষাতে কদাচরণ করে, তবে তাদের যে মঙ্গল করার কথা ছিল, তা থেকে আমি ক্ষান্ত হবো।

11. অতএব এখন তুমি গিয়ে এহুদার লোকদের ও জেরুশালেম-নিবাসীদেরকে বল, মাবুদ এই কথা বলেন, দেখ, আমি তোমাদের বিরুদ্ধে অমঙ্গল প্রস্তুত করছি, তোমাদের বিরুদ্ধে সঙ্কল্প করছি; তোমরা প্রত্যেকে নিজ নিজ কুপথ থেকে ফির, নিজ নিজ পথ ও নিজ নিজ কাজকর্ম ভাল কর।

ইসরাইলের মূর্তিপূজা

12. কিন্তু তারা বলে, আশা নেই, কেননা আমরা নিজেদেরই সঙ্কল্প অনুসারে চলবো, প্রত্যেকে নিজ নিজ দুষ্ট হৃদয়ের কঠিনতা অনুসারে কাজ করবো।

13. এজন্য মাবুদ এই কথা বলেন, তোমরা এখন জাতিদের মধ্যে জিজ্ঞাসা কর, এরকম কথা কে শুনেছে? কুমারী ইসরাইল অত্যন্ত জঘন্য কাজ করেছে।

14. লেবাননের তুষার কি তার পর্বতের ভাঙ্গন দিয়ে উধাও হয়ে যায়? কিংবা দূর থেকে আগত সুশীতল পানির স্রোত কি বন্ধ হয়?

15. বাস্তবিক আমার লোকেরা আমাকে ভুলে গেছে, তারা অসার মূর্তির উদ্দেশে ধূপ জ্বালাচ্ছে এবং এরা তাদের পথে, চিরন্তন পথে উচোট খেয়েছে, তারা সঠিক পথে না গিয়ে বিপথের পথিক হয়েছে।

16. এতে তারা তাদের দেশকে বিস্ময়ের ও নিত্যবিদ্রূপের বিষয় করে; যে কেউ তার কাছ দিয়ে গমন করবে, সে বিস্ময়াপন্ন হয়ে মাথা নাড়বে।

17. যেমন পূর্বীয় বায়ু করে, তেমনি আমি দুশমনদের সম্মুখে তাদেরকে ছিন্নভিন্ন করবো; তাদের বিপদের সময়ে তাদেরকে পিঠ দেখাব, মুখ নয়।

হযরত ইয়ারমিয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

18. তখন তারা বললো, চল, আমরা ইয়ারমিয়ার বিরুদ্ধে পরামর্শ করি, কেননা ইমামের কাছ থেকে শরীয়ত, জ্ঞানবানের কাছ থেকে মন্ত্রণা ও নবীর কাছ থেকে কালাম চলে যাবে না; চল, আমরা জিহ্বা দ্বারা ওকে প্রহার করি, ওর কোন কথায় মনোযোগ না করি।

19. হে মাবুদ, আমার প্রতি মনোযোগ দাও, যারা আমার সঙ্গে ঝগড়া করে, তাদের কথা শোন।

20. উপকারের বদলে কি অপকার করা হবে? তারা তো আমার প্রাণের জন্য গর্ত খনন করেছে। স্মরণ কর, তাদের থেকে তোমার গজব ফিরাবার চেষ্টায় আমি তাদের পক্ষে মঙ্গলের কথা বলবার জন্য তোমার সম্মুখে দাঁড়াতাম।

21. অতএব তুমি তাদের সন্তানদেরকে দুর্ভিক্ষের হাতে তুলে দাও, তাদেরকে তলোয়ারের হস্তগত কর, আর তাদের স্ত্রীরা পুত্রহীনা ও বিধবা হোক, তাদের পুরুষেরা মহামারীতে বিনষ্ট ও তাদের যুবকেরা যুদ্ধে তলোয়ারের আঘাতপ্রাপ্ত হোক।

22. তুমি তাদের প্রতি অকস্মাৎ সৈন্যদল উপস্থিত করলে তাদের বাড়িগুলো থেকে কান্নার আওয়াজ শোনা যাক; কেননা তারা আমাকে ধরবার জন্য গর্ত খনন করেছে ও আমার পায়ের জন্য গোপনে ফাঁদ পেতেছে।

23. আর হে মাবুদ, প্রাণনাশ করার জন্য আমার বিরুদ্ধে তাদের কৃত সমস্ত মন্ত্রণা তুমিই জান; তুমি তাদের অপরাধ মাফ করো না, তাদের গুনাহ্‌ তোমার সম্মুখ থেকে মুছে ফেলো না; তারা তোমার সম্মুখে নিপাতিত হোক; তুমি তোমার ক্রোধের সময়ে তাদের শাস্তি দাও।