5. অন্য সব সাহাবীরা, প্রভুর ভাইয়েরা আর পিতর যেমন নিজের নিজের স্ত্রীকে নিয়ে তবলিগে বের হন, সেইভাবে ঈসায়ী ঈমানদার নিজের স্ত্রীকে নিয়ে তবলিগে বের হবার অধিকার কি আমাদের নেই?
6. বার্নাবাস আর আমাকেই কি কেবল কাজ করে খেতে হবে?
7. নিজের পয়সা খরচ করে কে সৈনিকের কাজ করে? আংগুর ক্ষেত যে করে সে কি তার ফল খায় না? পশুর পাল যে চরায় সে কি তার দুধ খায় না?
8. আমি কি কেবল সাধারণ বুদ্ধিতে এই কথা বলছি? তৌরাত শরীফও কি সেই একই কথা বলে না?
9. তাতে লেখা আছে, “শস্য মাড়াই করবার সময়ে বলদের মুখে জাল্তি বেঁধো না।” আল্লাহ্ কি কেবল বলদের কথা চিন্তা করেন?
10. আসলে তিনি তো আমাদেরই জন্য এই কথা বলছেন, নয় কি? জ্বী, এই কথা আমাদের জন্যই লেখা হয়েছিল, কারণ যে চাষ করে এবং যে শস্য মাড়াই করে, ফসলের ভাগ পাবার আশা নিয়েই তাদের তা করা উচিত।
11. আমরা যখন তোমাদের মধ্যে রূহানী বীজ বুনেছি তখন তোমাদের কাছ থেকে যদি জাগতিক খাওয়া-পরা জোগাড় করি তবে সেটা কি খুব বেশী কিছু?
12. এই ব্যাপারে তোমাদের উপর যদি অন্যদের দাবি থাকে তবে আমাদের কি তা আরও বেশী করে থাকবে না? আমরা কিন্তু সেই দাবি কাজে লাগাই নি বরং সব কিছু সহ্য করছি, যেন মসীহের বিষয়ে সুসংবাদ তবলিগের পথে আমরা কোন বাধা হয়ে না পড়ি।
13. তোমরা কি জান না, যারা বায়তুল-মোকাদ্দসের কাজকর্ম করে তারা বায়তুল-মোকাদ্দস থেকেই খাবার পায়, আর যারা কোরবানগাহের কাজকর্ম করে তারা কোরবানগাহে যা কোরবানী দেওয়া হয় তার ভাগ পায়?
14. ঠিক সেইভাবে প্রভু হুকুম দিয়েছেন, যারা সুসংবাদ তবলিগ করে তারা যেন তা থেকেই খাওয়া-পরা পায়।
15. আমি কিন্তু এর কিছুই ভোগ করি নি। তোমরা যাতে আমার জন্য এই রকম ব্যবস্থা কর সেইজন্য আমি এই কথা লিখছি না। আসলে আমার এই গর্ব যদি কেউ মিথ্যা করে দেয় তবে তার চেয়ে আমার মৃত্যু অনেক ভাল।
16. আমি সুসংবাদ তবলিগ করছি বটে, কিন্তু তাতে আমার গৌরব করবার কিছুই নেই, কারণ আমাকে তা করতেই হবে। দুর্ভাগ্য আমার, যদি আমি সেই সুসংবাদ তবলিগ না করি!