ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

ইহিস্কেল 46:7-24 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

7. আর শস্য-উৎসর্গ হিসেবে তিনি বাছুরটির প্রতি এক ঐফা, ভেড়ার প্রতি এক ঐফা সুজি ও ভেড়ার বাচ্চাগুলোর জন্য তাঁর হাতে যতটা উঠবে এবং ঐফার প্রতি এক হিন তেল দেবেন।

8. আর নেতা যখন আসবেন, তখন দ্বারের বারান্দার পথ দিয়ে প্রবেশ করবেন এবং সেই পথ দিয়ে বের হয়ে আসবেন।

9. আর দেশের সকল লোক উৎসবের সময়ে যখন মাবুদের সম্মুখে আসবে, তখন সেজ্‌দা করার জন্য যে ব্যক্তি উত্তরদ্বারের পথ দিয়ে প্রবেশ করবে, সে দক্ষিণদ্বারের পথ দিয়ে বের হয়ে আসবে; এবং যে ব্যক্তি দক্ষিণদ্বারের পথ দিয়ে প্রবেশ করবে, সে উত্তরদ্বারের পথ দিয়ে বের হয়ে আসবে; যে ব্যক্তি যে দ্বারের পথ দিয়ে প্রবেশ করবে, সে সেখানে ফিরে যাবে না, কিন্তু নিজের সম্মুখস্থ পথ দিয়ে বের হয়ে আসবে।

10. আর শাসনকর্তা তাদের মধ্যে থেকে তাদের প্রবেশকালে প্রবেশ করবেন ও তাদের বের হয়ে আসার সময় বের হবেন।

11. আর উৎসবে ও ঈদে শস্য-উৎসর্গের সঙ্গে একটি ষাঁড়ের জন্য এক ঐফা, একটি ভেড়ার জন্য এক ঐফা সুজি ও ভেড়ার বাচ্চাগুলোর জন্য তাঁর হাতে যতটা উঠবে এবং ঐফার প্রতি এক হিন তেল লাগবে।

12. আর শাসনকর্তা যখন স্বেচ্ছাদত্ত দান মাবুদের উদ্দেশে পোড়ানো-কোরবানী বা মঙ্গল-কোরবানী হিসেবে কোরবানী করবেন, তখন তাঁর জন্য পূর্বমুখী দ্বার খুলে দিতে হবে। আর তিনি বিশ্রামবারে যেমন করেন, তেমনি তার পোড়ানো-কোরবানী ও মঙ্গল-কোরবানী করবেন, পরে বের হয়ে আসবেন এবং তাঁর বের হবার পর সেই দ্বার বন্ধ করা যাবে।

13. আর তুমি প্রত্যহ মাবুদের উদ্দেশে পোড়ানো-কোরবানীর জন্য এক বছরের নিখুঁত একটি ভেড়ার বাচ্চা কোরবানী করবে; প্রত্যহ প্রাতে তা কোরবানী করবে।

14. আর প্রত্যহ প্রাতে তার সঙ্গে খাদ্য-উপহার হিসেবে ঐফার ষষ্ঠাংশ সুজি ও সেই মিহি সুজি ময়ান দেবার জন্য হিনের তিন ভাগের এক ভাগ তেল, এই শস্য-উৎসর্গ মাবুদের উদ্দেশে উৎসর্গ করবে, এই বিধি চিরস্থায়ী হবে।

15. এভাবে প্রত্যহ প্রাতে সেই ভেড়ার বাচ্চা, নৈবেদ্য ও তেল কোরবানী করা যাবে। এ হল নিয়মিত পোড়ানো-কোরবানী।

16. সার্বভৌম মাবুদ এই কথা বলেন, শাসনকর্তা যদি তার পুত্রদের মধ্যে কোন এক জনকে কিছু দান করেন, তবে তা তার অধিকার হবে, তা তাঁর পুত্রদের হবে; তা অধিকার বলে তাদের স্বত্ব হবে।

17. কিন্তু তিনি যদি নিজের কোন গোলামকে তার অধিকারের কিছু দান করেন, তবে তা মুক্তিবছর পর্যন্ত তার থাকবে, পরে পুনর্বার শাসনকর্তার হবে; কেবল তাঁর পুত্ররা তাঁর অধিকার পাবে।

18. আর শাসনকর্তা লোকদেরকে দৌরাত্মপূর্বক অধিকারচ্যুত করার জন্য তাদের অধিকার থেকে কিছু নেবেন না; তিনি নিজের অধিকারের মধ্য থেকে তার পুত্রদেরকে অধিকার দেবেন; যেন আমার লোকেরা নিজ নিজ অধিকার থেকে ছিন্নভিন্ন হয়ে না যায়।

19. পরে তিনি দ্বারের পাশে অবস্থিত প্রবেশের পথ দিয়ে আমাকে ইমামদের উত্তরমুখী পবিত্র কুঠরীশ্রেণীতে আনলেন; আর দেখ পশ্চিম দিকে পিছনে একটি স্থান ছিল।

20. তখন তিনি আমাকে বললেন, এই স্থানে ইমামেরা দোষ-কোরবানী ও গুনাহ্‌-কোরবানী রান্না করবে ও নৈবেদ্য ভাজবে; যেন তারা লোকদেরকে পবিত্র করার জন্য তা বাইরের প্রাঙ্গণে নিয়ে না যায়।

21. পরে তিনি আমাকে বাইরের প্রাঙ্গণে এনে সেই প্রাঙ্গণের চার কোণ দিয়ে গমন করালেন; আর দেখ, ঐ প্রাঙ্গণের প্রত্যেক কোণে একটি করে প্রাঙ্গণ ছিল।

22. প্রাঙ্গণের চার কোণে চল্লিশ হাত লম্বা ও ত্রিশ হাত চওড়া প্রাচীরবেষ্টিত প্রাঙ্গণ ছিল। সেই চার কোণের প্রাঙ্গণগুলোর একই পরিমাণ ছিল;

23. চারটির মধ্যে প্রত্যেকের চারদিকে গাঁথনি-শ্রেণী ছিল এবং ঐ চারদিকের গাঁথনি-শ্রেণীর তলে উনান পাতা ছিল।

24. তখন তিনি আমাকে বললেন, এসব পাচকদের বাড়ি, এই স্থানে এবাদতখানার পরিচারকেরা লোকদের কোরবানীর জিনিস সিদ্ধ করবে।

সম্পূর্ণ অধ্যায় পড়ুন ইহিস্কেল 46