অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28
  29. 29
  30. 30
  31. 31
  32. 32
  33. 33
  34. 34
  35. 35
  36. 36
  37. 37
  38. 38
  39. 39
  40. 40
  41. 41
  42. 42
  43. 43
  44. 44
  45. 45
  46. 46
  47. 47
  48. 48
  49. 49
  50. 50
  51. 51
  52. 52

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

ইয়ারমিয়া 10 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

মূর্তিপূজা ইসরাইলদের জন্য ধ্বংস ডেকে এনেছে

1. হে ইসরাইল-কুল, মাবুদ তোমাদের বিষয়ে যে কথা বলেন, তা শোন।

2. মাবুদ এই কথা বলেন, তোমরা জাতিদের ব্যবহার শিখো না, আসমানের নানা চিহ্নকে ভয় পেয়ো না; বাস্তবিক জাতিরাই তা থেকে ভীত হয়।

3. কেননা জাতিদের বিধিগুলো অসার; লোকে বনে যে কাঠ কাটে, তা-ই বাটালি সহকারে কারুশিল্পীর হস্তকৃত কাজ হয়ে ওঠে।

4. লোকে তা রূপা ও সোনা দিয়ে অলঙ্কৃত করে; এবং যেন না নড়ে, সেজন্য হাতুড়ি দিয়ে প্রেক মেরে তা দৃঢ় করে।

5. সেসব খোদিত স্তম্ভস্বরূপ; কথা বলতে পারে না; তাদেরকে বহন করতে হয়, কারণ তারা চলতে পারে না। তোমরা তাদেরকে ভয় পেয়ো না। কারণ তারা অমঙ্গল করতে পারে না, মঙ্গল করতেও তাদের সাধ্য নেই।

6. হে মাবুদ, তোমার মত আর কেউই নেই; তুমি মহান, তোমার নাম ও পরাক্রমে মহৎ।

7. হে জাতিদের বাদশাহ্‌, তোমাকে কে না ভয় করবে? তা তোমারই পাওনা, কেননা জাতিদের সমস্ত জ্ঞানী লোকের মধ্যে, তাদের সমস্ত রাজ্যের মধ্যে, তোমার মত কেউ নেই।

8. কিন্তু তারা সকলে পশুর মত ও স্থূলবুদ্ধি সম্পন্ন; তাদের মূর্তিগুলো যে শিক্ষা দেয় তা কাঠের মতই অসার।

9. তর্শীশ থেকে রূপার পাত ও ঊফস থেকে সোনা আনা হয়; মূর্তিগুলো কারুকরের কৃত ও স্বর্ণকারের হাতের তৈরি; তাদের পরিচ্ছদ নীল ও বেগুনে, সে সবই শিল্পনিপুণ লোকদের হাতের কাজ।

10. কিন্তু মাবুদ সত্য আল্লাহ্‌; তিনিই জীবন্ত আল্লাহ্‌ ও অনন্তকালস্থায়ী বাদশাহ্‌; তাঁর ক্রোধে দুনিয়া কেঁপে ওঠে এবং তাঁর কোপ জাতিরা সইতে পারে না।

11. তোমরা ওদেরকে এই কথা বল, ‘যে দেবতারা আসমান ও দুনিয়া গঠন করে নি, তারা দুনিয়া থেকে ও আসমানের নিচ থেকে উচ্ছিন্ন হবে’।

12. তিনি নিজের শক্তিতে দুনিয়া গঠন করেছেন, নিজের জ্ঞানে দুনিয়া স্থাপন করেছেন, নিজের বুদ্ধিতে আসমান বিস্তার করেছেন।

13. তিনি গর্জে উঠলে আসমানে জলরাশির আওয়াজ হয়, তিনি দুনিয়ার প্রান্ত থেকে বাষ্প উত্থাপন করেন; তিনি বৃষ্টির জন্য বিদ্যুৎ গঠন করেন, তিনি তাঁর ভাণ্ডার থেকে বায়ু বের করে আনেন।

14. প্রত্যেক মানুষ পশুর মত হয়েছে, সে জ্ঞানহীন; প্রত্যেক স্বর্ণকার তার মূর্তি দ্বারা লজ্জিত হয়। কারণ তার ছাঁচে ঢালা বস্তু, মিথ্যামাত্র, তার মধ্যে শ্বাসবায়ু নেই।

15. সেসব অসার, মায়ার কর্মমাত্র; তাদের প্রতিফল দানকালে তারা বিনষ্ট হবে।

16. যিনি ইয়াকুবের অধিকার, তিনি সেরকম নন; কারণ তিনি সমস্ত বস্তুর গঠনকারী এবং ইসরাইল তাঁর অধিকাররূপ বংশ; তাঁর নাম বাহিনীগণের মাবুদ!

এহুদার ধ্বংস

17. হে অবরুদ্ধস্থান-নিবাসীনী! তুমি ভূমি থেকে তোমার সামগ্রী কুড়িয়ে নাও।

18. কেননা মাবুদ এই কথা বলেন, দেখ, আমি এই সময়ে দেশীয় লোকদেরকে ফিঙ্গার পাথরের মত নিক্ষেপ করবো এবং এমন সঙ্কটাপন্ন করবো যে, তারা টের পাবে।

19. হায় হায়, আমার কেমন ক্ষত! আমার ক্ষত অতি বেদনাযুক্ত; তবুও আমি বললাম, এ আমার অসুস্থতা, আমি তা সহ্য করবো।

20. আমার তাঁবু বিনষ্ট হল; আমার সমস্ত দড়ি ছিঁড়ে গেল, আমার সন্তানেরা আমার কাছ থেকে প্রস্থান করলো, তারা আর নেই। আমার তাঁবু পুনর্বার টাঙ্গাতে ও আমার পর্দা ঝোলাতে এক জনও নেই।

21. কেননা পালকেরা পশুর মত হয়েছে, মাবুদের কাছে খোঁজ করে নি, এজন্য বুদ্ধিপূর্বক চলে নি, তাদের সমস্ত পাল ছিন্নভিন্ন হয়েছে।

22. কোলাহলের আওয়াজ! দেখ, তা উপস্থিত হচ্ছে, উত্তর দেশ থেকে বড় কলরব আসছে; এহুদার নগর সকল বিধ্বস্ত ও শিয়ালদের বাসস্থান করা হবে।

23. হে মাবুদ, আমি জানি, মানুষের পথ তার বশে নয়, মানুষ চলতে চলতে তার পদক্ষেপ স্থির করতে পারে না।

24. হে মাবুদ, আমাকে শাসন কর, কেবল বিচারপূর্বক কর; ক্রোধপূর্বক করো না, পাছে তুমি আমাকে ক্ষীণ করে ফেল।

25. ঢেলে দাও তোমার গজব সেই জাতিদের উপরে, যারা তোমাকে জানে না; সেই গোষ্ঠীগুলোর উপরে, যারা তোমার নামে ডাকে না; কেননা তারা ইয়াকুবকে গ্রাস করেছে, গ্রাস করে সংহার করেছে, তারা তার বাসস্থান শূন্য করেছে।