2. কারণ তারা নিজেরাই তোমাদের পবিত্র জীবন আর আল্লাহ্র প্রতি ভয় দেখতে পাবে।
3. নানা রকম চুলের বেণী, গয়নাগাটি বা সুন্দর সুন্দর কাপড়- এই সব বাইরের সাজ-পোশাক দিয়ে নিজেকে সাজাতে ব্যস্ত হয়ো না,
4. বরং যার সৌন্দর্য ধ্বংস হয়ে যাবে না সেই নরম ও শান্ত স্বভাব দিয়ে তোমাদের দিলকে সাজাও। আল্লাহ্র চোখে সেটাই বেশী দামী।
5. আগেকার যে আল্লাহ্ভক্ত স্ত্রীলোকেরা আল্লাহ্র উপরে আশা রাখতেন তাঁরা নিজের নিজের স্বামীর অধীনে থেকে এভাবেই নিজেদের সাজাতেন;
6. যেমন বিবি সারা নবী ইব্রাহিমের বাধ্য ছিলেন এবং তাঁকে প্রভু বলে ডাকতেন। তোমরা যদি কোন রকম ভয়কে নিজের উপর কাজ করতে না দিয়ে যা ভাল তা-ই কর তবে এটাই প্রমাণ হবে যে, তোমরা বিবি সারার যোগ্য সন্তান।
7. ঠিক সেইভাবে তোমরা যারা স্বামী, তোমরা বুদ্ধি-বিবেচনা করে স্ত্রীর সংগে বাস কর। তারা তোমাদের দুর্বল সাথী, আর তারাও তোমাদের সংগে আল্লাহ্র রহমতের দান হিসাবে জীবন পাবে। সেইজন্য তাদের সম্মান কোরো যেন তোমাদের মুনাজাত বাধা না পায়।
8. শেষে বলি, তোমাদের সকলের মন যেন একই রকম হয়। তোমরা একে অন্যের দুঃখে দুঃখ বোধ কর, ভাইয়ের মত ভালবাসার ভাব রাখ এবং দয়ালু ও নম্র হও।
9. অন্যায়ের বদলে কারও উপর অন্যায় কোরো না বা কেউ গালাগালি দিলে তাকে ফিরে গালাগালি দিয়ো না, বরং তাদের জন্য দোয়া চেয়ো; কারণ দোয়া পাবার জন্যই আল্লাহ্ তোমাদের ডেকেছেন।
10. পাক-কিতাবে লেখা আছে,যে সুখী জীবন কাটাতে চায়আর সুদিন দেখবার আশা করে,খারাপ কথা থেকে তার জিভ্কে,ছলনার কথা থেকে তাঁর ঠোঁটকে সে সামলাক।
11. খারাপ কাজ থেকে সে দূরে থাকুক,আর ভাল কাজ করুক;শান্তির জন্য আগ্রহী হয়েসে তার পিছু না ছাড়ুক।
12. যারা ন্যায়ের পথে চলেতাদের উপর মাবুদের চোখ আছে,তাদের মুনাজাত শুনবার জন্যতাঁর কান খোলাই রয়েছে;কিন্তু যারা খারাপ কাজ করে,মাবুদ তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ান।
13. ভাল কাজ করতে যদি তোমাদের আগ্রহ থাকে তবে কে তোমাদের ক্ষতি করবে?
14. আল্লাহ্র ইচ্ছামত চলতে গিয়ে যদি তোমাদের কষ্টভোগও করতে হয়, তবে ধন্য তোমরা। যারা তোমাদের দুঃখ-কষ্ট দেয় তাদের তোমরা ভয় কোরো না বা দুঃখ-কষ্টের সময়ে অস্থির হয়ো না,
15. বরং মসীহ্কে তোমাদের দিলে প্রভু হিসাবে স্থান দাও। তোমাদের আশা-ভরসা সম্বন্ধে যদি কেউ প্রশ্ন করে তবে তাকে উত্তর দেবার জন্য সব সময় প্রস্তুত থেকো, কিন্তু এই উত্তর নম্রতা ও ভয়ের সংগে দিয়ো।