7. দেখুন, আমার ভয়ানকতা আপনাকে ত্রাসযুক্ত করবে না,আমার ভার আপনার দুর্বহ হবে না।
8. আপনি আমার কর্ণগোচরেই কথা বলেছেন,আমি আপনার কথার আওয়াজ শুনতে পেয়েছি,
9. “আমি পাক-পবিত্র, আমার অধর্ম নেই;আমি নিষ্কলঙ্ক, আমাতে অপরাধ নেই;
10. দেখুন, তিনি আমার বিরুদ্ধে ছিদ্র খোঁজ করেন,আমাকে আপনার দুশমন গণনা করেন;
11. তিনি আমার পা শিকল দিয়ে বেঁধেছেন,আমার সমস্ত পথ নিরীক্ষণ করেন।”
12. দেখুন, এই বিষয়ে আপনি যথার্থবাদী নন—আমি আপনাকে জবাব দিই—কেননা মানুষের চেয়ে আল্লাহ্ মহান।
13. আপনি কেন তার সঙ্গে বিতণ্ডা করছেন?তিনি তো আপনার কোন কথার জবাব দেন না।
14. আল্লাহ্ একবার বলেন, বরং দু’বার,কিন্তু লোকে মন দেয় না।
15. স্বপ্নে, রাত্রিকালীন দর্শনে,যখন মানুষেরা অগাধ নিদ্রায় মগ্ন হয়, বিছানায় সুখনিদ্রা যায়,
16. তখন তিনি মানুষের কান খুলে দেন,সাবধান বাণী দিয়ে তাদের ভয় দেখান,
17. যেন তিনি মানুষকে দুষ্কর্ম থেকে নিবৃত্ত করেন,যেন মানুষ থেকে অহঙ্কার গুপ্ত রাখেন।
18. তিনি কূপ থেকে তার প্রাণ,মৃত্যুর আঘাত থেকে তার জীবন রক্ষা করেন।
19. সে নিজের বিছানায় ব্যথিত হয়ে শাস্তি পায়,তার অস্থিতে নিরন্তর যন্ত্রণা হয়,
20. আহারেও তার জীবনের রুচি হয় না,সুস্বাদু খাদ্যও তার প্রাণে ভাল লাগে না,
21. তার মাংস ক্ষয় পেয়ে অদৃশ্য হয়,তার অদৃশ্য অস্থিগুলো বের হয়ে পড়ে।
22. তার প্রাণ কূপের নিকটস্থ হয়,তার জীবন মৃত্যুর দূতদের নিকটবর্তী হয়।
23. যদি তার সঙ্গে এক জন ফেরেশতা থাকেন,এক জন অর্থকারক, হাজারের মধ্যে এক জন,যিনি মানুষকে তার পক্ষে যা ন্যায্য, তা দেখান,
24. তবে তিনি তার প্রতি কৃপা করে বলেন,“কূপে নেমে যাওয়া থেকে একে মুক্ত কর,আমি তার কাফ্ফারা পেলাম।”
25. তার দেহ বালকের চেয়েও সতেজ হবে,সে যৌবন কাল ফিরে পাবে।
26. সে আল্লাহ্র কাছে মুনাজাত করে,আর তিনি তার প্রতি খুশি হন,তাই সে হর্ষধ্বনিপূর্বক তাঁর মুখ দর্শন করে,আর তিনি মানুষকে তার ধার্মিকতা ফিরিয়ে দেন।