অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28
  29. 29
  30. 30
  31. 31
  32. 32
  33. 33
  34. 34
  35. 35
  36. 36
  37. 37
  38. 38
  39. 39
  40. 40
  41. 41
  42. 42

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

আইউব 38 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

হযরত আইউবের প্রতি মাবুদের কথা

1. পরে মাবুদ ঘূর্ণিবাতাসের মধ্য থেকে আইউবকে জবাবে বললেন,

2. এ কে, যে জ্ঞানহীন কথা দ্বারা মন্ত্রণাকে অন্ধকারে ঢেকে রাখে?

3. তুমি এখন বীরের মত কোমরবন্ধনী পর;আমি তোমাকে জিজ্ঞাসা করি,তুমি আমাকে বুঝিয়ে দাও।

4. যখন আমি দুনিয়ার ভিত্তিমূল স্থাপন করি,তখন তুমি কোথায় ছিলে?যদি তোমার বুদ্ধি থাকে তবে বল,

5. তুমি কি জান, কে দুনিয়ার পরিমাণ নির্ধারণ করলো?কে তার উপরে মানরজ্জু ধরলো?

6. তার ভিত্তিগুলো কিসের উপরে স্থাপিত হল?কে বা তার কোণের পাথর বসালো?

7. তৎকালে প্রভাতীয় নক্ষত্রগুলো একসঙ্গে আনন্দধ্বনি করলো,আল্লাহ্‌র পুত্ররা সকলে জয়ধ্বনি করলো।

8. কে কবাট দিয়ে সমুদ্রকে রুদ্ধ করলো?যখন তা বের হল, দুনিয়ার গর্ভাশয় থেকে বের হল?

9. তৎকালে আমি মেঘকে তার বস্ত্র করলাম,ঘন অন্ধকারকে তার আচ্ছাদন করলাম;

10. আমি তার জন্য আমার বিধি নির্ধারণ করলাম,অর্গল ও কবাট স্থাপন করলাম,

11. বললাম, তুমি এই পর্যন্ত আসতে পার, আর নয়;এই স্থানে তোমার তরঙ্গের গর্ব নিবারিত হবে।

12. তুমি কি আজন্মকাল কখনও প্রভাতকে হুকুম দিয়েছ,অরুণকে তার উদয় স্থান জানিয়েছ;

13. যেন তা দুনিয়ার প্রান্ত সকল ধরে,আর দুষ্টদেরকে তা থেকে ঝেড়ে ফেলা যায়?

14. দুনিয়া সীলমোহরকৃত মাটির মত আকার পায়,সকলই কাপড়ের মত প্রকাশ পায়;

15. দুষ্টদের থেকে আলো নিবারিত হয়,আর তাদের উঁচু বাহু ভেঙ্গে যায়।

16. তুমি কি সমুদ্রের উৎসে প্রবেশ করেছ?জলধি-তলে কি পদার্পণ করেছ?

17. তোমার কাছে কি মৃত্যুর কবাট প্রকাশিত হয়েছে?তুমি কি মৃত্যুচ্ছায়ার দ্বার দেখেছ?

18. এই দুনিয়াটা কত বড় তা কি তুমি জান?বল, যদি সমস্তই জান।

19. আলোর নিবাসে যাবার পথ কোথায়?অন্ধকারেরই বা বাসস্থান কোথায়?

20. তুমি কি তার সীমাতে তাকে নিয়ে যেতে পার?তার বাড়ি যাবার পথ কি তুমি জান?

21. আছ বৈ কি, তখন তো তোমার জন্ম হয়েছিল!তোমার তো অনেক বয়স হয়েছে!

22. তুমি কি তুষারের ভাণ্ডারে প্রবেশ করেছ,সেই শিলাবৃষ্টির ভাণ্ডার কি তুমি দেখেছ,

23. যা আমি সঙ্কটকালের জন্য রেখেছি,সংগ্রাম ও যুদ্ধ দিনের জন্য রেখেছি?

24. কোন্‌ পথ দিয়ে আলো ছড়িয়ে পড়ে,ও পূর্বীয় বায়ু ভুবনময় ব্যাপ্ত হয়?অতিবৃষ্টির জন্য কে প্রণালী কেটেছে,

25. বজ্র-বিদ্যুতের জন্য কে পথ করেছে,

26. যেন নির্জন দেশে বৃষ্টি পড়ে,জনশূন্য মরুভূমিতে বর্ষা হয়,

27. যেন মরুভূমি ও শুকনো স্থান তৃপ্ত হয়,এবং কোমল ঘাস উৎপন্ন হয়?

28. বৃষ্টির পিতা কেউ কি আছে?শিশির-বিন্দুগুলোর জনকই বা কে?

29. বরফ কার গর্ভ থেকে উৎপন্ন হয়েছে?আকাশ থেকে যে তুষার পড়ে তার জন্ম কে দিয়েছে?

30. পানি জমে পাথরের মত হয়,জলধির মুখ কঠিন হয়ে যায়।

31. তুমি কি কৃত্তিকা নক্ষত্রগুলোকে বাঁধতে পার?কালপুরুষ নামে তারার কটিবন্ধ কি খুলতে পার?

32. রাশিগুলোকে কি স্ব স্ব ঋতুতে চালাতে পার?সপ্তর্ষি ও তার পুত্রদেরকে পথ দেখাতে পার?

33. তুমি কি আকাশমণ্ডলের অনুশাসন জান?দুনিয়াতে তার কর্তৃত্ব কি নির্ধারণ করতে পার?

34. তুমি কি মেঘ পর্যন্ত তোমার ধ্বনি তুলতে পার?যেন অতিবৃষ্টি তোমাকে আচ্ছন্ন করে?

35. তুমি কি বিদ্যুৎগুলো পাঠালে তারা যাবে?তোমাকে কি বলবে, এই যে আমরা!

36. কে অন্তঃকরণকে জ্ঞান দিয়েছে?মনকে কে বুদ্ধি দিয়েছে?

37. কে প্রজ্ঞাবলে মেঘগুলোকে গণনা করতে পারে?আসমানের কুপাগুলো কে উল্টাতে পারে,

38. যাতে ধূলা দ্রবীভূত ধাতুর মত গলে যায়,ও মাটি জমাট বাঁধে?

39. তুমি কি সিংহীর জন্য শিকার খোঁজ করবে?সিংহের বাচ্চাদের ক্ষুধা কি নিবৃত্ত করবে,

40. যখন তারা গুহামধ্যে শয়ন করে,গুপ্ত স্থানে বসে শিকারের অপেক্ষায় থাকে?

41. কে দাঁড়কাককে আহার জোগায়,যখন তার বাচ্চাগুলো আল্লাহ্‌র কাছে আর্তনাদ করে,ও খাদ্যের অভাবে ভ্রমণ করে?