অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28
  29. 29
  30. 30
  31. 31
  32. 32
  33. 33
  34. 34
  35. 35
  36. 36
  37. 37
  38. 38
  39. 39
  40. 40
  41. 41
  42. 42
  43. 43
  44. 44
  45. 45
  46. 46
  47. 47
  48. 48
  49. 49
  50. 50
  51. 51
  52. 52

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

ইয়ারমিয়া 15 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

গুনাহের শাস্তি অবশ্যই পাবে

1. তখন মাবুদ আমাকে বললেন, মূসা ও শামুয়েল যদি আমার সম্মুখে দাঁড়াত, তবুও আমার প্রাণ এই জাতির অনুকূল হত না; তুমি আমার সম্মুখ থেকে তাদেরকে বিদায় কর, তারা চলে যাক।

2. আর যদি তারা তোমাকে বলে, কোথায় চলে যাব? তবে তাদের বলো, মাবুদ এই কথা বলেন, মৃত্যুর পাত্র মৃত্যুর স্থানে, তলোয়ারের পাত্র তলোয়ারের স্থানে, দুর্ভিক্ষের পাত্র দুর্ভিক্ষের স্থানে ও বন্দীত্বের পাত্র বন্দীত্বের স্থানে গমন করুক।

3. মাবুদ বলেন, আমি চার জাতিকে তাদের উপরে নিযুক্ত করবো; হত্যা করার জন্য তলোয়ার, টানাটানি করার জন্য কুকুর, খেয়ে ফেলবার ও বিনাশ করার জন্য আসমানের পাখি ও ভূমির পশু।

4. আর আমি এমন করবো যে তারা দুনিয়ার সমস্ত রাজ্যে ভেসে বেড়াবে; এহুদার বাদশাহ্‌ হিষ্কিয়ের পুত্র মানশার জন্য, জেরুশালেমে তার কৃতকর্মের জন্য এসব করবো।

5. হে জেরুশালেম, কে তোমাকে রহম করবে? কেই বা তোমার জন্য মাতম করবে? কেই বা তোমার মঙ্গল জিজ্ঞাসা করতে আসবে?

6. মাবুদ বলেন, তুমিই আমাকে ত্যাগ করেছ, তুমি পিছিয়ে পড়েছ, এজন্য আমি তোমার বিরুদ্ধে আমার হাত বাড়িয়ে তোমাকে নষ্ট করেছি; আমি মাফ করতে করতে ক্লান্ত হলাম।

7. আমি তাদেরকে দেশের তোরণদ্বারগুলোর মধ্যে কুলাতে করে ঝেড়েছি, তাদেরকে সন্তান-বিরহিত করেছি, আমার লোকদেরকে বিনষ্ট করেছি, তারা নিজেদের পথ থেকে ফিরে নি।

8. তাদের বিধবারা আমার সম্মুখে সমুদ্রের বালি হতেও বহুসংখ্যক হয়েছে; আমি তাদের কাছে যুবকদের জননীর বিরুদ্ধে মধ্যাহ্নকালে বিনাশক এক জনকে এনেছি, অকস্মাৎ তার প্রতি দুঃখ ও বিহ্বলতা উপস্থিত করেছি।

9. সপ্ত সন্তানের জননী ক্ষীণা হয়েছে, প্রাণত্যাগ করেছে, দিন থাকতে তার সূর্য অস্তগমন করেছে, সে লজ্জিতা ও হতাশ হয়েছে; আর আমি তাদের অবশিষ্টাংশকে দুশমনদের সম্মুখে তলোয়ারের হাতে তুলে দেব, মাবুদ এই কথা বলেন।

হযরত ইয়ারমিয়ার অভিযোগ ও তার জবাব

10. হায়! হায়! মা আমার, আমি সমস্ত দুনিয়ার বিরোধের ও বিবাদের পাত্র, তুমি আমাকে কেন প্রসব করেছ? আমি তো কাউকেও সুদের জন্য ঋণ দেই নি, আমাকেও কেউ দেয় নি, তবুও সকলে আমাকে বদদোয়া দিচ্ছে।

11. মাবুদ বললেন, আমি নিশ্চয়ই তোমাকে মুক্ত করে তোমার মঙ্গল করবো; নিশ্চয়ই দুশমনদেরকে সঙ্কটকালে ও দুর্দশার সময়ে তোমার কাছে ফরিয়াদ করাব।

12. লোহা, উত্তর দেশীয় লোহা ও ব্রোঞ্জ কি ভাঙ্গা যায়?

13. আমি তোমার ঐশ্বর্য ও ধনকোষগুলো লুণ্ঠিত দ্রব্য হিসেবে বিনামূল্যে বিতরণ করবো; তোমার গুনাহ্‌গুলোর জন্য তোমার সীমার সর্বত্রই করবো।

14. আর তোমার দুশমনদের দ্বারা তোমার অজ্ঞাত একটি দেশে তোমাকে নিয়ে যাব; কেননা আমার ক্রোধে আগুন জ্বলে উঠলো, তা তোমাদের উপরে জ্বলে উঠবে।

15. হে মাবুদ, তুমিই জান; আমাকে স্মরণ কর, আমার তত্ত্বানুসন্ধান কর, আমার তাড়নাকারীদেরকে অন্যায়ের প্রতিশোধ দাও, তোমার দীর্ঘসহিষ্ণুতায় আমাকে হরণ করো না; জেনো আমি তোমার জন্য টিট্‌কারি সহ্য করেছি।

16. যখন তোমার কালামগুলো পাওয়া গেল, আমি সেগুলো ভোজন করলাম, আর তোমার কালামগুলো আমার আমোদ ও অন্তরের হর্ষজনক ছিল; কেননা হে মাবুদ, বাহিনীগণের আল্লাহ্‌, আমার উপরে তোমার নাম কীর্তিত।

17. আমি পরিহাসকারীদের সভাতে বসি নি, উল্লাস করি নি; তোমার হাত আমার উপর ছিল বলে একাকী বসতাম, কেননা তুমি আমাকে ক্রোধে পূর্ণ করেছ।

18. আমার যাতনা নিত্যস্থায়ী ও আমার ক্ষত দুরারোগ্য কেন? তা চিকিৎসা অগ্রাহ্য করছে। তুমি কি আমার কাছে মিথ্যা স্রোত ও অস্থায়ী পানির মত হবে?

19. অতএব মাবুদ এই কথা বলেন, তুমি যদি ফিরে এসো, তবে আমি তোমাকে ফিরিয়ে আনবো, তুমি আমার সাক্ষাতে দাঁড়াবে; এবং যদি নিকৃষ্ট বস্তু থেকে কাঞ্চন বের করে নাও, তবে আমার মুখস্বরূপ হবে; ওরা তোমার কাছে ফিরে আসবে, কিন্তু তুমি ওদের কাছে ফিরে যাবে না।

20. আর আমি এই জাতির কাছে তোমাকে ব্রোঞ্জের দৃঢ় প্রাচীরস্বরূপ করবো; তারা তোমার সঙ্গে যুদ্ধ করবে, কিন্তু তোমাকে পরাজিত করতে পারবে না, কেননা তোমার নাজাত ও তোমার উদ্ধারের জন্য আমি তোমার সঙ্গে সঙ্গে আছি, মাবুদ এই কথা বলেন।

21. আর আমি দুষ্টদের হাত থেকে তোমাকে উদ্ধার করবো, নিষ্ঠুরদের হাত থেকে তোমাকে মুক্ত করবো।