অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

১ করিন্থীয় 2 Kitabul Mukkadas (MBCL)

1. ভাইয়েরা, তোমাদের কাছে গিয়ে আল্লাহ্‌র দেওয়া সুসংবাদ তবলিগ করবার সময় আমি সুন্দর ভাষা ব্যবহার করি নি বা খুব জ্ঞানী লোকের মত কথা বলি নি।

2. আমি ঠিক করেছিলাম, তোমাদের কাছে থাকবার সময়ে আমি ঈসা মসীহ্‌কে, অর্থাৎ ক্রুশের উপরে হত্যা করা ঈসা মসীহ্‌কে জানা ছাড়া আর কিছুই জানব না।

3. যখন তোমাদের কাছে ছিলাম তখন আমি নিজেকে দুর্বল মনে করতাম এবং ভয়ে খুবই কাঁপতাম।

4. আমার তবলিগ ও আমার দেওয়া সংবাদের মধ্যে লোকদের ভাসিয়ে নেবার মত কোন জ্ঞানপূর্ণ যুক্তি-তর্ক ছিল না বরং পাক-রূহের শক্তিই তাতে দেখা গিয়েছিল,

5. যাতে তোমাদের ঈমান মানুষের জ্ঞানের উপর ভরসা না করে আল্লাহ্‌র শক্তির উপর ভরসা করে।

পাক-রূহের দেওয়া জ্ঞান

6. যারা ঈসায়ী জীবনে পরিপক্ক তাদের কাছে অবশ্য আমরা জ্ঞানের কথা বলি; কিন্তু সেই জ্ঞান এই দুনিয়ার নয়, কিংবা এই দুনিয়ার নেতাদেরও নয় যারা ক্ষমতাশূন্য হয়ে পড়ছে।

7. আসলে আমরা আল্লাহ্‌র জ্ঞানপূর্ণ গোপন উদ্দেশ্যের কথাই বলি। সেই উদ্দেশ্য লুকানো ছিল এবং দুনিয়া সৃষ্টির আগেই আল্লাহ্‌ তা স্থির করে রেখেছিলেন যেন আমরা তাঁর মহিমার ভাগী হতে পারি।

8. এই যুগের নেতাদের মধ্যে কেউই তা বোঝে নি; যদি তা বুঝত তাহলে সেই মহিমাপূর্ণ প্রভুকে ক্রুশের উপরে হত্যা করত না।

9. কিন্তু পাক-কিতাবের কথামত, “আল্লাহ্‌কে যারা মহব্বত করে তাদের জন্য তিনি যা যা ঠিক করে রেখেছেন, সেগুলো কেউ চোখেও দেখে নি, কানেও শোনে নি এবং মনেও ভাবে নি।”

10. কিন্তু আল্লাহ্‌ তাঁর রূহের মধ্য দিয়ে সেগুলো আমাদের কাছে প্রকাশ করেছেন, কারণ পাক-রূহের অজানা কিছুই নেই; এমন কি, তিনি আল্লাহ্‌র গভীর বিষয়ও জানেন।

11. মানুষের মধ্যে এমন কে আছে, যে অন্য মানুষের মনের কথা জানতে পারে? মানুষের মধ্যে যে রূহ্‌ আছে সে-ই কেবল তার নিজের মনের কথা জানে। সেই রকম, আল্লাহ্‌র রূহ্‌ ছাড়া আল্লাহ্‌র মনের কথা অন্য কেউ জানতে পারে না।

12. আমরা দুনিয়ার রূহ্‌কে পাই নি, বরং আল্লাহ্‌র কাছ থেকে তাঁর রূহ্‌কে পেয়েছি, যেন আল্লাহ্‌ আমাদের যে সব দান দিয়েছেন তা বুঝতে পারি;

13. আর সেই দানগুলোর কথাই আমরা বলি। তা বলবার জন্য আমরা যে সব কথা ব্যবহার করি তা মানুষের জ্ঞান থেকে শিক্ষা পেয়ে বলি না, কিন্তু পাক-রূহের দ্বারা শিক্ষা পেয়েই বলি। রূহানী সত্য ব্যাখ্যা করবার জন্য আমরা রূহানী কথাই ব্যবহার করি।

14. যে লোক রূহানী নয় সে আল্লাহ্‌র রূহের কাছ থেকে যা আসে তা গ্রহণ করে না, কারণ সেগুলো তার কাছে মুর্খতা। সেগুলো সে বুঝতে পারে না, কারণ পাক-রূহ্‌ শিক্ষা না দিলে সেগুলো পরীক্ষা করে দেখা যায় না।

15. যে লোক রূহানী সে সব কিছুই পরীক্ষা করে দেখে, কিন্তু কেউ তাকে পরীক্ষা করে দেখতে পারে না।

16. পাক-কিতাবে লেখা আছে,কে মাবুদের মন বুঝতে পেরেছে যে,সে তাঁকে উপদেশ দিতে পারে?কিন্তু মসীহের মন আমাদের দিলে রয়েছে।