অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

ইউসা 18 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

শীলোতে জমায়েত-তাঁবুুুুু স্থাপন ও অন্যান্য বংশের সীমানা নির্ধারণ

1. পরে বনি-ইসরাইলদের সমস্ত মণ্ডলী শীলোতে সমাগত হয়ে সেই স্থানে জমায়েত-তাঁবু স্থাপন করলো; দেশটি তারা জয় করে নিয়েছিল।

2. ঐ সময়ে বনি-ইসরাইলদের মধ্যে সাতটি বংশ অবশিষ্ট ছিল, যারা নিজ নিজ অধিকার ভাগ করে নেয় নি।

3. ইউসা বনি-ইসরাইলদের বললেন, তোমাদের পূর্বপুরুষদের আল্লাহ্‌ মাবুদ তোমাদের যে দেশ দিয়েছেন, সেই দেশে গিয়ে তা অধিকার করতে তোমরা আর কত কাল শিথিল থাকবে?

4. তোমরা তোমাদের এক এক বংশের মধ্য থেকে তিন তিন জনকে দাও; আমি তাদের প্রেরণ করবো, তারা গিয়ে দেশের সর্বত্র ভ্রমণ করবে এবং প্রত্যেকের অধিকার অনুসারে তার বর্ণনা লিখে নিয়ে আমার কাছে ফিরে আসবে।

5. তারা তা সাতটি অংশে ভাগ করবে; দক্ষিণ দিকে নিজের সীমাতে এহুদা এবং উত্তর দিকে নিজের সীমাতে ইউসুফের বংশ থাকবে।

6. তোমরা দেশটি সাত অংশ করে তার বর্ণনা লিখে আমার কাছে আনবে; আমি এই স্থানে আমাদের আল্লাহ্‌ মাবুদের সাক্ষাতে তোমাদের জন্য গুলিবাঁট করবো।

7. কারণ তোমাদের মধ্যে লেবীয়দের কোন অংশ নেই, কেননা মাবুদের ইমাম-পদ তাদের অধিকার; আর গাদ ও রূবেণ এবং মানশার অর্ধেক বংশ জর্ডানের পূর্বপারে মাবুদের গোলাম মূসা দেওয়া নিজেদের অধিকার পেয়েছে।

8. পরে সেই লোকেরা উঠে যাত্রা করলো; আর যারা সেই দেশের বর্ণনা লিখতে গেল, ইউসা তাদের এই হুকুম দিলেন, তোমরা গিয়ে দেশের সর্বত্র ভ্রমণ করে দেশের বর্ণনা লিখে নিয়ে আমার কাছে ফিরে এসো; তাতে আমি এই শীলোতে মাবুদের সাক্ষাতে তোমাদের জন্য গুলিবাঁট করবো।

9. পরে ঐ লোকেরা গিয়ে দেশের সর্বত্র ভ্রমণ করলো এবং নগর অনুসারে সাত অংশ করে পুস্তকে তার বর্ণনা লিখল; পরে শীলোস্থিত শিবিরে ইউসার কাছে ফিরে এল।

10. আর ইউসা শীলোতে মাবুদের সাক্ষাতে তাদের জন্য গুলিবাঁট করলেন; ইউসা সেই স্থানে বনি-ইসরাইলদের বিভাগ অনুসারে দেশটি তাদেরকে অংশ করে দিলেন।

বিন্‌ইয়ামীন বংশের সীমানা

11. আর গুলিবাঁটক্রমে এক অংশ নিজ নিজ গোষ্ঠী অনুসারে বিন্‌ইয়ামীন সন্তানদের বংশের নামে উঠলো। গুলিবাঁটে নির্দিষ্ট তাদের সীমা এহুদা বংশ ও ইউসুফ-বংশের মধ্যে হল।

12. তাদের উত্তর পাশের সীমা জর্ডান থেকে জেরিকোর উত্তর পাশ দিয়ে গেল, পরে পর্বতময় প্রদেশের মধ্য দিয়ে পশ্চিম দিকে বৈৎ আবনের মরুভূমি পর্যন্ত গেল।

13. সেখান থেকে ঐ সীমা লূসে, দক্ষিণ দিকে লূসের অর্থাৎ বেথেলের পাশ পর্যন্ত গেল; এবং নিম্নতর বৈৎ-হোরণের দক্ষিণে অবস্থিত পর্বত দিয়ে অটারোৎ-অদ্দরের দিকে নেমে গেল।

14. সেখান থেকে ঐ সীমা ফিরে পশ্চিম পাশে, বৈৎ-হোরণের দক্ষিণে অবস্থিত পর্বত থেকে দক্ষিণ দিকে গেল; আর এহুদা-বংশের লোকদের কিরিয়ৎ-বাল অর্থাৎ কিরিয়ৎ-যিয়ারীম নামক নগর পর্যন্ত গেল; এটা পশ্চিম পার্শ্ব।

15. আর দক্ষিণ পাশ কিরিয়ৎ-যিয়ারীমের প্রান্ত থেকে আরম্ভ হল এবং সেই সীমা পশ্চিম দিক দিয়ে গিয়ে নিপ্তোহের পানির ফোয়ারা পর্যন্ত স্থির হল।

16. আর ঐ সীমা হিন্নোম-সন্তানের উপত্যকার সম্মুখ ও রফায়ীম উপত্যকার উত্তর দিকস্থ পর্বতের প্রান্ত পর্যন্ত নেমে গেল এবং হিন্নোমের উপত্যকায়, যিবূষের দক্ষিণ পাশে নেমে এসে ঐন্‌-রোগেলে গেল।

17. আর উত্তর দিকে ফিরে ঐন-শেমশ পর্যন্ত এবং অদুল্লীম আরোহণ-পথের সম্মুখস্থ গলীলোতের দিক দিয়ে গিয়ে রূবেণ-বংশ বোহনের পাথর পর্যন্ত নেমে গেল।

18. আর উত্তর দিকে অরাবা সমভূমির সম্মুখস্থ পাশে গিয়ে অরাবা সমভূমিতে নেমে গেল।

19. আর ঐ সীমা উত্তর দিকে বৈৎ-হগ্লার পাশ পর্যন্ত গেল; জর্ডানের দক্ষিণ প্রান্তস্থ লবণ-সমুদ্রের উত্তর খাড়ি সেই সীমার প্রান্ত ছিল; এটা দক্ষিণ সীমা।

20. আর পূর্ব পাশে জর্ডান তার সীমা ছিল। চারদিকে তার সীমা অনুসারে বিন্‌ইয়ামীন-বংশের লোকদের এই অধিকার ছিল।

21. নিজ নিজ গোষ্ঠী অনুসারে, বিন্‌ইয়ামীন-বংশের নগর জেরিকো, বৈৎ-হগ্লা, এমক-কশিশ,

22. বৈৎ-অরাবা, সমারয়িম, বেথেল,

23. অব্বীম, পারা, অফ্রা,

24. কফর-অম্মোনী, অফ্‌নি ও সেবা; স্ব স্ব গামের সঙ্গে বারোটি নগর।

25. গিবিয়োন, রামা, বেরোৎ,

26. মিস্‌পী, কফীরা, মোৎসা,

27. রেকম, যির্পেল, তরলা,

28. সেলা, এলফ, যিবূষ অর্থাৎ জেরুশালেম, গিবিয়াৎ ও কিরিয়ৎ; স্ব স্ব গামের সঙ্গে চৌদ্দটি নগর। নিজ নিজ গোষ্ঠী অনুসারে বিন্‌ইয়ামীন-বংশের লোকদের এই হল অধিকার।