অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

২ করিন্থীয় 5 Kitabul Mukkadas (MBCL)

1. আমরা এই কথা জানি যে, এই দুনিয়াতে যে তাম্বুতে আমরা বাস করি, অর্থাৎ যে দুর্বল শরীরে আমরা আছি তা যদি নষ্ট হয়ে যায় তবুও আল্লাহ্‌র দেওয়া একটা ঘর আমাদের আছে। এই ঘর মানুষের হাতের তৈরী নয়, তা বেহেশতে চিরকাল ধরেই আছে।

2. এই শরীরে থাকা অবস্থায় আমরা দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলছি এবং সমস্ত দিল দিয়ে চাইছি যেন বেহেশতের সেই নতুন শরীর দিয়ে আমাদের ঢাকা হয়;

3. কারণ এই কথা সত্যি যে, সেই শরীর পেলে পর দেখা যাবে যে, আমরা উলংগ নই।

4. সত্যিই এই দুর্বল শরীরে থাকা অবস্থায় আমরা বোঝার ভারে দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলছি। আমরা যে শরীরহীন হতে চাই তা নয়, বরং সেই নতুন শরীর দিয়ে ঢাকা হতে চাই, যেন আমাদের মৃত্যুর অধীন শরীর চিরকাল জীবিত থাকা শরীরে বদলে যায়।

5. এরই জন্য আল্লাহ্‌ আমাদের সৃষ্টি করেছেন এবং তারই প্রথম অংশ হিসাবে তিনি পাক-রূহ্‌কে আমাদের দিয়েছেন।

6. এইজন্য কখনও আমাদের সাহসের অভাব হয় না, আর আমরা বুঝতে পারছি যে, যতদিন আমরা এই শরীরের ঘরে বাস করব ততদিন প্রভুর কাছ থেকে দূরে থাকব।

7. যা দেখা যায় আমরা তো তার দ্বারা চলি না, বরং ঈমানের দ্বারা চলাফেলা করি।

8. আমাদের সাহস আছে আর আমরা শরীরের ঘর থেকে দূর হয়ে প্রভুর সংগে বাস করাই ভাল মনে করি।

9. সেইজন্য আমরা শরীরের ঘরে বাস করি বা না করি, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে প্রভুকে খুশী করা।

10. এর কারণ হল, মসীহের বিচার-আসনের সামনে আমাদের সকলের সব কিছু প্রকাশ করা হবে, যেন আমরা প্রত্যেকে এই শরীরে থাকতে যা কিছু করেছি, তা ভাল হোক বা খারাপ হোক, সেই হিসাবে তার পাওনা পাই।

আল্লাহ্‌র সংগে মিলন

11. প্রভুকে ভয় করি বলে আমরা নিজেদের সম্বন্ধে মানুষের মনে ঈমান জন্মাবার চেষ্টা করি। আমরা যা, তা তো আল্লাহ্‌র কাছে স্পষ্ট এবং আমি আশা করি তোমাদের বিবেকের কাছেও তা স্পষ্ট।

12. এতে অবশ্য আমরা তোমাদের কাছে আবার নিজেদের প্রশংসা করছি না বরং আমাদের নিয়ে তোমাদের গর্ববোধ করবার কারণ দেখাচ্ছি, যেন দিল না দেখে যারা বাইরের চেহারা দেখে গর্ববোধ করে তাদের তোমরা একটা জবাব দিতে পার।

13. যদি আমরা পাগল হয়ে গিয়ে থাকি তবে তা আল্লাহ্‌র জন্যই হয়েছি, আর যদি সুস্থ মনে থাকি তবে তা তোমাদের জন্যই রয়েছি।

14. মসীহের মহব্বতই আমাদের বশে রেখে চালাচ্ছে, কারণ আমরা নিশ্চয় করে বুঝেছি যে, সকলের হয়ে একজন মরলেন, আর সেইজন্য সকলেই মরল।

15. তিনি সবার হয়ে মরেছিলেন যেন যারা জীবিত আছে তারা আর নিজেদের জন্য বেঁচে না থাকে, বরং যিনি তাদের জন্য মরেছিলেন ও জীবিত হয়েছেন তাঁরই জন্য বেঁচে থাকে।

16. সেইজন্য এখন থেকে মানুষকে আমরা আর তার বাইরের অবস্থা দেখে বিচার করি না। অবশ্য মসীহ্‌কে আমরা আগে সেইভাবেই বিচার করেছিলাম, কিন্তু এখন আর তা করি না।

17. যদি কেউ মসীহের সংগে যুক্ত হয়ে থাকে তবে সে নতুনভাবে সৃষ্ট হল। তার পুরানো সব কিছু মুছে গিয়ে সব নতুন হয়ে উঠেছে।

18. এই সব আল্লাহ্‌ থেকেই হয়। তিনি মসীহের মধ্য দিয়ে তাঁর নিজের সংগে আমাদের মিলিত করেছেন, আর তাঁর সংগে অন্যদের মিলন করিয়ে দেবার দায়িত্ব আমাদের উপর দিয়েছেন।

19. এর অর্থ হল, আল্লাহ্‌ মানুষের গুনাহ্‌ না ধরে মসীহের মধ্য দিয়ে নিজের সংগে মানুষকে মিলিত করছিলেন, আর সেই মিলনের খবর জানাবার ভার তিনি আমাদের উপর দিয়েছেন।

20. সেইজন্যই আমরা মসীহের দূত হিসাবে তাঁর হয়ে কথা বলছি। আসলে আল্লাহ্‌ যেন নিজেই আমাদের মধ্য দিয়ে লোকদের কাছে অনুরোধ করছেন। তাই মসীহের হয়ে আমরা এই মিনতি করছি, “তোমরা আল্লাহ্‌র সংগে মিলিত হও।”

21. ঈসা মসীহের মধ্যে কোন গুনাহ্‌ ছিল না; কিন্তু আল্লাহ্‌ আমাদের গুনাহ্‌ তাঁর উপর তুলে দিয়ে তাঁকেই গুনাহের জায়গায় দাঁড় করালেন, যেন মসীহের সংগে যুক্ত থাকবার দরুন আল্লাহ্‌র পবিত্রতা আমাদের পবিত্রতা হয়।