ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

২ করিন্থীয় 3:6-18 Kitabul Mukkadas (MBCL)

6. একটা নতুন ব্যবস্থার কথা জানাবার জন্য তিনিই আমাদের যোগ্য করে তুলেছেন। এই ব্যবস্থা অক্ষরে অক্ষরে শরীয়ত পালনের ব্যাপার নয়, কিন্তু পাক-রূহের পরিচালনায় অন্তরের বাধ্যতার ব্যাপার; কারণ শরীয়ত মৃত্যু আনে, কিন্তু পাক-রূহ্‌ জীবন দান করেন।

7. পাথরে লেখা যে ব্যবস্থার ফলে মৃত্যু আসে সেই ব্যবস্থা দেবার সময় আল্লাহ্‌র মহিমা প্রকাশিত হয়েছিল। তাতে মূসার মুখও আল্লাহ্‌র মহিমায় উজ্জ্বল হয়েছিল। সেই উজ্জ্বলতা যদিও আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছিল তবুও বনি-ইসরাইলরা মূসার মুখের দিকে তাকাতে পারে নি।

8. যদি এই ব্যবস্থার ফল এত মহিমাপূর্ণ হতে পারে, তবে পাক-রূহের কাজের ফল কি আরও মহিমাপূর্ণ হবে না?

9. যে ব্যবস্থার দ্বারা মানুষকে দোষী বলে স্থির করা হয় তার কাজ যদি এত মহিমাপূর্ণ, তবে যে ব্যবস্থার দ্বারা মানুষকে ধার্মিক বলে গ্রহণ করা হয় তার কাজ আরও কত না বেশী মহিমাপূর্ণ!

10. আর সত্যিই, যা আগে মহিমাপূর্ণ ছিল, আসলে এখন তার কোন মহিমা নেই বললেই হয়, কারণ তার তুলনায় এখনকার ব্যবস্থার মহিমা আরও অনেক বেশী।

11. যা শেষ হয়ে যাচ্ছিল তা যখন এত মহিমাপূর্ণ ছিল তখন যা চিরকাল থাকে তা আরও কত না বেশী মহিমাপূর্ণ!

12. আমাদের এই রকম আশা আছে বলেই আমরা খোলাখুলিভাবে কথা বলি।

13. আমরা মূসার মত নই, কারণ মূসা তাঁর মুখের উপর ঢাকা দিয়েছিলেন যেন তাঁর মুখের উজ্জ্বলতা কমে যাওয়া বনি-ইসরাইলরা দেখতে না পায়।

14. কিন্তু সেই লোকদের মন কঠিন হয়েছিল। সেইজন্য আজও যখন সেই পুরানো ব্যবস্থার কথা তেলাওয়াত করা হয় তখন তাদের দিলের উপর সেই একই রকমের পর্দা থেকেই যায়, কারণ কেবল মসীহের সংগে যুক্ত হলেই সেই পর্দা সরে যায়।

15. কিন্তু আজও মূসার তৌরাত শরীফ তেলাওয়াত করবার সময় বনি-ইসরাইলদের দিল সেই পর্দায় ঢাকা থাকে।

16. কিন্তু তাদের মধ্যে কেউ যখন প্রভুর দিকে ফেরে তখন সেই পর্দা সরে যায়।

17. এই প্রভুই হলেন পাক-রূহ্‌; আর যেখানেই প্রভুর রূহ্‌ সেখানেই স্বাধীনতা।

18. এইজন্য আমরা যারা মসীহের সংগে যুক্ত হয়েছি, আমরা সবাই খোলা মুখে আয়নায় দেখা ছবির মত করে প্রভুর মহিমা দেখতে দেখতে নিজেরাও মহিমায় বেড়ে উঠে বদলে গিয়ে তাঁরই মত হয়ে যাচ্ছি। প্রভুর, অর্থাৎ পাক-রূহের শক্তিতেই এটা হয়।

সম্পূর্ণ অধ্যায় পড়ুন ২ করিন্থীয় 3